ভিন্ন স্বাদের ডিমের মালাইকারি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিমের বিভিন্ন ধরনের পদ আমরা খেয়ে থাকি। সময় বাঁচাতে ডিমেই ভরসা সবার। তবে একঘেয়েমি ডিম ভুনা বা ডিম ভাজি খেতে খেতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গেছেন! তাই রুচি পাল্টাতে রান্না করুন ডিমের মালাইকারি।
অনেকেই হয়তো ভেবে থাকবেন, চিংড়ি ছাড়া আবার মালাইকারি রান্না করা যায় না-কি? এ ধারণা ভুল। ডিমের মালাইকারি খেতেও অনেক মজার। চাইলে চটজলদি রান্না করে নিতে পারেন ডিমের মালাইকারি। রইলো রেসিপি-
উপকরণ
১. ডিম ৬টি ২. টক দই ২ টেবিল চামচ ৩. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ ৪. টমেটো কুচি আধা কাপ ৫. কাজু বাদাম ২০ গ্রাম ৬. চারমগজ (শসা, মিষ্টিকুমড়া, আখরোট বীজের মিশ্রণ) ১০ গ্রাম ৭. রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ ৮. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ ৯. হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ ১০. শুকনো মরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ ১১. ধনে গুঁড়ো আধা টেবিল চামচ ১২. গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ ১৩. নারকেলের দুধ আধা কাপ ১৪. লবণ স্বাদ অনুযায়ী ১৫. চিনি স্বাদ অনুযায়ী ১৬. ফ্রেশ ক্রিম পরিমাণ মতো ১৭. সরিষার তেল পরিমাণ মতো
পদ্ধতি
প্রথমে ডিমগুলো সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে টক দই, লবণ, মরিচের গুঁড়ো আর সামান্য তেল দিয়ে আধা ঘণ্টা মাখিয়ে রাখুন সেদ্ধ করা ডিমগুলো।
এবার প্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা ডিমগুলো হালকা ভেজে নিন। প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, কাজু বাদাম, চারমগজ ভালো করে ভেজে নিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বেটে বা ব্লেড করে নিন। প্যানে আবারো তেল গরম করে এবার আদা-রসুন বাটা ও একে একে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
এরপর ভেজে বেটে রাখা মশলার মিশিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। একটু পরে নারকেলের দুধ দিয়ে মশলা নেড়েচেড়ে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিন।
৫ মিনিট রান্না করার পর ফ্রেশ ক্রিম আর গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন। গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন ডিমের মজাদার মালাইকারি।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিমের বিভিন্ন ধরনের পদ আমরা খেয়ে থাকি। সময় বাঁচাতে ডিমেই ভরসা সবার। তবে একঘেয়েমি ডিম ভুনা বা ডিম ভাজি খেতে খেতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গেছেন! তাই রুচি পাল্টাতে রান্না করুন ডিমের মালাইকারি।
অনেকেই হয়তো ভেবে থাকবেন, চিংড়ি ছাড়া আবার মালাইকারি রান্না করা যায় না-কি? এ ধারণা ভুল। ডিমের মালাইকারি খেতেও অনেক মজার। চাইলে চটজলদি রান্না করে নিতে পারেন ডিমের মালাইকারি। রইলো রেসিপি-
উপকরণ
১. ডিম ৬টি ২. টক দই ২ টেবিল চামচ ৩. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ ৪. টমেটো কুচি আধা কাপ ৫. কাজু বাদাম ২০ গ্রাম ৬. চারমগজ (শসা, মিষ্টিকুমড়া, আখরোট বীজের মিশ্রণ) ১০ গ্রাম ৭. রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ ৮. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ ৯. হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ ১০. শুকনো মরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ ১১. ধনে গুঁড়ো আধা টেবিল চামচ ১২. গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ ১৩. নারকেলের দুধ আধা কাপ ১৪. লবণ স্বাদ অনুযায়ী ১৫. চিনি স্বাদ অনুযায়ী ১৬. ফ্রেশ ক্রিম পরিমাণ মতো ১৭. সরিষার তেল পরিমাণ মতো
