শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ৩০ মার্চ
ডেস্ক রিপাের্ট : আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করেন।
এদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান।
|
ডেস্ক রিপাের্ট : আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করেন।
এদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে থেকে সংশোধিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃ্হস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স দ্বিতীয় বর্ষ স্থগিত পরীক্ষা এবং ২০১৮ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষাসহ অন্য সব প্রফেশনাল কোর্সের স্থগিত পরীক্ষা ২৪ মে থেকে শুরু হবে। এছাড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৮ জুন।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার বিস্তারিত সংশোধিত সময়সূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভের চেষ্টাকালে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা চলমান পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শাহাবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করতে এলে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বলেন, তারা কে কোথা থেকে এসেছে, কেন এসেছে এগুলো জেনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন-তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ, হাসান আল মাহদী, শাহ দিদার, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন মিনা, সাগর, খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সজল মিয়া, হাজী সেলিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মিরাজুল ইসলাম। বাকি তিন জনের নামপরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা চলমান পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। আন্দোলনের ফলে চলমান ও ঘোষিত পরীক্ষাসমূহ শর্তসাপেক্ষে নেওয়ার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : আবাসিক হল খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে হল খোলার ১ মাস আগে অর্থাৎ, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যরা জানান, হল খোলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে না। আগামী ১৭ মে হল খুলে দেয়া হবে।
তবে হল খোলার এক মাস আগেই শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। নিজ ব্যবস্থাপনায় নেয়া বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে নতুন করে কোনো পরীক্ষা নেয়া যাবে না বলে জানান তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে সকল বর্ষের জন্য হল খুলে দেয়ার দাবিতে উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে দুপুরে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধের কথা জানান। এরপরই রাতে সব পরীক্ষা স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে। স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান ছুটির পর জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলমান ও সূচি ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ ২৪ মের আগে কেউ কোনও ধরনের পরীক্ষা নেবে না।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান ছিল।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় বর্ষ ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়। পরীক্ষা চলার কথা ছিল ২৩ মার্চ পর্যন্ত। আর ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গত ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়।
গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরইমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আগের সব সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে তা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
করোনার কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে বারবার হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ মে থেকে পাঠদান শুরু হবে এবং ১৭ মে আবাসিক হল খুলবে বলে জানানো হয়। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে এখনও তিন মাস বাকি। মে মাসের ২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কবে ভর্তি পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সবমিলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে আরও প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হবে।
এছাড়া, বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে। স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান ছুটির পর জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, করোনাকালে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবার দুপুর ২টায় শিক্ষামন্ত্রী অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করবেন।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় অটো প্রমোশন বা অটোপাস ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও। এবার করোনার ঢেউয়ের মুখে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
দেশে করোনা পরিস্থিতি বলা যায় আগের মতোই। প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্তের শঙ্কা উঠা-নামা করছে। অন্যদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে এসএসসি’২১ ব্যাচের পরীক্ষার সময়। গত বছর এসএসসি ২০২০ ব্যাচের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারিতে। এ বছর ফেব্রুয়ারি চলছে। কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার বা দেওয়ার মতো কোনো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে করোনার ভয় রয়েছে। ফলে তড়িঘড়ি পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
সময় নিউজের কয়েকটি মতামত জরিপে দেখা গেছে, ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রস্তুতিতে পরীক্ষা দিতে চান না। ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত মতামত জরিপে প্রশ্ন ছিল, ‘করোনার মধ্যে আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে নানা দাবি করছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে আপনি কোন দাবিটি সমর্থন করেন?’। প্রশ্নের বিপরীতে তিনটি অপশন দেওয়া হয়; ১. অটোপাস ঘোষণা। ২. পরীক্ষা পেছানো। ৩. সিলেবাস কমানো।
২৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত মতামত জরিপে মোট ৫৩ হাজার ৩৯৬ জন ভোট দেন। এর মধ্যে অটোপাসের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ৫০ হাজার ৮১৩ জন বা ৯৫. ১৬ শতাংশ, পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ৮৩২ জন বা ১.৫৬ শতাংশ ও সিলেবাস কমানোর পক্ষে ১ হাজার ৬৭৮ জন বা ৩.১৪ শতাংশ।
২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২০ লাখ। এসব শিক্ষার্থী বছরের প্রায় পুরোটাই ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ৯ মাস ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে থাকার পর ব্যাপকভাবে মানসিক চাপে ২০ লাখ কিশোর-কিশোরী।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যথা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রহিমা কানিজ বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোনো কোনো আবাসিক হলে অবস্থান নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে ২২ তারিখ সকাল দশটার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
এদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের এমন সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
