২১ জুন সূর্যগ্রহণ, জেনে নিন কিছু তথ্য
অনলাইন ডেস্ক : আগামী ২১ জুন রবিবার সূর্যগ্রহণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে সূর্য চন্দ্র এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় অর্থাৎ চন্দ্র যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে অবস্থান করে তখন চন্দ্রের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়লে সূর্যগ্রহণ ঘটে। সূর্যগ্রহণ অমাবস্যা তিথিতে হয়। এবারের গ্রহণ কাল : গ্রহণ শুরু সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট। শেষ বেলা ৩টা বেজে ৩৪ মিনিটে। বলয় গ্রাস ১০টা ৪৯ থেকে ২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। চূড়ান্ত গ্রহণ কাল ১২টা বেজে ৪০ মিনিট।
এশিয়ার আরও অন্যান্য দেশ, আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং প্রসান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে রবিবারের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু অংশ থেকেও ২১ জুনের বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে। কঙ্গো, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান এবং চীনেও দেখা যাবে এটি। ২০২০ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ ডিসেম্বর। সেই গ্রহণ কিন্তু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। ওই সময় সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়, ফলে তারই ছায়া পড়ে পৃথিবীতে।
|
অনলাইন ডেস্ক : আগামী ২১ জুন রবিবার সূর্যগ্রহণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে সূর্য চন্দ্র এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় অর্থাৎ চন্দ্র যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে অবস্থান করে তখন চন্দ্রের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়লে সূর্যগ্রহণ ঘটে। সূর্যগ্রহণ অমাবস্যা তিথিতে হয়। এবারের গ্রহণ কাল : গ্রহণ শুরু সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট। শেষ বেলা ৩টা বেজে ৩৪ মিনিটে। বলয় গ্রাস ১০টা ৪৯ থেকে ২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। চূড়ান্ত গ্রহণ কাল ১২টা বেজে ৪০ মিনিট।
এশিয়ার আরও অন্যান্য দেশ, আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং প্রসান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে রবিবারের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু অংশ থেকেও ২১ জুনের বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে। কঙ্গো, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান এবং চীনেও দেখা যাবে এটি। ২০২০ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ ডিসেম্বর। সেই গ্রহণ কিন্তু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। ওই সময় সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়, ফলে তারই ছায়া পড়ে পৃথিবীতে।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট:
গ্রিসের একটি ছোট দ্বীপ ইকারিয়া। ২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে যেন মানুষের জীবনে এমন কিছু একটা ঘটেছে, যার ফলে ‘মৃত্যুকে ভুলতে বসেছেন’ তাঁরা! বা অন্যভাবে বললে বিষয়টা এমন, ‘অমরত্বের’ রহস্য জেনে ফেলেছেন! বিস্ময়ে ভরা এই দ্বীপের মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছর। এত বছর বয়স মানেই চোখের সামনে কুঞ্চিত চামড়া, ক্ষীণ দৃষ্টি, লাঠি ধরে চেয়ারে বসে থাকার যে ছবি ফুটে ওঠে, তার সঙ্গে ইকারিয়ার বাসিন্দাদের কোনো মিল পাবেন না। ১০০ বছরেও লাঠি-নির্ভর নন এখানকার বাসিন্দারা। পাহাড়ি সিঁড়ি ভেঙে একাই উঠে যান গির্জায়।
শয্যাশায়ী, মরতে বসা ক্যান্সারের রোগীও এখানে এসে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বিনা চিকিৎসায়। তারপর হৈ হৈ করে কাটিয়ে ফেলতে পারেন অনেক বছর! এমনই জাদু রয়েছে এই দ্বীপে। যেমনটা হয়েছিল ইকারিয়ার বাসিন্দা স্ট্যামাটিস মোরাইটিসের সঙ্গে। দীর্ঘদিন স্ট্যামাটিস ইকারিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকতেন। ১৯৭৬ সালে একদিন হঠাত্ই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি। তাঁর মাত্র নয় মাস আয়ু রয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। স্ট্যামাটিসের তখন ৬০ বছর বয়স। জীবনের শেষ সময়টা তিনি ইকারিয়ায় ছেলেবেলার বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলেন। ফলে স্ত্রীর সঙ্গে ইকারিয়ায় ফিরে আসেন তিনি। সেখানে আসার মাস খানেক পর থেকেই যেন তাঁর জীবনের ঘড়ি উল্টো দিকে চলতে শুরু করে। ক্রমে সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। শয্যাশায়ী মানুষটা একাই হাঁটাচলা শুরু করেন। এমনকি নিজের জমিতে চাষ করে অলিভও ফলান! ৯০ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন তিনি। এ রকম ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে।
১০০ পার করা ইকারিয়ার বাসিন্দা গ্রেগরি সাহাস ৭০ বছর ধরে দিনে অন্তত ২০টা সিগারেট খেতেন। তা সত্ত্বেও এক অ্যাপেনডিসাইটিস সংক্রমণ ছাড়া আর কোনো অসুখ সারা জীবনে ছুঁতে পারেনি তাকে। এখানকার বাসিন্দারা আজও ঘড়ির উপর নির্ভরশীল নন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো দোকান খোলেন। লাঞ্চে নিমন্ত্রিত অতিথিরা দুপুর ১২টাতে আসতে পারেন, আবার সন্ধ্যা ৬টাতেও। এখানে সবাই নিজের মর্জির মালিক। আর তাতে কারও কোনো সমস্যাও নেই। ছোট্ট এই দ্বীপে সকলেই একটা পরিবারের মতো বাঁচেন। টাকা-পয়সা নিয়ে কেউই মাথা ঘামান না। আর তাই ভীষণ স্ট্রেস মুক্ত জীবন এখানে। বেশি শাক-সব্জি, ফল খান তাঁরা। ফাস্ট ফুড একেবারেই চলে না এখানে। মাছ-মাংসও পরিমাণে খুব কম খান এখানকার বাসিন্দারা। মৎস্যজীবী, চাষি, পশুপালন এগুলোই এখানকার মানুষের মূল জীবিকা। আর পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আলাদা করে শরীরচর্চারও প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সেটা সম্পূর্ণ হয়।
