তিন থেকে সাত বছরের শিশুর রাতে ভালো ঘুম না হলে তাদের ব্যবহারে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় অথবা তারা অমোনযোগীও হয়ে যেতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, অপর্যাপ্ত ঘুম শিশুর মানসিক অবস্থা অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসজেনারেল হসপিটাল ফর চিলড্রেন য়ের গবেষক এলসি তাভেরাস বলেন, মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছে বা স্কুলে যাবে এমন শিশুরা যদি ঘুমের সমস্যায় ভোগে তাহলে সাত বছর বয়সের মধ্যে তাদের মানসিক অবস্থায় পরিবর্তন আসতে পারে। তাভেরাস আরও বলেন, অপযাপ্ত ঘুমের কারণে শিশুর স্বাভাবিক কর্মকা-ে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এছাড়াও পারিপার্শ্বিক আরও কিছু কারণও এদের প্রভাবিত করে থাকে। প্রথমে এই গবেষণায় কম ঘুম হওয়ার ফলে শিশুর স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা পর্যোবেক্ষণ করা হয়। পরে এই গবেষণায় শিশুর জন্মের পাশাপাশি গর্ভে থাকার সময়ের কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ছয় মাস ধরে করা এই গবেষণায় তিন থেকে সাত বছরের শিশুর মায়েদের সঙ্গে কথা বলা হয়। এই সময় শিশুরা যখন এক, দুই, চার, পাঁচ এবং ছয় বছর বয়সের ছিল ওই সময়কার কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এই গবেষণায় মায়েদের সঙ্গে শিক্ষকরাও শিশুদের কর্মকা- নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেন। শিশু কতটা মনোযোগী, তার স্বাভাবিক কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারছে কিনা, তার স্মৃতিশক্তি কতটুকু কার্যকর আছে এবং সমস্যার সমাধান করতে সে কতটুকু তৎপর ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে তারা তথ্য দেন। প্রোজেক্ট ভিভা নামে এই গবেষণায় প্রায় ১,০৪৬ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায় যেসব শিশু বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রেই মূল সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। ছয় মাস থেকে দুই বছর বয়সি শিশুর দিনে ১২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুম প্রয়োজন। তিন থেকে চার বছরের শিশুর ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি এবং পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সি শিশুর ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুম প্রয়োজন। অ্যাকাডেমিক পেডিয়্যাট্রিকস নামের অনলাইন জার্নালে গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com