মিয়া আবদুল হান্নান : কামরুল হাসান সোহেল কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা ( ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও কেরানীগঞ্জ দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয়তায় জনতার কাতারে। দুর্বল মানুষের ভূমি, ভিটি অবৈধ দখলদারত্বের হাত থেকে রক্ষা করে, অসহায় মানুষটির জবরদখল হয়ে পুনঃ ফিরিয়ে দেয়া, সেই লোকটি রুটি-রুজির পথ করে দেয়া, নালা খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করে, এলাকার পরিবেশ, সৌন্দর্য বৃদ্ধির, সাহসী পুরুষ, একটি ভালোবাসার মানুষ। প্রতি দিন ফেসবুক খুলতেই কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলার যুগান্তকারী পদক্ষেপকারী কামরুল হাসান সোহেলের ছবি। কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া পত্রিকার, ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের মূখে একটি নাম শোনা যায় কামরুল হাসান সোহেল ভাই। কেরানীগঞ্জ সহকারী কর্মকর্তা ( ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল ও নববধূ তার সহধর্মিণীকে নিয়ে দু`কলম লেখাঃ-নববধূ সুখী সংসার বিবাহের পর সাংসারিক জীবনের শুরু একজন মানুষের জীবনে টার্নিংপয়েন্ট। তখন থেকে কারো কারো জীবনে নেমে আসে অনাবিল শান্তি। স্বর্গের সুখ তারা এ দুনিয়াতে থেকেই ভোগ করতে থাকেন। এর জন্য প্রয়োজন পাত্র-পাত্রী যোগ্য হওয়া। ইবনে মাজার এক হাদিসে এসেছে, তাকওয়ার পর একজন মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে যোগ্য পাত্রী পাওয়া। নবী করিম (সা.) সেখানে যোগ্য পাত্রীর কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। যোগ্য পাত্রীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পাত্রী নেককার, স্বামীর অনুগত, স্বামীর আনন্দের কারণ ও স্বামীর আমনত হেফাজতকারী হওয়া। স্বামীরও কিছু গুণাগুণ আছে, যেগুলো থাকলেই স্বামী যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তিরমিজী শরিফের এক হাদিসে এসেছে, স্বামীর গুণাগুণের অন্যতম দু`টি গুণ হচ্ছে, স্বভাব-চরিত্র ঠিক থাকা ও দ্বীনদার হওয়া। মূলত এ দু`টি ঠিক থাকলে শাখাগত বিষয় হিসেবে বাকিগুলো এমনিতেই চলে আসবে।
মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে বৈবাহিক জীবন। যখন মানুষ অবিবাহিত থাকে, মনে হয় জীবন যেন নীড় হারা পাখি। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে জীবনসঙ্গী হিসেবে অপরিচিত একজন যুক্ত হয়। তখন সবকিছুতে কেমন যেন একটা পরিবর্তন। স্বভাব-চরিত্র থেকে নিয়ে সর্বত্র একটা শান্তভাব, স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। পূর্ণতা পায় ঈমান আমল।
ইমাম বাইহাকি হজরত আনাস (রা.) এর সূত্রে, নবী করিম (সা.) থেকে এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। রাসূল (সা.) উম্মতে মুসলিমাকে লক্ষ্য করে বলেছেন, `বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের দ্বারা মানুষের অর্ধেক দ্বীনদারি পূর্ণ হয়ে যায়। এখন সে যেন বাকি অর্ধেকের পূর্ণতার চিন্তা করে।` বৈবাহিক সম্পর্কের দ্বারা দু`জন মানুষের মনে যে প্রেম ভালোবাসা জন্ম নেয় তা তুলনাহীন। আমৃত্য সে বন্ধন নিবিড় থেকে আরো নিবিড় হতে থাকে।
হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ `সুনানে ইবনে মাজাহ`তে এ প্রসঙ্গে হাদিস বর্নিত হয়েছে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, বৈবাহিক সম্পর্কের দ্বারা স্থাপিত ভালোবাসার সম্পর্ক তুলনাহীন। আমি অন্য কোনো ক্ষেত্রে এমন গভীর সম্পর্ক দেখি না।` এই ভালোবাসা শুধু স্বামী-স্ত্রীর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং তারা দু`জনকে ছাড়িয়ে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের মাঝেও তা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম বাংলায় এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়, বিবাদমান দু`টি গোষ্ঠির মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে সম্প্রীতি ফিরে এসেছে।
(কামরুল হাসান সোহেল এর উত্তর পেলে লেখার স্বার্থকতা। মিয়া আবদুল হান্নান, কাউন্সিলর বিএফইউজে-বাংলাদেশ। কার্যনির্বাহী সদস্য কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঢাকা।)
|