ইকারিয়ানরা স্থানীয় মদ খান। কিন্তু তা কখনও দু’গ্লাস অতিক্রম করে না। রাতে ঘুমনোর আগে তাঁরা এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হার্বাল চা খান। কোনো স্ট্রেস না থাকার কারণে তাঁদের ঘুমও পর্যাপ্ত হয়, যা শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম উপায়। ভাবতে অবাক লাগলেও বয়স তাঁদের যৌবনেও ছাপ ফেলতে পারে না। তাই ৮০ শতাংশ ইকারিয়ান ৬৫ থেকে ১০০ বছরেও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক যৌন জীবন পর্যন্ত উপভোগ করেন। ইউনিভার্সিটি অব আথেন্স-র এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০০০ সালে ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক এক্সপ্লোরার এবং লেখক ড্যান বুয়েটনার এই দ্বীপের জীবনযাপন নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন, যার নাম ‘দ্য ব্লু জোনস সলিউশন’। মূলত ইকারিয়াদের দীর্ঘায়ু হওয়ার ‘রহস্য’ লেখা রয়েছে ওই বইয়ে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শতায়ুর সংখ্যা এই দ্বীপে কেন? কেন এখানে মানুষ কম অসুখে ভোগেন? বিশ্বে ভয়ানক হারে বাড়তে থাকা ক্যান্সার এবং হৃদরোগ এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখাই যায় না, সেটা কী ভাবে সম্ভব? প্রচুর গবেষণাও হয়েছে এ নিয়ে। গবেষণায় বারবারই তাঁদের লাইফস্টাইলের বিষয়টি উঠে এসেছে। তাঁদের চিন্তামুক্ত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস এবং সর্বোপরি এই দ্বীপের জলবায়ু— এই তিনটি কারণের জন্যই ‘মৃত্যুকে ভুলতে বসেছেন’ এঁরা, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এবার সামনে এলো একটি অদ্ভুত দর্শন প্রাণীর কঙ্কালের ভিডিও। প্রাণীটি সামুদ্রিক বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এক মহিলা সকালে ঘুরতে বেরিয়ে কঙ্কালটি দেখতে পান। মোবাইলের ক্যামেরা অন করে সেটির ছবি রেকর্ড করেন। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বছর পঁচিশের এক তরুণী, এরিকা কনস্টানটাইন পাঁচ বছর ধরে আমেরিকায় সাউথ ক্যারোলিনার চার্লস্টন শহরে থাকেন। শহরের সংলগ্ন সানরাইজ পার্ক এলাকার সৈকতে রোজই তিনি হাঁটতে যান। সঙ্গে থাকে তাঁর পোষা কুকুরটি। তিনি জীবনে এমন অদ্ভুত জিনিস দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের মতো এদিনও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এরিকা। কিন্তু দিনের শুরুটা তাঁর আর পাঁচটা দিনের মতো হলো না। পোষা কুকুরটি হঠাৎই দৌড়ে গিয়ে কিছু একটার সামনে চিৎকার করতে থাকে। এরিকা জানিয়েছেন, তাঁর পোষ্যটি যখন কোনও মৃত প্রাণী বা অদ্ভুত কিছু দেখে এমন চিৎকার করে। তিনিও দ্রুত কুকুরটির কাছে পৌঁছে যান। এরিকা গিয়ে দেখেন এক অদ্ভুত দেখতে প্রাণীর কঙ্কাল সমুদ্র তটে পড়ে রয়েছে। যার বড় বড় দাঁত। চোখ কোথায় ছিল ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এরিকার দাবি, আকারে সেটি একটি কুকুরের সমান হবে। কিন্তু তাঁর দেখা কোনও প্রাণীর সঙ্গেই এই কঙ্কালটির কোনও মিল পাচ্ছিলেন না এরিকা।
তিনি ভিডিওটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। ন্যাশনাল ওস্যানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, পৃথিবীর সমুদ্রের ৯৫ শতাংশই এখনও অন্বেষণ করা বাকি, আর সমুদ্রতলের ৯৯ শতাংশ অংশে এখনও কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারে না মানুষ। তাই সমুদ্রের অতল গভীরে কোন কোন প্রাণী রয়েছে তার অনেক কিছুই দেখা বাকি। তেমনই কোনও একটি প্রাণী হতে পারে এই কঙ্কালটি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক: মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে উহান থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার। উহানে অনেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন যাদের একজন দ্বীন মুহাম্মদ প্রিয়। সম্প্রতি তার একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। চীনের থ্রি গোর্জেস ইউনিভার্সিটির ছাত্র দ্বীন মুহাম্মদ প্রিয়`র পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো। খাবারের অভাব যে কত বড় একটা অভাব তা নিজে সম্মুখীন না হলে হয়ত বুঝতে পারতাম না।
পানিটা তাও ফুটিয়ে খাওয়া যায় কিন্তু খাবার না থাকলে তো আর রান্না করা যায় না। আমরা এখানে ১৭২ জন বাংলাদেশি যে কি পরিমাণ কষ্টে আছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমাদের ডরমিটরি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বাইরে যেতে পারি না এবং কেউ ভিতরেও আসতে পারে না। ইউনিভার্সিটি খাবার দিতে চেয়েছে সেই ৩ দিন আগে, খাবার অর্ডার করেছিলাম এখন পর্যন্ত খাবার পাইনি। এই অবস্থায় আমরা এখানে কতদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকব সেটা জানি না। আমাদের ট্রেন, স্টেশন, বিমানবন্দর বন্ধ। সরকারের সাহায্য ব্যাতিত আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ আমাদের এই অবস্থা থেকে রক্ষা করুন। আমাদের এখানে কোন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হইনি কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে অচিরেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমি ২০১৬ ব্যাচের ছাত্র এখন সিনিয়র, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ব্যাচের ছোট ভাই-বোনেরা জন্য সমস্যার কথা জানায় তখন এই নিজেকে অক্ষম মনে হয়। দয়া করে আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করুন।
দ্বীপায়ন রায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (চতুর্থ বর্ষ) চায়না থ্রি গর্জেস ইউনিভার্সিটি। ইচাং,হুবেই।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট:
কত যে অদ্ভুত প্রাণী রয়েছে এই পৃথিবীতে, তার কয়টিকেই বা আর আমরা চিনি? এমনই এক অদ্ভুত দেখতে প্রাণী ধরা পড়ল একটি ছিপে। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে এক ইউজার প্রাণীটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর ভিডিওটি ১৪ লাখ শুধু লাইক পেয়েছে। নাতালিয়া ভরবক নামে এক টিকটক ইউজার কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তাঁর অ্যাকাউন্টে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি কাঠের ডেকের উপর একটি প্রাণীকে তুলে রাখা হয়েছে। তার শরীরে পেঁচিয়ে রয়েছে মাছ ধরার ছিপের সুতো। দেখেই মনে হচ্ছে, সমুদ্রে ছিপ ফেলে সেটিকে কেউ ধরেছেন। প্রাণীটি দেখতে কিছুটা স্কুইড বা অক্টোপাসের মতো। তবে অক্টোপাসের মতো এতে আটটি শুঁড় নেই। রয়েছে একটি বড় শুঁড়ের মতো অংশ, আর তার থেকে দুটি ছোট ছোট লেজের মতো রয়েছে। ফোলা মতো মাথার দুদিকে দুটি চোখ রয়েছে। সুতোয় একটু টান পড়তেই প্রাণীটিকে ছটফট করতে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।
