স্টাফ রিপোর্টার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিনে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত প্রতিবেদন আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে দাখিল করার কথা থাকলেও তা আজ দাখিল করা হয়নি।
বিএসএমএমইউয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য আজ দুপুরে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডপ্রধান জিলন মিঞা সরকার গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় খালেদার শারীরিক অবস্থা সেভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি, বিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসকরা কথা বলেছেন। আগে যে ওষুধ ছিল সে ওষুধই চলছিল।’
বোর্ডের ওই সদস্য বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে তারা এ মুহূর্তে (দুপুর ১টা) কেবিনে যাচ্ছেন। হুট করে চাইলেই খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। তিনি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এ কারণে তার অনুমতি নিয়ে দেখা করতে হয় বোর্ড সদস্যদের।’
যত দূর তারা জানেন তাতে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলে আদালতের নির্দেশনা ছিল আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর)। তবে নির্ধারিত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় তা আজ আদালতে দাখিল করা হয়নি।
এদিন খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের বিষয়ে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রধান বিচারপতি এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। খালেদার আইনজীবীরা অবশ্য চাচ্ছিলেন ৭ ডিসেম্বর যেন এ দিন ধার্য করা হয়।
এ প্রতিবেদক আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী আজ কেন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কিন্তু তারা প্রতিবেদন দাখিল না করায় তা পাঠানো যায়নি।
কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানার জন্য হয়তো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ কারণে মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ১২ ডিসেম্বরের পুনর্নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
|