অনলাইন ডেস্ক:
বার্গামো উত্তর ইতালির আলপাইন লম্বার্ডি অঞ্চলের একটি শহর। মিলানের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে আলপস পর্বতমালার কোলে এই শহরটি অবস্থিত। বার্গামো শহরটি একটি পুরোনো প্রাচীরযুক্ত কোর দ্বারা গঠিত, যা সিটি আল্টা বা উঁচু শহর নামে পরিচিত।
বার্গামো শহরের নাম এসেছে ‘জার্মানিক-কেল্টিক’ উৎস থেকে। যার অর্থ ‘পাহাড়ে বাড়ি’৷ শহরের উঁচু অংশ থেকে আশপাশের সুন্দর সব প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ষষ্ঠ শতাব্দীর শুরুর দিকে বার্গামোতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয়। শহরটি কয়েকটি অংশে বিভক্ত। শহরের নিচু অংশটা আধুনিক। পর্যটকরা প্রথমে সেখানেই আসেন। আর উঁচু অংশটা ঐতিহাসিক। এছাড়া আছে পাহাড়। এই তিন অংশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য আছে দুটি কেবল কার। বার্গামোর বাসিন্দা ও পর্যটকরা শহরে যাতায়াত করতে এগুলো ব্যবহার করে থাকেন। বার্গামো শহরের মূল আকর্ষণ পিয়াৎসা ভ্যাককিয়া আর টোররে চিভিকাস।
মধ্যযুগে নির্মিত এই টোররে চিভিকাসেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘণ্টা বাজিয়ে বাসিন্দাদের শহরে ঢোকার আহ্বান জানানো হতো। শহরের ধর্মীয় এলাকা বলে পরিচিত ক্যাথেড্রাল চত্বরের ইতিহাস আরও বেশি সমৃদ্ধ। সেখানে আছে ১২ শতকে নির্মিত ব্যাসিলিকা সান্তা মারিয়া মাজোরে এবং ১৫ শতকে তৈরি হওয়া কোলিওনি চ্যাপল ব্যাসিলিকার দেয়ালজুড়ে পুরোনো ট্যাপিস্ট্রি আর সিলিং স্টকো ফিগার্স দিয়ে সজ্জিত।
ইতালির অন্যতম কম্পোজার গায়েটেনো ডোনেৎসিটির সমাধিও আছে সেখানে। বার্গামোর সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ গায়েটেনো ডোনেৎসিটি ১৮৪৮ সালে মারা যাওয়ার পর সেখানে মিউজিয়াম স্থাপিত হয়। ডোনেৎসিটি মিউজিয়ামের কাছে আছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীন শহরের দেয়াল। সেখানে মানুষজন হাঁটতে যেতে পছন্দ করেন।
আইসক্রিম খেতে চাইলে যেতে হবে ‘লা মারিয়ানা’। শহরের এই লা মারিয়ানা এলাকার এক বাসিন্দাই ষাটের দশকে সুস্বাদু স্ট্রাচিয়াতেল্লা আইসক্রিম উদ্ভাবন করেছিলেন। বার্গামোতে আরও অনেক সুস্বাদু খাবার আছে। এছাড়া শহরের শপিং ও থিয়েটার এলাকার সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো।
যেভাবে যাবেন বার্গামো যাতায়াতের জন্য সহজ মাধ্যম হলো রেলপথ। ইতালির রাজধানী রোম, মিলান, লেকো, ক্রোমোনা, ট্র্যাভিগ্লিও, ব্রেসিয়া শহর থেকে সহজেই রেলপথে যাওয়া যায় বার্গামোতে। এছাড়াও সড়ক ও বিমান পথে যাওয়া যায় ঐতিহাসিক এই শহরে।
|