প্রাণীটি নিউ ইয়র্কে ব্রুকলিনের কোনি আইল্যান্ডে ধরা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। ভিডিওটি ১৪ লাখ লাইক পাওয়ার পাশাপাশি কমেন্ট পেয়েছে প্রায় ২০ হাজার। আর ভিডিওটি দেখা হয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ বার। প্রাণীটির নাম কী সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ভিডিওটির পোস্টে। প্রাণীটি শেষ পর্যন্ত জলে ফিরে যেতে পেরেছে কিনা, তা-ও উল্লেখ করা হয়নি টিকটকে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডের গুমলাতে কুয়োতে আটকে পড়ে এক হাতি। হাতিকে আটকে পড়ে থাকা দেখে গ্রামবাসীর মধ্যে দুঃখ হলেও উদ্ধার করতে তারা ছিলেন অপারগ। এরপরই খবর দেওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের বন দফতরে। মঙ্গলবার সাত সকালে সে রাজ্যের বিপন্ন হাতিকে উদ্ধার করতে বন দফতরে কর্মীরা ছুটে আসেন। তাঁরা স্থূলকায় ওই জীবকে উদ্ধারে প্রয়োগ করেন আর্কিমিডিসের সূত্র।
ইয়াহু নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দফতরের কর্মীরা কুয়ো তিনটি পাম্পের সাহায্যে পানি ভর্তি করেন। এর ফলে পানির চাপে ধীরে ধীরে ওপরে ভেসে ওঠে সেই হাতিটি। ওপরের দিকে কাঠের তক্তা দিয়ে আগে থেকেই তৈরি করা ছিল র্যাম্প। সেই র্যাম্প বেয়ে এরপর কুয়োর বাইরে বেরিয়ে আসে সেই হাতি। এ ঘটনায় স্পষ্টতই খুশি কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রক। আইএফএস আধিকারিক রমেশ পাণ্ডে গুমলার ডিভিশনাল বন আধিকারিক ও রাজ্য বন দফতরকে এই সাফল্যের জন্য বাহবা দিয়েছেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘মন ভালো করে দেওয়া ছবি। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে গুমলা বন দফতর ও গ্রামবাসীরা ওই হাতিকে উদ্ধার করেছেন। বিপর্যয়ের সময় আর্কিমিডিসের সূত্র ব্যবহার করে মুক্ত করেছে একটা হাতির ছানাকে।’ সেই টুইট দেখে অন্য নেটিজেনরাও এই উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ করেছেন।
জানা গেছে, কুয়োতে ঘণ্টা খানেক আটক থাকলেও সেই হাতির কোনও আঘাত লাগেনি। মুক্ত হয়ে বেশ হেলতে দুলতেই জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে ওই স্থূলকায় জীব।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন কবি এমিলি ডিকিনসন একটি কথা বলেছিলেন। যার মমার্থ অনেকটা এরুপ-মন থেকে কোনো ব্যক্তি বা কোনো বস্তুর প্রেমে পড়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। ঠিক যেমনটি ঘটেছে জার্মান নারী মাইকেল কবকের ক্ষেত্রে। ৩০ বছর বয়সী এই নারী কোনো পুরুষের নয়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর প্রেমে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ডেটিং করছেন এই জড়বস্তুর সঙ্গে। ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মার্চে বিয়ে করছেন তারা।
৪০ টন ওজনের এই জাম্বো জেটের সঙ্গে কবকের প্রথম দেখা হয় ২০১৪ সালে বার্লিন টেগেল এয়ারপোর্টে। তখনই বিশালাকৃতির এই অত্যাধুনিক বিমানের প্রেমে পড়ে যান তিনি।
জার্মান এই নারীর বিমানপ্রীতির ঘটনা এ কান থেকে ও কানে যেতে সময় লাগেনি। বিমানের প্রতি একটা আগ্রহ দেখে বিমানকে স্পর্শ করার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত তিনি বিমানের পাখায় ওঠার সুযোগ পান এবং তাতে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেন। ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মার্চে নেদারল্যান্ডসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তারা।
২০১৩ সালের নভেম্বরে প্রথম বিমানে আরোহন করেন এই জার্মান নারী। এরপর থেকেই মূলত বিমানের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। সেই সময়টার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বিমানে থাকার মুহূর্তটা ছিল আমার জীবনের সেরা সময়। আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন অনেক মজা করেছি, একে অপরকে চুম্বন করেছি এবং আমি তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিয়েছে।’
কবকে ভালোবেসে বিমানবয়ফ্রেন্ডের নাম দিয়েছেন ‘স্ক্যাটজ’, যার অর্থ প্রিয়তম। কবকের দাবি, তারা ছয় বছর ধরে ডেটিং করছেন এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র দুইবার। তার ইচ্ছা, সুযোগ পেলে সারাদিন কাটাবেন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর সঙ্গ সবসময় না পেলেও নিজের বেডরুমে বোয়িংয়ের একটি মডেল রেখে দিয়েছেন কবকে। যান্ত্রিক এই প্রেমিককে জড়িয়ে ধরেই রাত পার করেন তিনি। মার্চে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পেশায় বিক্রয়কর্মী এই নারী। বিশেষ ওই দিনে কোনো সাদা রঙের পোশাক পরতে চান না তিনি। তিনি বলেছেন, ‘তার বিশেষ দিনের পোশাক হবে স্মার্ট ধরনের। সেটা হলো কালো রঙের ট্রাউজার ও ব্লেজার।’
আমি চাই কেউ আমাদের বিয়ে দিয়ে দিক আর বলুক, ‘তুমি কি তোমার ৭৩৭-৮০০ কে বিয়ে করত চাও?’উত্তরে আমি বলব, ‘অবশ্যই’। আমি তাকে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেব এবং সারাজীবন অমর থাকব।
বলা হচ্ছে, বোয়িংয়ের প্রতি জার্মান এই নারীর প্রবল আকর্ষণ কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আবার এমন ঘটনা যে আগে ঘটেনি, তা-ও কিন্তু নয়। বিশেষ বস্তর প্রতি এমন টানকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অবজেক্টোফোবিয়া। কেউ এই রোগে ভুগলে তার বিশেষ বস্তুর প্রতি অপরিসীম টান তৈরি হয়।
তবে বোয়িংয়ের প্রতি এ টানকে ব্যতিক্রম বলতে রাজি নন কবকে। তার মতে, তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গেই (বোয়িংয়ের মডেল) সন্ধ্যায় সময় কাটাই। যখন রাতে বিছানায় যাই তখন আমরা এক অপরকে জড়িয়ে ধরি এবং ঘুমিয়ে পড়ি।’ তার মতে, ভালোবাসার কোনো সীমা নেই।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক
রূপকথার রাপুঞ্জেল যেন নেমে এসেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যে। রাজ্যের মোদাসা শহরে নিলানশি প্যাটেল নামের ১৯ বছর বয়সী এক নারীর চুল ৬ ফুটের বেশি লম্বা। বাহারি চুলের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে লম্বা চুলের অধিকারী হতে চুল বড় করেননি নিলানশি। এক বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা থেকে চুল বড় করেছিলেন তিনি। ছয় বছর বয়সে একবার সেলুনে চুল কাটাতে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই চুল কাটানো পছন্দ হয়নি নিলানশির। ফলে আর চুল কাটেননি তিনি। আর সেই চুল তাঁকে স্থান দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বলা হচ্ছে, নিলানশি হলেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের তরুণী।
নিলানশি এই প্রথম রেকর্ডস বুকে নাম লিখিয়েছেন এমনটা নয়, এর আগে ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বরও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর চুল ছিল ৫.৫৯ ফুট। এরপর সেই রেকর্ড হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। গত শুক্রবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে জানিয়েছে, ৬ ফুট ২.৮ ইঞ্চি চুলের জন্য সম্প্রতি আবার রেকর্ড ফিরে পেয়েছেন নিলানশি।
নিলানশি বলেন, ‘আমি আমার চুল পছন্দ করি। আমি কখনোই আমার চুল কাটিনি। আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল, আমার নাম গিনেস বুকে উঠবে।’
নিলানশির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর এই লম্বা চুলের রহস্য কী? এই প্রশ্নের উত্তরে রহস্যটা খোলাসা করেননি তিনি। তিনি বলেন, তাঁর মা তাঁকে ঘরে তৈরি করা তেল মেখে দেন।
নিলানশি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আসলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হতে চান। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও লম্বা চুলের অধিকারী হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে চান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
কথায় আছে সবচেয়ে প্রভুভক্ত প্রাণি হলো কুকুর। আর তাইতো অনেকের বাড়ীতেই একটি দুটি করে কুকুর পাওয়া যায়, দিনে বা রাতে বাড়িতে অপরিচিত কেও বেড়াতে এলে কুকুর তার নিজের সুরে প্রভুকে/বাড়ীর মালিককে সতর্ক করে দেয়। বিজ্ঞান বলছেন,অন্য প্রাণির চেয়ে কুকুরের একটি ইন্দ্রিয়শক্তি বেশি আছে। যার ফলে সে প্রাচীরের ওপাশে কি আছে তা বুঝতে পারে। তাছাড়া বিশ্বের অনেক দেশে কুকুর দ্বারা বিভিন্ন জিনিস এর অনুসন্ধান করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। আবার অনেকে বর্তমানে কুকুরকে পুতুল হিসাবেও পোষ মানিয়ে কোলে করে শুয়ে থাকে। থাক সে কথা। কুকুর নিয়ে অনেক গল্প কাহিনী আছে, কিন্তু এবার তৈরী হলো "নতুন গল্প,নতুন ইতিহাস" কুকুর জন্মদিল `বিস্ময়কর অদ্ভুদ ঘটনা` পাল্টে দিল মানুষের ধ্যনধারনা। পৃথিবীতে প্রতিদিন ঘটছে হাজারো রকমের আশ্চর্যজনক চাঞ্চল্যকর অদ্ভুত ঘটনা। যা আমরা অনেক সময় কল্পনিক বা রূপক ঘটনা হিসাবে ধরে নিই। এসব ঘটনা আমরা অনেক সময় বিশ্বাস করি আবার করিওনা। ঠিক তেমনই অবাক করা অবিশ্বাস্য অকল্পনিয় ঘটনার জন্ম দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের মৃত কাঙ্গালী মন্ডলের বাড়ীর একটি কুকুর। আর তা হলো একটি ছাগলছানাকে নিজের দুধ খাওয়ায় । ছাগল ছানাটির মা থাকায় পরও দুধ পাইনা। এক পর্যায়ে দুধের অভাবে ছানাটি যখন নিরুপায় ঠিক তখনই মায়ের ভুমিকা নিয়ে নিজের দুধ খাওয়াতে থাকে কুকুরটি। ঘটনাটি যখন আস্তে আস্তে লোক চক্কুর নজরে আসে তখন ব্যাপারটি ভাইরাল হতে থাকে। চারিদিক থেকে ছুটে আসে শতশত মানুষ। তাদের মাঝে কয়েক জনের সাথে কথা হয় দৈনিক এশিয়া বাণী’র,আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের শ্যামল আলী বলেন, ঘটনাটি সত্যিই অবাক করার মত,সবচেয়ে আশ্চর্য জনক যে,পৃথিবিতে যখন মানুষ মানুষের পাশে দাড়াইনা ঠিক তখনই একটি প্রাণি আরেকটি প্রাণির পাশে দাড়িয়ে গোটা দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিল সৃষ্টির জন্য সৃষ্টি। অন্যের বিপদে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। কুকুরটি বুঝিয়ে দিলযে কেও না খেয়ে অনাহারে থাকলে তাকে খাবার দিতে হবে। এতিম মিসকিনদের পাশে দাড়াতে হবে। লোকছান মন্ডল জানান,ঘটনাটি শোনার পর অবাক মনে হচ্ছিলো তাই দেখতে এলাম। আসলেই সত্যি। করিম মিয়া বলেন,কি আশ্চর্য জনক ঘটনা পূর্বে কখনো এমন দেখিনি বা শুনিইও নি। আমির আলী বলেন, এটা দেখে মানুষের অনেক শেখার আছে তবে এই কুকুরের দুধে বিশ আছে কি না সেটি আগে জানতে হবে। নইলে বিপদ হবে ছাগলছানাটির।শিবলু আলী জানান,পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে হায়াৎ মউত রিজিক আল্লাহর হাতে। যার জলন্ত উধাহারণ এটি। যুগেযুগে মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য এমন অনেক অবাক করা ঘটনা দেখান যাহাতে মানুষ শিক্ষা লাভ করে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার সাথে দৈনিক এশিয়া বাণী কথা বললে জানান,পরীক্ষা নিরিক্ষার পরই জানা যাবে কুকুরের দুধে বিষ আছে কি না। তবে ছাগলছানাটিকে এ দুধ না খাওয়ানোই উচিৎ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বয়স্ক সাক্ষরতার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৬০ বছরের বেশি বয়সী ৫৮ শতাংশ শহুরে ও ৪০ শতাংশ গ্রামীণ পুরুষ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, যেখানে মাত্র ২৪ শতাংশ শহুরে ও ১২ শতাংশ গ্রামীণ নারী সাক্ষর জ্ঞান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বয়স্ক শিক্ষা নিয়ে ইউনেস্কোর চতুর্থ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে গ্রাম ও শহরে লিঙ্গভিত্তিক সাক্ষরতার হার তুলে ধরা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে নতুন প্রজন্মের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সাক্ষরতার বৈষম্য মোচনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে সাক্ষরতার হার শহরে ৮০ শতাংশ ও গ্রামে ৭৪ শতাংশ, যেখানে একই বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ৮৩ শতাংশ ও ৮১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষাই প্রধান হলেও প্রায় এক তৃতীয়াংশ দেশে পাঁচ শতাংশেরও কম ১৫ বছর বা তার চেয়ে বয়সীরা শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়।
বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, যাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ, শরণার্থী ও অভিবাসী এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন। গ্রামে যথাযথভাবে বয়স্ক শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়ায় গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এসব শিক্ষাকেন্দ্রের (সিএলসি) সংখ্যা, যেগুলোতে সাক্ষরতা, দক্ষতা ও নানা কারিগরি প্রশিক্ষণে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