পদ্ধতি
প্রথমে ডিমগুলো সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে টক দই, লবণ, মরিচের গুঁড়ো আর সামান্য তেল দিয়ে আধা ঘণ্টা মাখিয়ে রাখুন সেদ্ধ করা ডিমগুলো।
এবার প্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা ডিমগুলো হালকা ভেজে নিন। প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, কাজু বাদাম, চারমগজ ভালো করে ভেজে নিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বেটে বা ব্লেড করে নিন। প্যানে আবারো তেল গরম করে এবার আদা-রসুন বাটা ও একে একে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
এরপর ভেজে বেটে রাখা মশলার মিশিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। একটু পরে নারকেলের দুধ দিয়ে মশলা নেড়েচেড়ে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিন।
৫ মিনিট রান্না করার পর ফ্রেশ ক্রিম আর গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন। গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন ডিমের মজাদার মালাইকারি।
|
|
|
|
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই খাসির মাংস খান না। তবে মাঝে মধ্যে দু’এক টুকরো তো খেতেই পারেন!
খাসির মাংসের সব পদই মুখরোচক। অনেকেই শুধু এ মাংসের ভুনা বা ঝোল রান্না করে খেয়ে থাকেন। তবে কখনো লেবু পাতা দিয়ে খাসির মাংসের কোরমা রান্না করে খেয়েছেন?
খুবই মজাদার এ পদ মানিয়ে যায় রুটি, পরোটা, লুচি কিংবা ভাতের সঙ্গে। তবে আর দেরি কেন? ছুটির দিনে ঝটপট রান্না করুন খাসির মাংসের মজাদার এ রেসিপি। জেনে নিন -
উপকরণ ১. খাসির মাংস ১ কেজি ২. লেবু পাতা ৫টি ৩. মেথি ১ চা চামচ ৪. দারুচিনি ৩/৪ টুকরো ৫. কাঁচা মরিচ ৫-১০টি ৬. রসুন বাটা ১ চা চামচ ৭. আদা বাটা ১ চা চামচ ৮. পেঁয়াজ কুঁচি ২ কাপ ৯. এলাচ ৫টি ১০. সরিষার তেল পরিমাণমতো ১১. স্বাদমতো লবণ ১২. পরিমাণমতো গরম পানি
পদ্ধতি: প্রথমে প্যানে তেল গরম করে নিন। মেথি হালকা করে ভাজুন। একই তেলে পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা, এলাচ, দারুচিনি ও লবণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
২-৩ মিনিট পানি মিশিয়ে মশলার মিশ্রণ ঢেকে কষিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে রান্না করে মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর ৫ মিনিট আগে কাঁচা মরিচ ও লেবু পাতা ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল লেবু পাতায় খাসির মাংস।
গরম ভাত-খিচুরির সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু এ মাংসের পদ। রুটি-পরোটার সঙ্গেও ভালো মানিয়ে যায় এ পদ।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলিউডের `বেবি ডল` সানি লিওনের রূপ ও অভিনয়ে মুগ্ধ দুনিয়া। তার ভক্তকূল জানতে চান, তার মসৃণ ত্বক ও ফিটনেসের রহস্য। এবার সেই রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নিজেই। জানালেন কীভাবে রূপচর্চা করেন।
পর্দায় পা রাখার পর থেকে যেন জনপ্রিয়তা আরও তুঙ্গে উঠেছে সানি লিওনের। অতীত ফেলে এখন তিনি বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী। যেমন তার লুক; তেমনই তার স্টাইল।
কীভাবে তিনি রূপচর্চা করেন? শরীরচর্চাই বা করেন কীভাবে? ঘন ঘন পার্লারে যান? না-কি ঘরোয়া উপায়েই রূপচর্চা করেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খোলেন সানি লিওন।
তিনি জানান, ত্বক নিয়ে তিনি বেশ যত্নশীল। রূপচর্চা নিয়ে কোনো রকম আপোস তিনি করেন না। পার্লারে নয়, আয়ুর্বেদিক ও ঘরোয়া টোটকায়ই ভরসা রাখেন।
