প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ। একই অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এ সহযোগিতা প্রসারিত করা যায়।
আজ সকালে ঢাকার কাকরাইলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি কেনিকের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শামসুর রহমান। ড. মসিউর রহমান আরো বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতা সকল জাতি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে ঘিরে যে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ আসছে, পারস্পরিক জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেটি মোকাবেলা করার কৌশল নিতে হবে। অসম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রতিটি দেশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে কোন দেশ পিছিয়ে পড়লে তার কুফল অন্যদেশে পড়তে বাধ্য। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সংস্কৃতি ও ভূ-প্রকৃতির মিল রয়েছে। এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং এর ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের উন্নয়ন ধারণার সমন্বয় করতে হবে। এর জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠি হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পরিবর্তিত প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণে মনোযোগী হতে হবে। নচেৎ বিশ্ব প্রতিযোগিতা টিকে থাকা সম্ভব হবে না।
বিশেষ অতিথি রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক অতীতের যে কোন সময়ে চেয়ে উচ্চমাত্রায় রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতির অংশগ্রহণ সেটিতে নতুন মাত্রার যোগ করেছে। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে ভারত সরকারের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আইডিইবি ও ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাসস
|