তবে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করতে হলে হলে বয়স্ক শিক্ষায় অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে ইউনেস্কো।
বয়স্ক শিক্ষায় সবার সুযোগ ও সুবিধা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগসহ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিয়ে করেছেন গুলতেকিন খান। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন তিনি। নতুন এই দম্পতির পরিবারসূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সম্প্রতি ঢাকাতেই ছোট পরিসরে গুলতেকিন-আফতাবের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদের কবি এবং লেখক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।
Swapno offer প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খান। গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। ২০০৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। আফতাব আহমদ আগে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। আফতাব আহমদ অভিনেত্রী আয়েশা আখতারের ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে আফতাব–গুলতেকিন দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত প্রিয়জনদের সঙ্গে আফতাব–গুলতেকিন দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত আফতাব আহমদের সঙ্গে গুলতেকিনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। গেল ২ আগস্ট আফতাব আহমদের জন্মদিনে গুলতেকিন নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি কবিতা পোস্ট করেন—
তোমার জন্যে মাত্রা বৃত্তে গুলতেকিন খান (আফতাব আহমেদ, জন্মদিনে, তোমাকে...)
তোমার জন্যে মাত্রা বৃত্তে লিখবো বলে যখন ভাবি ছিপের তিন মাল্লা মিলে হারিয়ে ফেলে নাকের ছবি যখন ভাবি তোমায় নিয়ে উঠবো গিয়ে নতুন তীরে শ্যাওলা জলে নোলক খুঁজে পানকৌড়ি যায় না ফিরে।
এমন একটা ছন্দ পেতাম তোমায় নিয়ে মুখ ঢাকা যায় বৈঠা হেনে ছিপটি টেনে হয়ে গেছি আজ অসহায় ঝড়ে ডোবার জাহাজ তুমি নও যে সেটা সবাই জানে তোমার কিছু যায় আসে না মানে কিংবা অসম্মানে।
তোমার জন্যে মাত্রা বৃত্তে লিখবো বলে ভাবতে থাকি নাগর দোলায় একটু সময়, আর কিছুটা থাকুক বাকি।
|
|
|
|
কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব মুক্ত হয়েছে দেশ। সোমবার সকালে তুলে নেয়া হয়েছে সব সতর্ক সংকেত। এরপর ঝলমলে রোদে আবারও প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি।
বৈরি আবহাওয়ায় পর্যটকরা তিনদিন হোটেলে বন্দি সময় পার করলেও সোমবার সকাল থেকে সৈকতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। কয়েকদিনের আতঙ্ক কাটিয়ে স্থানীয়রাও যোগ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে।
এদিকে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়ে আনন্দ যেন বিষাদে রূপ না নেয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দুর্ঘটনা রোধে তৎপর আছেন লাইফগার্ড কর্মীরা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তিনদিন সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকরাও সোমবার তীরে ফিরেছেন। সংকেত নামিয়ে ফেলার পর পরই সকাল সাড়ে নয়টায় এলসিটি কুতুবদিয়া ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনিং সেন্টমার্টিন গিয়ে তাদের নিয়ে বিকেলেই টেকনাফে ফিরে আসে। পর্যটকদের নিরাপদে রেখে টেকনাফে পৌঁছে দিতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
পুরুষদের পাশাপাশি নরীরাও ভিড় করছেন সৈকতে
কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনিং এবং কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, কোনো যাত্রী ছাড়াই সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে আটকে পড়া প্রায় ১২শ’ পর্যটককে নিয়ে বিকেলে সেগুলো আবার টেকনাফ ফিরে আসে।
কক্সবাজার সৈকতে বিপদাপন্ন পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা ‘সী সেইফ লাইফগার্ডের’ সুপারভাইজার মো. ওসমান গনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবলের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পাশাপাশি সাগর খুবই উত্তাল ছিল। সে সময় বেড়াতে আসা সিংহভাগ পর্যটক হোটেল রুমে, লবিতে বসে অলস সময় পার করলেও কিছু তরুণ পর্যটক ভয় উপেক্ষা করে সাগরে নেমেছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে সংকেত উঠে যাওয়ায় এখন সব বয়সের পর্যটকরা সৈকতে নামছেন। নিজের মতো গোসল, হৈ হল্লুড় করে আনন্দ করছেন।
তিনি আরও জানান, অনেক পর্যটক আনন্দে মেতে ঢেউয়ের খেই হারিয়ে ভেসে যান। এমন পরিস্থিতি এড়াতে লাইফগার্ডকর্মীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। যারা একটু বিপৎসীমা অতিক্রম করছেন তাদের কাছে গিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ঢাকার বনশ্রী থেকে স্ব-পরিবারে আসা আবীর ইসলাম বলেন, এসেছি শনিবার। তখন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রুমেই বন্দি থাকতে হয়েচিল। এখন আকাশ পরিষ্কার। তাই সবাই মিলে ঢেউয়ের ছোঁয়ায় আনন্দ করছি।
কলাতলীর হোটেল হোয়াইট অর্কিডের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) রিয়াদ ইফতেখার বলেন, অক্টোবরের শুরু থেকে পর্যটন মৌসুম চলছে। ছুটিরদিন ছাড়াও পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে কমবেশি। সব হোটেলেই কোলাহল রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত পর্যন্ত ভোগান্তিতে ছিলেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। কিন্তু এখন পরিষ্কার আকাশে পর্যটক ও স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা সাগরের সান্নিধ্য নিচ্ছেন।
পর্যটকদের ভেসে যাওয়া রোধে তৎপর লাইফগার্ড কর্মীরা