হামলা ও সংঘর্ষের পর স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকেই মূলত ছেলেদের সবগুলো হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে শুরু করেন।
অন্যদিকে মেয়েদের হলগুলোর তালা ভেঙে ঢোকার পর আবার সবগুলো হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন। তবে পুনরায় হলে ঢোকার লক্ষ্যে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। এই লক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক জমায়েতের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। তবে তার আগেই হল ছাড়ার হুকুম জারি করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন আগামী ৮ মার্চ বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া ১ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত টাকা জমা দেয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিবিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুক্রবার, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে শনিবার, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে বৃহস্পতিবার, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে শুক্রবার এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গুচ্ছসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ধাপে ধাপে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনের শেষ দুই শনিবার এবং জুলাইয়ের প্রথম দুই শনিবার বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার পরীক্ষা হবে। গুচ্ছভুক্ত সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ মে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১০ জুন এবং রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট,কুয়েট, চুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১, ২২, ২৭ ও ২৮ জুন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
এছাড়া, গুচ্ছভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ৪ ও ৫ জুন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সভায় প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরিষদের সভায় সব উপাচার্যের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেজন্য একটির সঙ্গে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় আলাদা করা হয়েছে। আজকে শুধু দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ অনুযায়ী কিভাবে পরীক্ষা নেবে সেটি নির্ধারণ করবে। এরপর পরিষদের আরেকটি সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার গুচ্ছভুক্ত সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র না করার চিন্তা করছেন তারা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২১ মে থেকে শুরুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায়। উত্থাপিত এ প্রস্তাব আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে আগামী ২১ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত `ক` ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। `খ` ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২২ মে, ২৭ মে `গ` ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া `ঘ` ইউনিটের পরীক্ষা ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তাবিত তারিখ অনুযায়ী। পরের মাসে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে `চ` ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
সংবাদমাধ্যমকে ডিনস কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, বেশকিছু পরিবর্তন আসছে এবারের ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায়। যার মধ্যে বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে এসব পরীক্ষা। এবারে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে। যেখানে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। বিগত এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর ১০ করে থাকবে ২০ নম্বর।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় সবকিছু চূড়ান্ত হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপাের্ট : চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি (কওমি ছাড়া) ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এ দফায় ছুটি ১৪ দিন বাড়ানো হলে।
রোববার শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা আসে। ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
নতুন করে ছুটি বাড়ানোর সময়গুলোতে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে সংসদ টিভি, রেডিও, অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। তবে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে বিশেষায়িত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কওমি মাদরাসায় যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটি কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর তা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে। পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়ায় ধাপে ধাপে বাড়ছে ছুটি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন গ্রহণ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে টেলিটকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদনকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
আবেদন শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় ৩৫ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। সর্বোচ্চ ভর্তিচ্ছু ছয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং সর্বনিম্ন শতাধিক গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রথম কয়েক ঘণ্টায় বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদন জমে পড়ে। বিকেল নাগাদ আবেদন জমা পড়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এমবিবিএস কোর্সের এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত ৩৭টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৪১২টি আবেদন জমা পড়ে। বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারির সংখ্যা যথাক্রমে ঢাকা মেডিকেলে ছয় হাজার ৩০৬ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে এক হাজার ৬২১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৯৬২ জন, ময়মনসিংহে তিন হাজার ৬১৯ জন, চট্টগ্রামে দুই হাজার ৩৯২ জন, রাজশাহীতে দুই হাজার ২৭১ জন, সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৮৪৯ জন, বরিশালে ৪৬৮ জন, রংপুরে দুই হাজার ৩৮৩ জন, কুমিল্লায় এক হাজার ৪২৩ জন, খুলনায় এক হাজার ৫৮৭ জন, বগুড়া শহীদ জিয়ায় এক হাজার ৩০২ জন, ফরিদপুরে ৩৮৪ জন, দিনাজপুরে ৪৭৮ জন, পাবনায় ৪৭৮ জন, কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলামে ৫৫৮ জন, গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুনে ১২৭ জন, মুগদায় দুই হাজার ২৩১ জন এবং ঢাকা ডেন্টালে এক হাজার ৬১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মহামারি করোনার কারণে এ বছর এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে আগের ফলাফল, অর্থাৎ জেএসএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল (অটোপাস) দেয়া হয়। ফলে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তাই এ বছর স্বাস্থ্য অধিদফতর আপাতত ১ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে, এমনটা মাথায় রেখে পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান তারা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