সানি আরও জানান, প্রসাধনীর ব্যবহার তিনি অনেক কম করেন। দামি প্রসাধনী মানেই যে তা খুব উপকারী হবে; এ ধারণা ভুল। ত্বক ঠিক রাখতে ভেষজ পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকরী।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছেন সানি। তার মতে, যত ব্যস্তই থাকুন; ভালো মানের ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাবেন।
ব্রণের সমস্যায় সানি ব্যবহার করেন অ্যালোভেরা। তিনি জানান, চাইলেই ঘরের এক কোণায় টবে লাগানো যায় অ্যালোভেরা। এটি ত্বক ও চুলের বন্ধু।
নিয়ম করে বাড়িতেই শরীরচর্চা করেন সানি লিওন। কখনো কখনো জিমেও যান। তবে বাড়িতেই বেশি ওয়ার্কআউট করেন। ফিটনেস ঠিক রাখতে তিনি ডায়েট করেন নিয়মিত।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা অনেক সময় আজে-বাজে জিনিস মুখে নিয়ে থাকে। যার ফলে তাদের মুখে জীবাণু ঢুকতে পারে সহজেই। এ ছাড়াও শিশুরা বিভিন্ন জিনিস হাত দিয়ে ধরে এরপর মুখে হাত নেয়। এসব কারণে তাদের মুখে সহজেই জীবাণু ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষ করে মুখের আলসারে সব শিশুরাই কম-বেশি ভুগে থাকে।
বেশ কয়েকটি কারণে শিশুর মুখের আলসার বা ঘা হতে পারে। যেমন- আঘাত, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের অভাব ইত্যাদি। যদিও মুখের আলসার সংক্রামক হয় না। কিছু পরামর্শ মানলেই বাড়িতে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নিন শিশুর মুখের ঘা দূর করার ঘরোয়া টোটকা-
>> মধু জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এজন্য ১-৩ বছর বয়সী শিশুর মুখে ঘা হলে মধু ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর দাওয়াই।
>> শিশুর মুখের আলসারের চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা সব ধরনের ক্ষত নিরাময় করে।
>> নারকেল দুধ দিয়ে গার্গল করলে ব্যথা বা জ্বলুনিভাবে কমবে। এ ছাড়াও ক্ষতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা নারকেল তেল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
>> দই দিয়েও শিশুর মুখের ঘা নিরাময় করা যায়। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ক্ষত এলাকায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
>> তুলসি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের মুখে ঘা হলে তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়াবেন। এতেই ঘা সেরে যাবে।
>> শিশুর মুখে যদি কিছুদিন পরপরই ঘা হতে থাকে; তাহলে পোস্ত দানা ও নারকেলের ক্যান্ডি খেতে দিন। মিছরির গুঁড়ো, পোস্ত দানা ও কোড়া নারকেল ব্লেন্ড করে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে নিন। এই ক্যান্ডি শিশুকে চুষতে দিন। শিশুর শরীরের তাপ বাড়ার কারণে যদি আলসার হয়ে থাকে; তবে এটি হলো প্রতিরোধ করার উপায়।
>> ঘি শিশুর মুখের ঘা সারাতে বিস্ময়কর কাজ করে। ভালো ফলাফল পেতে শিশুর মুখের আক্রান্ত স্থানে দিনে অন্তত তিনবার ঘি ব্যবহার করুন। ঘি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং ব্যথা কমায়।
>> অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে শিশুকে কুলি করতে বলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে তিনবার এটি দিয়ে মুখ ধোয়াতে পারেন।
>> ২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু ভিজিয়ে রাখুন। এ পানি দিয়ে শিশুকে প্রতিদিন কয়েকবার গার্গল করালে মুখের আলসার সেরে যাবে।
|
|
|
|
লাড্ডু মিষ্টি শিশুদের খুবই প্রিয় খাবার। এছাড়া অতিথিদের মিষ্টিমুখ করাতেও ঘরেই তৈরি করতে পারেন মজাদার মালাই লাড্ডু।
আসুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার মালাই লাড্ডু-
উপকরণ