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, যে কোনো ধরনের দুর্যোগ এড়াতে প্রস্তুতি ছিল আমাদের। বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি থেকে আল্লাহ কক্সবাজারবাসীকে রক্ষা করেছেন। এখন সতর্কতা সংকেতও নেই। তাই স্থানীয়দের মতো পর্যটকরাও নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করছেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের যে কোনো ধরনের হয়রানি এড়াতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে আছেন। প্রতিটি হোটেলে ম্যাজিস্ট্রেটের নম্বর দেয়া আছে। কোনো ধরনের হয়রানি হলে ফোনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ নজর রেখে মাঠে রয়েছে পুলিশ। পর্যটন এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি আমাদেরও দৃষ্টি রয়েছে।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক
নতুন একটি গবেষণা বলছে, বিশ্বে জলবায়ু সঙ্কট জরুরি অবস্থায় পৌঁছেছে। গবেষণাটি সমর্থন করেছেন বিশ্বের ১৫৩টি দেশের প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী।
বুধবার (৬ নভেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গত ৪০ বছরের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে চালানো ওই গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ। মানুষ যে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া তা মোকাবিলা সম্ভব নয়।
গবেষকরা জানান, পরিবেশ যে হুমকির মুখে আছে, সেই বিষয়ে সতর্ক করা তাদের নৈতিক কর্তব্য।
স্যাটেলাইট ডাটা অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, নতুন গবেষণাটি বলছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় যে বিপর্যয় ঘটবে, তা বুঝতে শুধু বিশ্বের উপরিভাগের তাপমাত্রা পরিমাপ করাই পর্যাপ্ত নয়।
তাই গবেষকরা গত ৪০ বছরের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দীর্ঘসময়ের জলবায়ু পরিবর্তনের নির্দেশকগুলো গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন।
জনসংখ্যা ও প্রাণীদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার, মাংস উৎপাদন, বিশ্বজুড়ে মাংস উৎপাদনের পরিমাণ, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি বেশকিছু অগ্রগতি হয়েছে। যেমন- নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রতি যুগে বায়ু ও সৌর শক্তির ব্যবহার ৩৭৩ ভাগ করে বাড়ছে। তারপরও এটি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ থেকে ২৮ গুণ কম।
নির্দেশক অনুযায়ী জলবায়ু সঙ্কট জরুরি অবস্থায় পৌঁছেছে।
গবেষণা প্রবন্ধটির প্রধান লেখক ইউনিভার্সিটি অব সিডনির প্রফেসর ড. থমাস নিউসাম বলেন, জরুরি অবস্থার মানে হলো, আমরা যদি এখনই কার্বন নিঃসরণ, খামারে পশু উৎপাদনের হার, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমাই, তাহলে আমাদের ধারণার চেয়ে প্রকট রূপ ধারণ করবে এই সঙ্কট।
আগেই বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এমন সতর্কবার্তাগুলো নতুন গবেষণাটিতে থাকলেও তা অন্যগুলো থেকে আলাদা। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই সঙ্কট কতোটা তীব্র এবং বিষয়টি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের জনগণ ও সরকারের উদ্যোগ কতোটা অপর্যাপ্ত।
গবেষণায় ছয়টি ক্ষেত্র দেখানো হয়েছে, যেখানে জরুরি পদক্ষেপ নিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
জ্বালানি ব্যবহার: রাজনীতিবিদদের উচিত কার্বন ফি বেশি নির্ধারণ করা, যেন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে। জীবাশ্ম জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
দূষক কমানো: মিথেন, হাইড্রোফ্লুরোকার্বন- এধরনের দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাওয়া দূষকগুলোর ব্যবহার কমালে আগামী কয়েক যুগের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমে যাবে।
প্রকৃতি সংরক্ষণ: বনগুলো রক্ষা করতে হবে। নতুন বনায়ন জরুরি। তাহলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
খাদ্যাভ্যাস: খাদ্যাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। প্রাণীজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে উদ্ভিদজাত খাবার খেতে হবে। একইসঙ্গে খাবার অপচয় কমাতে হবে।
অর্থনীতি: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে ছুটে উৎপাদন বাড়ানোর হার থামাতে হবে।
জনসংখ্যা: বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ শিশুর জন্ম হয়।
১৫৩টি দেশের প্রায় ১১ হাজার গবেষক-বিজ্ঞানী এই গবেষণাটি সমর্থন করেছেন। সমর্থনদাতাদের সই রয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
ড. নিউসাম বলেন, কার্বন নিঃসরণ করে, তাপমাত্রা বাড়িয়ে আমরা যে গত ৪০ বছর ধরে জলবায়ু বিপর্যয় ডেকে এনেছি, এটা উপলব্ধি করতে বড়সড় বিজ্ঞানী হতে হয় না।
এ পর্যন্ত অসংখ্য জলবায়ু সম্মেলন হলেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সবাই। একারণে গবেষকরা বিরক্ত। তবে দ্রুত বাড়তে থাকা জলবায়ু আন্দোলন নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। কারণ মানুষের মধ্যে জলবায়ু সচেতনতা বাড়ছে।
বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্মহার কিছুটা কমেছে- এটি একটি আশার কথা হলেও বিপর্যয় মোকাবিলায় এনিয়েও কাজ করতে হবে বলে জানান গবেষকরা।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক
আধুনিক জীবনযাপনের সব রকম সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন গ্রামটি দেখলে মনে হয় কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি আর ফসলের ক্ষেতে ভরা। কিন্তু দেখে যাই মনে হোক না কেন গ্রামটির প্রত্যেকটি মানুষ কোটিপতি। স্থাপত্য আর নির্মাণশৈলীও অসাধারণ। কেননা এমন গ্রামেই রয়েছে ৭২তলা ভবন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ঝিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত এই গ্রামের নাম হুয়াক্সি। যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে হুয়াক্সি নয় গ্রামটি আসলে দেশটিতে ‘সুপার ভিলেজ’ নামেই সমধিক পরিচিত।
গ্রামটির গোড়াপত্তন ঘটে ১৯৬১ সালে। অন্যা গ্রামের মতোই তখন সেখানে ক্ষেত-খামার, কাঁচা বাড়িঘর, কদর্মাক্ত রাস্তাঘাট ছিল। কিন্তু চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সম্পাদক উ রেনবাওয়ের প্রচেষ্টায় গ্রামটি আধুনিক রূপ পায়। তখন হুয়াক্সিকে সামজিক (সোশ্যালিস্ট) গ্রামে ডাকা হতো।
