স্পোর্টস ডেস্ক: লিটন দাস খেললেন ১৭৬ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল অপরাজিত রইলেন ১২৮ রানেই। বৃষ্টি বিঘ্নিত ৪৩ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করল ৩২২ রান। আর একটু হলে ডাবল সেঞ্চুরিই হয়ে যেত লিটনের। তারপরও ১৪৩ বলের ইনিংসেই মোহিত দর্শক। ১৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৮টি বিশাল ছক্কা। আগের ম্যাচে ১৫৮ রান করে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে ছিলেন তামিম। কাল তার সামনেই লিটন তাকে টপকে গেলেন। এতে তামিম খুশিই হয়েছেন! হয়তো চেয়েছিলেন লিটনের ডাবল সেঞ্চুরি হোক, তাই শেষের দিকে তিনি সিঙ্গেলস নিচ্ছিলেন। কিন্তু একটুর জন্য হলো না।
তামিমের ইনিংসটিও ছিল অসাধারণ। তার হার না মানা ১২৮ রানের ইনিংসটি খেলেছেন মাত্র ১০৯ বলে। ৭টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনিও। তারপরও এ ম্যাচে তামিম ছিলেন পার্শ্ব নায়ক হয়ে। এক ম্যাচে যেন রেকর্ডের বন্যা! ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, জুটিতেও সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচটা এভাবেই রাঙিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে আবার দেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ৫০তম জয় তুলে নিলেন ম্যাশ।
অধিনায়ক হিসেবে টিমকে যে স্থানে রেখে গেছেন, আগামীতে কোনো স্থানে দেখতে চান-এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, এখন যারা তরুণ খেলোয়াড়। আমার মন বলছে, আমার বিশ্বাস পরবর্তী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। আর না খেলার কোনো কারণ দেখি না। এখন যারা ইয়াং প্লেয়ার, তাদের লাইফের পিক টাইম থাকবে সে সময়।
নিজের ৫০তম জয় দিয়ে অধিনায়কত্ব শেষ করা মাশরাফি নতুন অধিনায়ককে কীভাবে দেখতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিডারশিপ বিষয়টি ভালো। কিন্তু ক্যাপ্টেন্সি চাওয়াটা স্বার্থপরতা চলে আসে। আমি মনে করি না ক্যাপ্টেন্সি চাওয়ার প্রয়োজন আছে। যারা চাইছেন, তারা ক্যারিয়ারটা বেশ বড় করতে পারেনি। লিডারশিপ ও ক্যাপ্টেন্সি আলাদা বিষয়। একজন অধিনায়কের প্রচুর কাজ। খেলোয়াড়দের খুবই ডিস্টার্ব হয় পারিবারিকসহ বিভিন্ন দিক থেকে। যেটা ওর পছন্দ না, সেটা বারবার সামনে আসতে পারে। কোচের সঙ্গে সমন্বয় না হতে পারে। ফিটনেসে সমস্যা থাকতে পারে। সেসময় একজন অধিনায়ক পাশে থাকা। পুরো টিমের দায় দায়িত্ব নেওয়া। যে যতোই খারাপ করুক, খারাপ বলুক। অধিনায়ক সবসময়ই এটা কাঁধে নিচ্ছেন। একজন সফল অধিনায়ক হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অধিনায়কত্বের মূল কারণ ৫০টা জয়ই। তাছাড়া নিজেকে কখনও আলাদা করে মূল্যায়ন করিনি।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com