মিয়া আবদুল হান্নান : আপনার বাসার ফ্রিজে ডিম রাখেন? তাহলে অজান্তেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ এবং বাড়াচ্ছেন মারাত্মক অসুখের ঝুঁকি, গবেষকরা এমনটাই মত দিয়েছেন! গবেষকদের দাবি, ফ্রিজে ডিম রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। গবেষকদের মতে, ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্যরও অনেক নিচে থাকে বলে খাবার রাখা নিরাপদ, সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু ফ্রিজে ডিম রাখলে তার মধ্যে একধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।
আমরা রান্না করার সময় সাধারণত ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে সরাসরিই ব্যবহার করে ফেলি! তাই ডিমে জন্ম নেওয়া ব্যাকটেরিয়া জীবিত অবস্থায় থাকে এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া ও নানা রকম সংক্রমণ ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্রিজে ডিম রাখার পদ্ধতি বিশ্বকে শিখিয়েছিল আমেরিকা। ফ্রিজে ডিম রাখলে তা বেশি দিন ভালো থাকে। বাইরে ডিম রাখলে কয়েক দিনের মধ্যেই খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকেই গোটা দুনিয়া এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়েছে, এমনকি ফ্রিজের সব-মডেলেই ডিম রাখার জন্য আলাদা তাক থাকে। বাইরে বেশিদিন ডিম রাখলে খারাপ হয়ে যায়, এদিকে ফ্রিজেও ডিম রাখা নিরাপদ নয়, জন্ম নেয় ক্ষতিকারক ব্যকটিরিয়া! তাহলে উপায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কয়টা ডিম লাগবে সে কয়টা ডিমই কিনুন এবং রান্না করে ফেলুন। অযথা বেশি ডিম কিনে জমিয়ে রাখবেন না।সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিমের প্রতি নির্ভরশীল থাকেন অনেকেই। শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি রূপচর্চার কাজেও উপকারী এই ডিম। তবে ডিম কেবল খাওয়া বা রূপচর্চাতেই কাজে লাগে এমন ভাবলে মস্ত ভুল করবেন। আমরা জানিও না দৈনন্দিন কাজে ডিম অনেকভাবে ব্যবহার করা যায়:
# কন্ডিশনার: হঠাৎ কন্ডিশনার ফুরিয়ে গিয়েছে? চিন্তার কারণ নেই। অলিভ অয়েল আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে রাখুন চুলে। বাজারচলতি কন্ডিশনারের চেয়ে এই ঘরোয়া ব্যবহারে চুল ভাল হবে. # গাছের জন্য: ডিম সেদ্ধর পর সেই জল ও ডিমের খোলা গুঁড়িয়ে গাছের গোড়ায় দিন। ডিমের খোলা গাছের শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান বাড়াতে খুব কার্যকর। গাছকে নানা পতঙ্গের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোলা। # গয়না পরিষ্কার: রূপোর গয়না দিন কয়েক পরলেই কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বাতাসের অক্সিজেনের প্রভাবেই এমনটা হয়। ডিম এই গয়নাগুলোকে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিতে পারে সহজেই। ডিম অনেক ক্ষণ ধরে খুব শক্ত করে সেদ্ধ করে নিতে হবে এ ক্ষেত্রে। এর পর খোসা ছাড়িয়ে দু`ভাগ করে কুসুম ছাড়িয়ে নিন। এ বার সেই কুসুম একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে হাত দিয়ে ঝুরঝুরো করে গুঁড়িয়ে নিন। এ বার তাতে হালকা কোনও পেপার টাওয়েল বিছিয়ে তার উপর রাখুন রুপোর গয়নাগুলো। পাত্রের মুখের চার পাশে ময়দার প্রলেপ লেপে বায়ুনিরুদ্ধ করে বন্ধ করে দিন। দু`দিন পর সেই গয়নাগুলো বার করলেই দেখবেন, কালো ভাব একেবারে উধাও। ডি-অক্সিডাইজার হিসেবে ডিমের এই ব্যবহার নানা গয়নাতেও ব্যবহার করা হয় রক্ত বন্ধ করতে: দুর্ঘটনাবশত কেটে গেলে দেখা যায় অনেক সময় রক্ত বন্ধ হতে চায় না। এ সময় ডিমকে কাজে লাগান। এমনিতে বাড়িতে ডিম মজুত থাকে প্রায় সকলেরই। কিংবা কোথাও পিকনিকে গেলে ডিম সেদ্ধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া আমাদের বরাবরের অভ্যাস। সেদ্ধ ডিমের খোলা ও সাদা অংশের মাঝে যা পাতলা খোসা থাকে তা ছাড়িয়ে নিন। সেই খোসা ক্ষতস্থানে চেপে ধরে থাকলেই রক্ত বন্ধ হবে দ্রুত। এমনকি দ্রুত ক্ষতের দাগ মেলাতেও এটি বেশ কার্যকর।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com