রবিন, বিধবা মায়ের যক্ষেরধন। সবে শিক্ষা জীবন শেষ একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকুরী পেয়েছে। এবার হয়তো ঘুচে যাবে সব অভাব অনটন। আজ তার চাকুরীতে প্রথম দিন। খুবই তাড়াহুড়া করে আগে আগে অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে সে। কে জানতো এই তাড়াহুড়াই তার জীবনের কাল হবে? অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়ল রবিন।
পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল রবিন। কেউ কি বলতে পারবেন, ঐ অসহায় বিধবা বৃদ্ধ মায়ের কি হবে? জানি পড়ে হয়তো আপনাদের খারাপ লাগছে কিন্তু এটাই বাস্তবতা। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক সামান্য সতর্কতা ও সাবধানতার ফলে কিভাবে রাস্তা পারাপারে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।
১। রাস্তা পারাপারে সবসময় ভালভাবে ডানে বামে দেখে পারাপার হতে হবে।
২। রাস্তা পারাপারে অহেতুক তাড়াহুড়া করা যাবে না।
৩। কানে হেডফোন ও মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পার হতে বিরত থাকুন।
৪। রোড ডিভাইডার অথবা রোড আইল্যান্ডের উপর দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে বিরত থাকুন।
৫। সর্বদা ফুটপাত দিয়ে চলাচল করুন।
৬। সংযোগ সড়কের গাড়ির গতিবিধি লক্ষ্য করে রাস্তা পার হোন।
৭। বয়ো:বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্থ ব্যক্তি রাস্তা পারাপারে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন।
৮। রাস্তা পারাপারের সময় ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের হাত ধরে পারাপার করতে হবে। কোন অবস্থায় তাদের হাত ছাড়া যাবে না। ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় হাঁটার সময় গাড়ি যে দিকে চলাচল করে তার উল্টোদিকে তাদেরকে হাতে ধরে হাঁটুন।
৯। প্রত্যেককে দেশের প্রচলিত ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে অল্প বিস্তর ধারণা রাখতে হবে।
১০। গাড়ির চালককে সবসময় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। বিশেষ করে যখন ট্রাফিক সিগন্যাল অতিক্রম করবে তখন গতি সীমিত রেখে চলা ভালো।
১১। রাস্তা পারাপারে সর্বদা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন।
১২। ব্যস্ত সময় অর্থাৎ অফিস ও স্কুল টাইমে রাস্তা পারাপারে তাড়াহুড়া করবেন না।
১৩। যেখানে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রীজ আছে সেখানে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করুন।
১৪। দৌঁড় দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১৫। যানবাহন আসছে কিনা তা দেখে, সোজাসুজি রাস্তা পার হওয়া নিরাপদ।
১৬। সবাইকেই ঘরে ফিরতে হবে, কাজে যেতে হবে তাই প্রতিযোগিতা করে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকুন।
মনে রাখবেন জীবন একটাই। আপনার এই অমূল্য জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে পরিবারের অন্য সকলের ভালো ও নিরাপদে থাকার বিষয়। আপনি কি কখনও ভেবেছেন, আপনার কিছু হলে পরিবারের কি হবে? মনে রাখবেন একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। সুতরাং সচেতন হন নিরাপদ থাকুন আপনি ও আপনার পরিবার।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ
|