মিয়া আবদুল হান্নান : রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে জালিয়াতির খবর প্রচারের জেরে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত কথিত নেতার মামলায় আসামি করা হয়েছে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুগান্তর প্রতিনিধি আবু জাফর এবং গাজী টিভির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি সোহরাওয়ার্দী শ্যামল ও এ মামলায় তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ফারুককে আসামি করা হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর ২০২০ রোববার মানহানির মামলাটি করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর। পরে আদালত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি বরাবর প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কদমতলী নুরল ইসলাম কমান্ডার চত্ত্বরে সকাল ১১ টায় মানববন্ধন করেন। উক্ত মানববন্ধনে মিথ্যা মানহানীর মামলা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন , সাংবাদিক মোঃ সফিক চৌধুরী, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল গনী,সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক মোঃ রায়হান খান, সঞ্চালনায় ইকবাল হোসেন রতন। আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মিয়া আবদুল হান্নান, সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম বিপ্লব,সাংবাদিক হাজী মোস্তফা কামাল, সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ আলী, সাংবাদিক শেখ শামীম,সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক মোঃ লিটন ,সাংবাদিক শামসুল ইসলাম সনেট প্রমুখ। কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সালাহউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত কথিত নেতা আবু বকরের নামে রয়েছে প্রায় ১২ টি মামলা, সে আবু বকর সাংবাদিকদের নামে মানহানীর মামলা করে। সাংবাদিকগন যাহা দেখে, তাহা লেখে। যাহা শোনে, তাহা যাচাই করেন। আমাদের কলম নির্যাতিত নিষ্পেষিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কারো তাঁবেদারী করেনা। আবু বকর কর্তৃক মানহানীর মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তানা হলে প্রয়োজনে আরো কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিবো। সাংবাদিকদের কলম অন্যায়ের বিরুদ্ধে চলছে চলবে। পরিশেষে মানববন্ধন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, অতিসম্প্রতি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার দৈনিক যুগান্তর ও অতিসম্প্রতি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার অনলাইন পোর্টাল নিউজ সবসময় ২৪.কমসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় `কেরানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড জাল করে গণস্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ` এই শিরোনামে খবর প্রচার করে। খবরে বলা হয় তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের অজ্ঞাতসারে পরিষদের অফিসিয়াল প্যাড জাল( নকল)করে স্থানীয় বসিন্দাদের কাছ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাদেকুর রহমান ও মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। দেলোয়ার হোসেন তাদের জানান, আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা আবু বকর সিদ্দিক এর নির্দেশে তিনি ওই প্যাডে লোকজনের কাছ থেকে গণস্বাক্ষর নিয়েছেন এবং সেটি তার কাছেই জমা দিয়েছেন। পরে তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাদেকুর রহমান মুঠোফোনে আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গণস্বাক্ষর সম্বলিত প্যাড তার কাছে সংরক্ষিত আছে বলে স্বীকার করেন। মামলার ব্যাপারে বাদী আবু বকরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
|