২৫০ গ্রাম ছানা, ১/২ ( ১০০ গ্রাম ) কাপ কনডেন্সডমিল্ক, ২টি এলাচ গুঁড়া ( সাজাবার জন্য), ২-৩ ফোঁটা গোলাপ জল, ৫-৪ দানা জাফরান ( সাজাবার জন্য)
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে ঘরে তৈরি ছানা খুব ভাল করে হাতের তালু দিয়ে ভর্তা করে নিন। এরপর একটি নন-স্টিক প্যানে পনির দিয়ে দিন। এবার ছানার মধ্যে কনডেন্সডমিল্ক দিয়ে দিন।
অল্প আঁচে ছানা, কনডেন্সডমিল্ক ভাল করে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর মিশ্রণটি আঠালো হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন।
নামানোর আগে গোলাপ জল দিয়ে দিন। হালকা ঠাণ্ডা হলে ছানার মিশ্রণটি হাত দিয়ে লাড্ডু মত গোল গোল করে নিন।
লাড্ডুর ওপর এলাচ গুঁড়া এবং জাফরান দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মালাই লাড্ডু।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমানে বার্ড ফ্লু রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এটি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে বার্ড ফ্লু মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে।
এ ভাইরাসটি সাধারণত পাখির শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত পাখিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই চলে যায় বলে রোগটিও দ্রুত ছড়ায়। বার্ড ফ্লু বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে বিবেচিত।
বার্ড ফ্লুর ভয়ে এখন অনেকেই মুরগির মাংস বা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সঠিকভাবে রান্না করলে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে কীভাবে রান্না করলে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত হওয়া যায়, সে সম্পর্কেও জানেন না অনেকেই।
এ ছাড়াও অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- পোল্ট্রি মুরগি খাওয়া যাবে তো? কিংবা ওভেনে রান্না করা যাবে কী? ডিম কীভাবে খেতে হবে? ইত্যাদি।
যদিও মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। তবে এমন ঘটনা যে একেবারে ঘটেনি, তা কিন্তু নয়। তবে অবশ্যই পাখি বা মুরগি কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
পাশাপাশি সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করলে বার্ড ফ্লুর জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে মুরগির মাংস খাবেন-
>> বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ রান্নার তাপমাত্রায় ভাইরাসটি বাঁচতে পারে না। তাই সঠিকভাবে রান্না করা মাংসে কোনো ঝুঁকি থাকে না।
>> তবে ওভেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে। কারণ বার্ড ফ্লুর ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বাইরে বাঁচতে পারে না।
>> মুরগির মাংস কেনার আগে অবশ্যই ভালো দোকান থেকে কিনবেন।
>> বাড়িতে এনে মাংস এবং ডিম ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করুন। মাংস সঠিকভাবে রান্না হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করুন।
এজন্য খেয়াল রাখবেন, মাংসগুলো সাদা হয়েছে কি-না। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সেদ্ধ হয়েছে কি-না দেখেই তা খাবেন।
>> ডিম খাওয়ার বেলায় অবশ্যই রান্না বা সেদ্ধ করে খান। কাঁচা ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমাতে শসা খাওয়ার বিকল্প নেই। স্বাদ-গন্ধহীন এ সবজির কদর করেন শুধু স্বাস্থ্য সচেতনরাই। এতে থাকা পুষ্টিগুণ দ্রুত ওজন কমায়। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে আপনার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়।