আজ গ্রামটি শুধু আধুনিকই হয়নি, এর প্রত্যেক বাসিন্দা এখন প্রচুর সম্পদের মালিক। একদিন যিনি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ তিনিও কোটিপতি। এই গ্রামে যিনি সর্বনিম্ন সম্পদের মালিক তারও সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ লাখ ইউয়ান। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সোয়া কোটি টাকার সমান।
গ্রামটির বাসিন্দা মোটে দুই হাজার। স্থানীয় প্রশাসন গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। সুবিধাটি পেতে সেখানকার মানুষকে ব্যক্তিগত কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। তবে সবাই এই সুবিধা নেন না। যারা অলস তারাই এটি নিয়ে থাকেন।
গ্রামটিতে ৭২ তলার ভবন, বিলাসবহুল শপিং মলসহ আছে অত্যাধুনিক সব থিম পার্ক। বড় বড় বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এসবের মালিক সকল গ্রামবাসী। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক লাভের এক-পঞ্চমাংশ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়।
গ্রামটিতে চোখে পড়ার মতো ব্যাপার হলো, প্রতিটি ঘরের স্থাপত্যের ধরন, আকার আর নকশার মধ্যে কোনো পার্থক্যই নেই। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, ছোট ছোট হাজারো হোটেল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে চাইলে যেকোনো জরুরি মুহূর্তে কোনো ফি ছাড়া হেলিকপ্টার সুবিধাও পাওয়া যায়।
তবে চীনের এই কোটিপতিদের গ্রামের একটা বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি। যদি কেউ গ্রাম ছেড়ে একবার চলে যায় তাহলে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেয় প্রশাসন। এছাড়া জুয়া আর মাদক এখানে নিষিদ্ধ। সপ্তাহের প্রতিটি দিন নিজ নিজ কাজ করতে হয় সবাইকে। সাপ্তাহিক ছুটি বলে এখানে কিছু নেই।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাড়িতে ঢুকে উৎপাত করত। সেই অপরাধে সন্তান প্রসবের সময় একটি কুকুরের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে মায়ের পেট থেকে বেরিয়েই তিনটি কুকুরছানা জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। সে সময় ওই মা কুকুরের পেটে আরও একটি বাচ্চা ছিল।
দগ্ধ হয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে কুকুরটি। খবর পেয়ে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু, তাকে আর বাঁচানো যায়নি। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের বর্ধমানের গোদা এলাকার খন্দকার পাড়ায়।
মঙ্গলবার স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফ থেকে এ বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্ধমান পশু হাসপাতালে কুকুরটির ময়নাতদন্তও করা হয়েছে। এই ঘটনায় আসিয়া বিবি নামে এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই এলাকা থেকে পালিয়েছেন ওই নারী।
প্রসবের সময়ে কুকুর ও তার সদ্যোজাত সন্তানদের এভাবে জীবন্ত দগ্ধ করার ঘটনা কোনও মানুষ ঘটাতে পারে এমনটা ভাবাই যায় না। স্থানীয় পশু প্রেমী সংগঠনের তরফ থেকে অর্ণব দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের মাধ্যমেই এই নৃশংস ঘটনার খবর পান তিনি। গত রোববার বিকেলে আসিয়া বিবি নামের এক নারী গর্ভবতী কুকুরটির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে খবর পেয়ে পশুপ্রেমী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিনটি কুকুর ছানা পুড়ে গেছে। আর মা কুকুরটি দগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছে। তারা চিকিৎসা শুরু করলেও কুকুরটিকে বাঁচনো যায়নি। সোমবার বিকেলে কুকুরটি মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মৃত কুকুরটিকে নিয়ে থানায় যান তারা। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা, মালিকপক্ষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এবং শ্রমিক শ্রেণীর কল্যাণে আইন স্বীকৃত সংগঠনই হলো ট্রেড ইউনিয়ন। দেশে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
শ্রমিক নেতারা বলছেন, সাভারের রানা প্লাজা ধসের আগে বাংলাদেশের প্রধান শিল্প পোশাক খাতে ট্রেড ইউনিয়নের ধারা খুবই কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে গুটি কয়েক পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন হলেও অজানা কারণে বেশ কয়েকটি কারখানার মালিক এর বিপক্ষে। এসব পোশাক করাখানাগুলোতে মালিকদের জন্যই ট্রেড ইউনিয়ন হচ্ছে না।
শ্রম অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সব খাতে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৩১৫টি ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০৮ টি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯২ টি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩০২ টি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন করা হয়।
জানা গেছে, শ্রমিকেরা তৈরি পোশাক কারখানায় ইউনিয়ন করার কারণে বরখাস্ত হওয়াসহ প্রতিনিয়ত নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অসৎ শ্রম আচরণ, ব্যবস্থাপনা ও ভাড়াটে গুণ্ডাদের হাতে মৌখিক বা শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।
সম্প্রতি ট্রেড ইউনিয়নের কারণে আশুলিয়ার দুটি কারখানায় চাকরি হারানো পোশাক শ্রমিকেরা বলেন, মালিকরা চান না তাদের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হোক। কারণ ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে শ্রমিকদের যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চালাতে পারবেন না। শ্রমিকদের বাৎসরিক ছুটিসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। আর এটি থাকলে কারখানা ট্রেড ইউনিয়নে যে আইন আছে সে অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। শ্রমিকদের কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না।আশুলিয়ার ইউফোরিয়া নামে একটি পোশাক কারখানার ফটকের সামেন ছাঁটাই শ্রমিকদের ছবি টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: বাংলানিউজ তবে অভিযোগ আছে খোদ ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের নিয়েও। