ড. ইউনূসের সাজার রায় স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
|
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
|
|
|
|
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একই মামলায় আরও সাত আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক পারভীন মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
রোববার (৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানি করেন। এদিন বেলা ২ টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসেন তিনি।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। আজ এ মামলায় চার্জশিট আমলে নেওয়ার জন্য ধার্য ছিল।
সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি ছিল ১৩ জন। নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়েছে। তিনি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান।
চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।
গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।
একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাড. জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাড. মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।
দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধান শুরু।
অভিযোগগুলো ছিল— অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
|
|
|
|
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েই আপিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সই করা হাইকোর্টের ২৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ সেই রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল আবেদন করবেন।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালে নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চায়। ওই আবেদন এনবিআর প্রত্যাখ্যান করার পরে তারা আয়করের টাকা মওকুফ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টেই প্রায় ৩৫০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকার মতো ছিল। কিন্তু অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জানিয়ে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না, এ নিয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে। সেটি শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চার জনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে চার জনকেই আপিলের শর্তে জামিন দেন আদালত।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।
|
|
|
|
রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির রিপোর্ট আমাদের মনঃপূত হয়নি। আমরা পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি করে দিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কমিটিতে তিনজন চিকিৎসক, দুইজন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে। কমিটি এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সোহওয়ার্দী হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার এ বি এম মাকসুদুল আলমকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলা আছে কি না, তার মৃত্যুর ঘটনায় কারা দায়ী, এই কমিটি তা খুঁজে বের করবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট লোক দেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন?
শিশু আয়ানের সুন্নতে খৎনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ লাগে না বলে মন্তব্য করেন আদালত
গত ২৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, তদন্ত কমিটি বলেছে, ৫ বছর ৮ মাস বয়সী আয়ানের ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা (হাঁপানি) ছিল। এই বয়সে অটো পিক বা অ্যালার্জিক অ্যাজমা হয়ে থাকে। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অ্যালার্জেন (অতি সংবেদনশীলকারক) দিয়ে হয়।
অস্ত্রোপচারের আগে আয়ানকে অ্যানেস্থেসিয়া বা সংবেদনহীন করতে প্রয়োগ করা ইনজেকশন প্রোফোফল মারাত্মক অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া (অ্যানাফিল্যাকটয়েড রিয়্যাকশন) সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে শ্বাসতন্ত্র সংকুচিত হয়ে (ল্যারিঙ্গো স্পাজম) বা (ব্রঙ্কোস্পাজম) শ্বাসনালীর আশপাশের পেশি শক্ত হয়ে খিঁচুনি হয়ে থাকতে পারে। যা অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যানেজ করেছেন।
চার নম্বর মতামতে বলা হয়েছে, সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) ও ওষুধ (মেডিকেশন) দিয়ে আয়ানের হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনতে ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। যার কারণে হাইপক্সিক ব্রেন ইনজুরি (মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃত্যু) হয়ে আয়ানের মৃত্যু হতে পারে। তখন সিটি স্ক্যান বা ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম-ইসিজি করলে হাইপক্সিক ব্রেন ইনজুরি হয়েছিল কি না, তা জানা যেত। তাছাড়া সিপিআরের কারণে (রিব ফ্র্যাকচার) পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যেতে পারে বলেও মতামতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, সিপিআর একটি জীবনদায়ী পদ্ধতি। মানুষের হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে দুই হাতে বুকে চাপ দিয়ে শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ান চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগতো। সুন্নতে খৎনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে আরও বলা হয়, শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
চার দফা সুপারিশ
সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মতো আর কারো যেন মৃত্যু না হয়, এজন্য চার দফা সুপারিশ করেছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
১. হাসপাতালে একাধিক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া। ২. রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনকে অ্যানেসথেসিয়া ও অপারেশনের ঝুঁকিগুলো ভালোভাবে অবহিত করা। ৩. হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা। ৪. সরকারের অনুমোদনের পর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা।