তবে কাঁচা শসা চিবিয়ে খেতে অনেকেরই ভালো লাগে না। তাই শসার সালাদ, রায়তা ইত্যাদি করে খান অনেকেই। তবে চাইলে কিন্তু আপনি শসার স্যুপও খেতে পারেন। খেতে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পদটি খাবার তালিকায় রাখতে ভুলবেন না।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ ১. চারটি শসা ২. এক বাটি দই ৩. দুই-তিন চামচ মৌরি ৪. এক কাপ ঠান্ডা পানি ৫. এক চামচ পাতিলেবুর রস।
পদ্ধতি: প্রথমে সবগুলো শসার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো করে ব্লেন্ড করে স্মুদি করুন। এরপর একেক করে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে আবারো ব্লেন্ড করে নিন। যদি মিশ্রণটি খুব ঘন হয়ে যায়; তবে আরও এক মগ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
এবার দুইটি ব্রাউন ব্রেড নিয়ে তার দু’পাশ কেটে নিন। তারপর অল্প করে অলিভ অয়েল ব্রাশ করে পাউরুটি টুকরো করে নিয়ে ভেজে নিন। এরপর শসার স্যুপের উপর ছড়িয়ে দিন।
পদটি খেতে যেমন সুস্বাদু; তেমনই স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিনের ডায়েটে পদটি রাখলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে।
যেভাবে কমবে চর্বি: শসায় রয়েছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। যা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। কমে যায় চিপস-কোল্ড ড্রিংকসের মতো খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও। সেইসঙ্গে শরীরের চর্বি ঝরতে শুরু করে।
এ ছাড়াও শসায় রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সকাল বা দুপুরের খাবারে যদি শসার স্যুপটি খান, তবে ওজন তো কমবেই; সঙ্গে আপনার শরীরও থাকবে সুস্থ।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : গুড় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গরমের সময় শসা ও তরমুজ ফল যেমন শরীরকে শীতল রাখে ঠিক তেমনি এই শীতে শরীরের জন্য গুড় অনেক উপকারী। সাধারণত যে কোনো রোগ থেকে সুরক্ষা করতে গুড় শরীরকে শক্তি জোগায়। শীতে নিয়মিত গুড় খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলুন এবার তাহলে শীতে গুড় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সর্দি-কাশি দূর করতে : শীতে নিয়মিত গুড় খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি সেরে যায়। বিশ্বাস না হলে সর্দি হলে একটু গুড় খেয়ে দেখুন। স্বস্তি পাবেন আপনি।
রক্ত পরিষ্কার : গুড় শরীরের লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয় আর তাই গুড় খাওয়ায় রক্ত পরিষ্কার থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : গুড় খাওয়ার ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠ সাফ থাকে। এজন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গুড় খাওয়ার ফলে কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস দূর হয়। সেই সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন- কফ বা বুকে জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা দূর হয় গুড় খাওয়ার ফলে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : গুড়ে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রেসপিরেটরি সমস্যায়ও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে গুড়। এমনকি যাদের গাঁটের ব্যথা রয়েছে তারা ব্যথা দূর করতে গুড়কে কাজে লাগাতে পারেন।
সবশেষে চিনির বদলে গুড়ের উপকারিতা নেহায়েতই কম নয়। নিয়মিত গুড়ের সরবত খাওয়ার ফলে শরীরসহ পেট ঠাণ্ডা থাকে। ডায়াবেটিস না থাকলে নিশ্চিন্তায় গুড় খাওয়া যেতে পারে। শীতে যেমন খেজুরের গুড় পাওয়া যায় তেমনই গরমে পাওয়া যায় আখের গুড়। দুটোই উপকারী। তাই সম্ভব হলে বারোমাসই গুড় খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বাজারে এখন ভেজাল গুড়ে রমরমা। তাই উপকার পেতে হলে খাঁটি গুড়ের বিকল্প কিছু নেই এবং বড় ধরনের কোনো শারীরিক বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। সূত্র : সাউথ ল্যান্ডস-সান
