ষ্টাফ রিপোর্টার : গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। দৈনিক এশিয়া বাণী সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মিয়া আবদুল হান্নান, সাথে রয়েছে নতুন "বর" মোঃ তারিফুল ইসলাম তারিফ ( তারিফ আলভীন)। রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর ইউনিয়নের পুড়াহাটি গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ ইসাহাক মিয়ার বিল্ডিংয়ে ছাঁদে আম গাছের ছায়ায় ছবিটি তোলা হয়েছে। আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ, আমার সাথে ছবিতে আমার বন্ধু-ভাই বিশিষ্ট নাট্য-পরিচালক মোঃ আলী আক্কাসের মেঝো পুত্র, মোঃ তারিফুল ইসলাম তারিফ ও কনে মোঃ ইসাহাক আলীর কন্যা ইফানা আক্তার পারুলের শুভ বিবাহ উপলক্ষে ভুঁড়িভুজন শেষে ছবিটি তোলা।
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত হলেও কিন্তু রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার, সাভার ও ধামরাই এসব উপজেলার বাগানবাড়ি, বসতবাড়ি, কৃষিজমিতে ছোট-বড় হাজার হাজার আমবাগান রয়েছে। কেউ ব্যবসা সম্প্রসারণ মুনাফা অর্জনের জন্য, কেউ শখের বশবতী হয়ে আমবাগান গড়ে তুলতে। সময় অনেকটা পাল্টে গেছে। এখন এই তালিকায় বগুড়া নিজের স্থান করে নিয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে নানা জাতের আম। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই আম চাষের জমি বাড়ছে। জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার আম চাষের সঙ্গে যুক্ত বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। বাগান মালিক হাজী মোস্তফা কামাল দৈনিক এশিয়া বাণীকে বলেন, তিনি তার বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক আম গাছ লাগিয়েছেন। এর মধ্যে আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসাপাতি, বারি-৪, হাড়িভাঙা অন্যতম। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে তিনি জানান। বাগান মালিক হাজী আঃ মান্নান মেম্বার ও হাজী হাসমত আলী দৈনিক এশিয়া বাণীকে জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে গাছে মুকুল বের হচ্ছে। তারা আরও জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা। বাগান মালিকরা জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চণ্ডীদাস কুণ্ডু বলেন, এবারের আবহাওয়া অত্যন্ত ভাল। যা আমের বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। তবে সবকিছুই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে। ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে রক্ষার মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
|