গত ৯ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। পরে শিশু আয়ানের বাবা রিটে পক্ষভুক্ত হন। নতুন করে রিটে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যায় শিশু আয়ান। এর আগে তাকে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খৎনা করানোর জন্য নেওয়া হয়েছিল। সেখানে অজ্ঞান করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। এরপর সেখান থেকে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে আনা হয়। এখানে সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায় সে।
|
|
|
|
রমনা মডেল থানার পৃথক তিন মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে গ্রেফতার দেখান।
অসুস্থ থাকায় আলতাফকে শুনানিতে ভার্চুয়ালি কারাগার থেকে উপস্থিত দেখানো হয়। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তার গ্রেফতার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় চারটি মামলা হয়। গত ৫ নভেম্বর ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। ওইদিন তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে নাশকতা ও ভাঙচুরের এক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু আনছার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২৯ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। বর্তমানে এ মামলাটিতে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ জানুয়ার) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্ট্যান্ডওভার রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি দেশে না থাকায় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা।
৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।
গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়।
আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।
১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিল সমাবেশও করে আসছে।
গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।’
তিনি বলেন, ‘ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত-এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে-বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।’
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানার আরও দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন বিষয়ে অধিকতর শুনানি হবে আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি)। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে শুনানি হবে।
এ দুই মামলায় জামিন পেলে আমীর খসরুর কারামুক্তিতে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রমনা ও পল্টনের অন্য দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। তারও আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রমনা থানার দুই ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
১৭ জানুয়ারি পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। সব মিলিয়ে দশ মামলার মধ্যে আট মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত বছরের ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরমধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন।
|
|
|
|
আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা, বিশেষ করে আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা না নেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে সারাদেশে আতশবাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনসহ আরও তিনটি সংগঠন এ রিট আবেদন করে।
সংগঠনগুলোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম জনস্বার্থে এ রিট করেন।
|
|
|
|
ঢাকা: নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়ক-সড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন।
এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে ৭ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ান মারা গেছে। তার মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত ও এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ধার্য ছিল। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পরিবারের পক্ষে এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম রিটটি দায়ের করেন। রিটে এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ডাক্তারদের সনদ বাতিল চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালেরও নিবন্ধন বাতিলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সন্তান হারানোর শোকে পাগলপ্রায় আয়ানের পরিবার।
গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার।
স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন।
আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন যে দুনিয়াতে আয়ান আর নেই। তারা খুব তড়িঘড়ি করে আমাদের বের করে দেন।’
আয়ানের পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে। এমনকি প্রথমে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজে অপারেশনের কথা থাকলেও বিল ধরানো হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা।
আয়ানের চাচা জামিল খান বলেন, আয়ান যদি দুনিয়াতে থাকতো, তবে পুরো প্রায় ৬ লাখ টাকাই নিতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনো তারা আমাদের কাছে এই বিলটাই চাচ্ছে। তারা বলছেন, এখন আপনারা চলে যান, বিলটা পরিশোধের জন্য পরে এসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আয়ানের দাদা আব্দুস সালাম কবির বলেন, ‘খতনার কাজ করেছেন ডাক্তার মেহেরজেবিন। অ্যানেস্থেসিয়া বেশি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে এক ঘণ্টা ক্লাস নেওয়াতে আমার নাতি এভাবে মারা গেলো।’
আয়ানের মামা রাসেল বলেন, ‘ডাক্তার কী ওষুধ ব্যবহার করেছেন, সেসব কিছু লিখা আছে। ফাইলটা এখানে নিয়ে এসেছি। কিন্তু আজকে যখন ওই ফাইলটা চাইলাম, তখন সেটা দেখছি গায়েব করে ফেলেছে’।
অভিযোগ এড়িয়ে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ওপর। গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের নন-মেডিকেল ডিউটি ম্যানেজার সানাউল্লাহ কবির বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবস্থপানাসহ পুরো প্রক্রিয়াতেই দুই প্রতিষ্ঠান আলাদা।