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক শ্রমিক নেতাই ব্যক্তিস্বার্থে মালিকপক্ষের হয়ে কাজ করেন। এজন্য ইউনিয়নগুলোকে দাঁড় করানো সম্ভব হয় না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাকশ্রমিক বলেন, আমাদের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে। তবে তারা মালিকদেরই কথা শোনে, শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধার কথা ভাবে না। এর মধ্য শ্রমিকরা কারখানায় আরেকটি ট্রেড ইউনিয়ন করার কথা ভাবলে শ্রমিক প্রতিনিধি ও শ্রম অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা মালিকের সঙ্গে সমঝোতা করে ট্রেড ইউনিয়নটির আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি একসঙ্গে ৯৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে দেয়।এদিকে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে বেশিরভাগ মালিকের মধ্যেই অনীহা কাজ করে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, পাট শিল্প ধ্বংসের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন দায়ী ছিল বলে অজুহাত দেন মালিকরা। যদিও বাস্তবে শিল্প টেকসই করতে ট্রেড ইউনিয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তবে মালিকরা প্রভাব খাটিয়ে এ বিষয়টিকে দমিয়ে রাখতে চান। এ কারণে শিল্প টেকসই হয় না।
‘মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত এ মানসিকতা থেকে বের হতে পারেননি। ট্রেড ইউনিয়নের তৎপরতা দেখলেই ছাঁটাইসহ নানা কৌশল ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে আবেদন বাতিল করা হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, একটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে শ্রমিক-মালিক উভয়পক্ষই লাভবান হয়। মালিকের উৎপাদন বাড়ে আর শ্রমিক ন্যায়সংগত অধিকার পায়। এক কথায়, শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা হয়। যে কারখানায় বেসিক ইউনিয়ন থাকে সেখানে বিশৃঙ্খলা-অসন্তোষ হয় না।
‘কিন্তু বর্তমানে পোশাক কারখানার মালিকরা ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করতে চান না। বিভিন্ন কৌশলে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে বাধা দেন মালিকরা। সেই সঙ্গে যে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে ছাঁটাই করা হয়। মূলত মালিকরা ভাবেন, ট্রেড ইউনিয়ন করলে তাদের মুনাফা কমে যাবে, কারখানায় অসন্তোষ হবে, কারখানা নিজের মতো থাকবে না ইত্যাদি। এটি একদমই ভুল ধারণা।’
তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে কারখানা ভালোভাবে চলে শ্রমিকরা-মালিকের অধিকার আদায় হয়, কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি হয়।
এদিকে, ট্রেড ইউনিয়ন না করার কারণ হিসেবে কারখানার মালিক ও কর্মকর্তারা জানান, কারখানার শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করেন না। মূলত ট্রেড ইউনিয়ন করে বাইরের শ্রমিক নেতারা। যদি কোনো কারখানায় শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে ট্রেড ইউনিয়ন চায়, কারখানার মালিকের এখানে কিছুই বলার থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারখানার কর্মকর্তা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন কারখানার শ্রমিকরা কেউ করে না। মূলত শ্রমিকরা জানেই না ট্রেড ইউনিয়ন কী? এখানে কিছু শ্রমিক নেতা তাদের স্বার্থ লাভের জন্য শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শ্রম অধিদপ্তরের কারখানার ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করে। শ্রমিক নেতাদের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন করা মানে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে যাওয়া। বিষয়টি মূলত শ্রমিক নেতাদের হাতে রিমোট দিয়ে কারখানার ভেতরে বোমা রাখার মতো। তখন শ্রমিক নেতারা যা দাবি করবে সেটাই মানতে হবে। শুধু শ্রমিক নেতাদের পকেট ভরবে, অথচ শ্রমিকরা কোনো সুযোগ সুবিধা পাবে না।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু শ্রমিক নেতারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে ব্যবসা করছে। এখন কিছু কিছু শ্রমিক নেতা আছে যারা ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করে না। তারা আবেদন করে টাকা ইনকামের জন্য। ট্রেড ইউনিয়ন আমরাও চাই, কিন্তু সেটাতে যেন শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা পায়, শ্রমিকরা যেন সঠিক অধিকার পায়।
বিষয়টি নিয়ে নাবা নিটওয়্যার লিমিটেডের মালিক এনায়েত উদ্দিন মোহাম্মদ কায়সার খান বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন হলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। শ্রমিকরা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করতো, কোনো ঝামেলা ছিলো না। গত একবছরে আমাকে না জানিয়ে শ্রমিক নেতারা দু’বার ট্রেড ইউনিয়নের নাম করে টাকা নিয়েছে কারখানা থেকে।
‘আবার সবাই মিলে ট্রেড ইউনিয়ন বাদও দিয়েছে। এটি শ্রমিক নেতাদের বর্তমান ব্যবসা। তারা শ্রমিকদের বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছ। এই ট্রেড ইউনিয়ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে শুধু শ্রমিক নেতারা জড়িত না, এখানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও জড়িত। শ্রম মন্ত্রণালয় ও ট্রেড ইউনিয়নের লোকজন মিলে হুমকি দেয় কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য। তখন কিছু টাকা দিলে ছয় মাস তারা চুপচাপ থাকে।’
এই চক্রের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শ্রমিক, শ্রমিক নেতা ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের লোকজন যদি ট্রেড ইউনিয়ন করতে চায়, করুক। এতে যদি কারখানা চালাতে পারি চালাবো নয় তো বন্ধ করে দেবো।
এদিকে কোনো কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে রাজি হলেই সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হবে বলে জনিয়েছেন শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, কেবলমাত্র শ্রমিকরা চাইলেই ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সম্ভব।
‘তারা ট্রেড ইউনিয়নে সমর্থন দিলে মালিকরা এখানে কিছু করতে পারবেন না। অনেক সময় শ্রমিকদের হয়ে শ্রমিক নেতারা ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনে যদি কোনো কারচুপির চিহ্ন পাওয়া যায়, তাহলে আমরা সেই আবেদন বাতিল করে দেই।’
তিনি বলেন, কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে দুর্নীতির যথাযথ প্রমাণ নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
|
|
|