মিয়া আবদুল হান্নান : তাপসী দাসের কচিকাচাঁ অনাথ আশ্রমে শিশুদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সুন্দর সন্ধ্যা কাটলো আমার স্বপ্নের অনাথ আশ্রম এর কচিকাচাঁ দের সাথে। সাদা ধূতি পরে দাড়িয়ে আছেন আশ্রমের মহারাজ জী। তিনি সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন এই অসহায় বাচ্চাদের জন্য। আমার আবেদনে এগিয়ে এসেছেন সহৃদয় ডাক্তার বাবু। নীল শার্ট পড়ে মহারাজ জীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের সামান্য তম প্রচেষ্টা। তাদের লেখা পড়া র জন্য একটু সহযোগিতা ।খাতা কলম- পেনসিল, পেনসিল বক্স, রাবার কাটার তিন ধরনের খাতা এবং কিছু ফাস্ট ফুড। কচিকাঁচা বাচ্চারা ভীষণ খুশি।
সামান্য কিছু তেই তাদের খুশি কে ভাগ করে নেওয়া যায়। আমি ওদের সাথে থাকতে পেরে ভীষণ খুশি। আমার স্বপ্ন যেন বাস্তবতা পায় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা। ধম্ম কি: ত্যাগ, সংযম, সভ্য ও ব্রক্ষর্য্য। প্রকৃত জীবন কি-? আত্মবোধ,আত্মস্মৃতি, আত্মনুভূতি। সেবা ধর্ম, সেবাই কর্ম। কচিকাঁচারা যাদের দ্বারা খুশি হবে,ইশ্বর ও তাদের খুশিতে রাখবেন।অনাথ বাবা মা র আদর ভালোবাসা থেকে সুবিধা বঞ্চিত অনাথ অসহায় একদল কঁচিকাচাঁ শিশুদের সাথে বেশ সময় দেন সে, অন্ন শীতবস্ত্র ও আদর দিয়ে মায়ের সোহাগে তাদের সাথে জীবনের বাকি দিন গুলো অতিবাহিত করব আজ থেকে ওয়াদা করেন এটাই সিদ্ধান্ত নেন সে।
ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করে বলেন, আমার বাকি দিন গুলো ওদের খোঁজ খবর নিয়ে অসহায়দের পাশে থেকে ওদের মায়ের মতো, বন্ধুর মতো সেবার মাধ্যমে আমার স্বপ্ন যেন পুরন হয়। এদের মাঝে থেকে এদের একটু ভালোবাসা দিয়ে তাদের মুখে হাসি দেখতে চাই। হাসি-খুশিমনে কথা গুলো বললেন, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কৃষ্ণনগর নিবাসী স্বর্গীয় পরেশ চন্দ্র দাস (ডাঃ পিসি দাসের) সহধর্মিণী তাপসী দাস। তাপসী দাস ছাত্রী জীবনে কলকাতার রানাঘাট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত অবস্থায় ( পড়াশোনার) ফাঁকে ফাঁকে চলার পথে, নিজে কম খরচ করে, পয়সা জমিয়ে অনাথ আশ্রমে শিশুদের সেবা দিতে। ওরা ঠিক মতো পড়া-লেখা, গোসল করে কিনা। কেমন খাবার পায় ওরা আশ্রমে। তাপসী দাস বলেন, যতো দিন বেঁচে থাকবো, ওদের দেখ বাল করে যেতে চাই। তাপসী দাস মুকুটমনিপুর বাঁকুড়া বাঁধ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে বুজতে পেরেছে এজীবন ক্ষনিকের। মহাশত্রু কি-? অলস্য,নিদ্রা,তন্দ্রা, জড়তা, রিপু ও ইন্দ্রিয়গন। তাপসী দাস বাকী জীবনে অনাথ আশ্রমে শিশুদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।শুধুই পূর্ণতা লাভের জন্য।
|