গেল কয়েক মাস ধরে বেড়ে যাওয়া মাংস ও সবজির দাম কিছুতেই কমছে না। ফলে ক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, নিউমার্কেট ও মিরপুর-২ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৩০ টাকা; পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২৪০ টাকা; কক প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, যা জানুয়াতি ছিল ২১০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪১৫ টাকা; টারকি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২৭০ টাকা।
শুধু মুরগি নয়, গরু ও খাসির মাংসও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৪৮০ থেকে ৫০০, খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৭২০ থেকে ৭৩০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম নতুন করে না বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে একপিস ডিম ১০ টাকার নিচে মিলছে না। আর পাইকারিতে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।
শুধু মাংসই নয় বাজারে কাঁচাবাজারের মূল্যও বেশি। প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স ও করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে, আলু বাজার ও মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়া বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
এদিকে মাছের বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, চাষের পাঙাশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
|