সেখানে বলা হয়,বাংলাদেশের নাগরিক যারা ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
দেশ কিংবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯ হতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। এছাড়া, সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর সময়কাল এক ঘণ্টা।
একশটি এমসিকিউ প্রশ্নের (প্রতিটির মান ১) পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যায় ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০ নম্বর থাকবে।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বমোট নম্বর (এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুন, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুন এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর) ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবলমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ১৫ গুন সমান ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ এর ২৫ গুন সমান ৭৫ নম্বর থাকবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং `ও` লেভেল `এ` লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর, মহাখালী, ঢাকা বরাবর দুই হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারসহ আবেদন করে জিপিএ রূপান্তর করে সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় আইডি নম্বর নিতে হবে।
সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় এসএসসি সনদপত্রের সত্যায়িত কপি সঙ্গে আনতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি কোটায় আবেদনকারীদের যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় সনদের স্মারক নম্বর বা সনদ নম্বর ও তারিখ অনলাইনে আবেদনের এন্ট্রি করতে হবে। অন্যথায় কোটাগুলো অনলাইন এন্ট্রি হবে না।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : প্রকাশ করা হয়েছে ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি পাওয়া যাচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৈরি এ পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে হওয়া বৈঠকে এ সিলেবাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে তৈরি করা সিলেবাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা এটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি।
এর আগে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এনসিটিবির যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছিল তা নিয়ে বিতর্ক আছে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ৩২টি বিষয়ের ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তখন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এ সিলেবাসটিই চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহাসহ এনসিটিবি কারিকুলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপাের্ট : দেশের ৪৬টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অধ্যক্ষ শূন্য বাকি কলেজগুলোতেও শিগগিরই পদায়ন করা হবে। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক আদেশে এ পদায়ন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের এসব কর্মকর্তাদের পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা পদায়ন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে করোনার কারণে বেশ কিছু কলেজে শূন্য পদ ছিল। সেগুলো পূরণ করতে বড় একটি অর্ডার করা হয়েছে। বাকি শূন্য অধ্যক্ষগুলোতে শিগগিরই পদায়ন করা হবে।
অধ্যক্ষ হলেন যারা বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারকে। আর তিতুমীর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আমেনা বেগমকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
নোয়াখালীর চাটখিল পাঁচগাঁও মাহবুব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে মাহবুবুর রহমান, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তুষার কান্তি বড়ুয়া, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিব প্রসাদ দাস গুপ্ত, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ মো. আরিফ হাসান চৌধুরী, ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ সাবিকুন নাহার।
বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ ড. অর্চ্চনা দত্ত, দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সুফিউন নাহার, ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. সেলিম মিয়া, ফরিদপুর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ খুরশীদ সোলায়মান, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুরের অধ্যক্ষ কাজী গোলাম মোস্তফা, নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়, ফরিদপুরের অধ্যক্ষ হিসেবে মো. আসাদুল আলম খানকে পদায়ন করা হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচরের বরহামগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার, সরকারি সফল আলী কলেজ, আড়াইহাজরের অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দীন, শহীদ আসাদ সরকারি কলেজ, শিবপুর, নরসিংদীর অধ্যক্ষ ড. মো. শফিউল কাফী, ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, বরিশাল সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্বাস উদ্দিন খান, গৌরনদী সরকারি কলেজ বরিশালের অধ্যক্ষ মাহাবুবুল ইসলাম, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. হেমায়েত উদ্দিন, বাউফল সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আবুল বশার তালুকদারকে পদায়ন করা হয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কোনো আসন সঙ্কট হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। রোববার (৩১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্নাতক সম্মান, স্নাতক পাস ও সমমান কোর্সে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো আসন রয়েছে। ।
এর মধ্যে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার ৯৫টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬টি, দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০টি এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সাড়ে ১০ হাজারটি আসন রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সাত কলেজে ২৩ হাজার ৩৩০টি, চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরিতে ৫ হাজার ৬০০টি, ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিকাল কলেজে ৬৫৪টি এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩ হাজার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ২৯০টি আসন রয়েছে বলে ইউজিসি জানিয়েছে।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।
|
|
|
|
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য আগামী ১৩ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় হল খোলার দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোন কোন বিভাগের পরীক্ষা আগে হবে তাদের তালিকা প্রস্তুত এবং আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ণ দিবস অফিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে যে যে বিভাগ ইতোমধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে তাদের পরীক্ষা নিতে কোন বাধা নেই।
এছাড়াও সভায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এর কোন নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। হল খোলার পর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও তারিখ ঘোষণা করা হবে।
|
|
|
|
|
|
|