এ ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন বা লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত বছরের নভেম্বরে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরীর আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার রাতে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায়ও নবী উল্লাহ নবীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ করছে ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে নেওয়ার পর তাকে এই ঘটনার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার এজাহার নামীয় আসামি নবী উল্লাহ নবী ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী রাস্তার সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান করে বেআইনিভাবে জনমাগম করেন এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, বাঁশ-লাঠি ও ককটেল নিয়ে সজ্জিত হয়ে সরকার বিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দেন। তারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করেন।
নবীসহ অপর আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা গ্রেট তুরাগ নামে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তায় দাঙ্গাহাঙ্গামা শুরু করেন। নবীসহ অন্যরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন।
বিশ্বস্ত গুপ্তচরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আসামি নবী উল্লাহ নবী রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতা। ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সঠিক নাম ঠিকানা শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা, অর্থের জোগানদাতা ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য আসামিকে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় নবী উল্লাহ নবীকে। তখন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ যে মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সেটিতে গ্রেপ্তারের কথা তখন বলা হয়নি।
এদিকে আজ সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।
হারুন জানান, আগুন দেওয়ার এই ঘটনায় বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী অর্থ সহায়তা করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যুবদল নেতা কাজী মনসুরের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকে দিয়েছে ডিবি পুলিশ। সেখানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বর্ণনা রয়েছে।
কাজী মনসুর ডিবিকে জানান, তারা গতকাল (বৃহস্পতিবার) একটি ভার্চুয়াল মিটিং করেন। মিটিংয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ আরও অনেকে ছিলেন। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে মিটিংটি চলে। মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত হলো, ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ করা যাতে ভোটাররা ভয়ে সেখানে না আসেন। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার। মিটিংয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন জিজ্ঞাসা করেন ট্রেনে আগুন দিতে পারবে কে? উপস্থিত অন্য কেউ কিছু না বললেও একজন রাজি হন।
রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন— কিশোরগঞ্জ থেকে আসা কোনো ট্রেন ঢাকায় ঢোকার পর কিংবা নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে আগুন দিতে হবে। এরপর রাজি হওয়া ব্যক্তিকে আগুনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে আবারো জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষজন। ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছে চরম দুর্ভোগে। দিনের বেলা সড়কে হেডলাইট জালিয়ে চলছে পরিবহনগুলো।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক হয়রত আলী বলেন, এতো ঠান্ডায় মানুষতো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা গরুর হাল নিয়ে মাঠে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কী আর করার, কাজ না করলেতো আর সংসার চলবে না।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মো. নুর ইসলাম বলেন, গত ২ দিন ধরে খুবই ঠান্ডা পড়ছে। ঠান্ডায় বের হওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। এছাড়া বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। যে হারে শীত পড়ছে, বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বাইরে বের হতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামার সম্ভবনা রয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ, ১ জানুয়ারি।
মামলায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয়ের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।
আদালতে সেদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।
অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য দিন ধার্য ছিল সেদিন। শুনানিতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি উপস্থিত হয়েছেন শ্রম আদালতে। এরপর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।
এরও আগে ২১ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত রায় ঘোষণার নতুন এদিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য গত ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক দুই দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই দিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। পরে ২ নভেম্বর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ও তার গ্রেপ্তার দেখাতে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন মির্জা আব্বাসকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি।
জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি-বিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আসামি করে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন বিশেষ জজ আদালত-৬ (জেলা ও দায়রা জজ) এর তৎকালীন বিচারক তানজীনা ইসমাইল মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগ আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা বাতিল করেন। এ মামলায় বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এছাড়া মির্জা আব্বাসসহ পাঁচ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন। গত ১৫ নভেম্বর মামলার সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে মির্জা আব্বাস নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।
|
|
|
|
|
|
|