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : শীত হাজির হয়েছে। শীতের তাণ্ডবে সবাই দুর্বল। সবসময় গরম পোশাক পড়ে থাকতে হয়। পোশাকে তো আরাম অনুভূত হয় কিন্তু ত্বকের ক্ষেত্রে তো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অনেক যত্নের পরও ঠিক রাখা যায়না ত্বককে। এর উপায় অবশ্য রয়েছে। একটি মাত্র উপাদান দিয়েই ত্বকের সকল সমস্যার প্যাক বানানো সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে পেঁপে। চলুন এবার তাহলে ত্বকের যত্নে পেঁপের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ত্বক উজ্জ্বল করতে : গায়ের রং প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এ জন্য প্রথমেই বেছে নিন একটি পাকা পেঁপে। পেঁপেটা ভালো করে চটকে নিয়ে আধকাপের মতো করে নিন। এতে গোটা একটা পাতিলেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো মুখে, গলায়, হাতে মেখে প্রায় আধঘণ্টা রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
গোড়ালির ফাটাভাব কমাতে : এখন অনেকেরই বাড়ির কাজ করতে হয়। এ কারণে পায়ের উপরেও বেশ চাপ পড়ছে। যার জন্য গোড়ালির চামড়া বিশ্রীভাবে ফেটে যাচ্ছে। পেডিকিওর করানোর কোনো সুবিধা না থাকলে ফাটা গোড়ালির জন্য ব্যবহার করতে পারেন পাকা পেঁপে। পেঁপেকে প্রথমে চটকিয়ে নিয়ে গোড়ালির ফাটা জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিটের মতো রেখে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিন। গোড়ালির ফাটা ঠিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে শুকনো চামড়া, চুলকানি বা লালচেভাবও কমে যাবে আপনার। পা ভালো করে ধুয়ে কিছুটা অলিভ অয়েল মেখে নিন।
দাগছোপের উপশম : মুখে ব্রণের দাগ থেকে শুরু করে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচেভাব- এসকল সমস্যার সমাধানে পেঁপে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ জন্য কাঁচা পেঁপে প্রয়োজন। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের টুকরো ভালো করে থেঁতো করুন, এরপর এতে এক চা চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটা এবার কনুই আর হাঁটুতে লেপে নিন। সঙ্গে ব্রণের দাগের উপরও লাগাতে পারেন। মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। নিয়মিত কয়েকবার এই মিশ্রণ লাগালে দাগ কিছুটা কমতে শুরু করবে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে : পেঁপেতে থাকা আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড মুখে বয়সের দাগছোপ পড়তে দেয় না। ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখাকে কাছেই ঘেষতে দেয় না। এছাড়াও পেঁপেতে থাকা ভিটামিন-সি এবং ই ত্বককে তরতাজা করে তোলে। এ জন্য আধকাপ পাকা পেঁপে চটকে তাতে এক টেবিল চামচ দুধ আর অল্প মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লেপে দিন। প্রায় বিশ মিনিটের মতো রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে দু`বার ব্যবহার করলে নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত এলেই বিয়ের ধুম পড়ে। আর বিয়ে মানেই বেনারসি শাড়ি পরার প্রতিযোগিতা। কে কেমন ঘরানার শাড়ি পরবেন এ নিয়ে রীতিমতো চলে লড়াই। বিশেষ করে কনে সাজাতে বেনারসির যেন বিকল্প নেই। আর যুগ যুগ ধরে বাঙালির ঐতিহ্যে বেনারসি শাড়ি রয়েছে প্রথম সারিতে। এর কদর আধুনিক যুগেও বিদ্যমান।
তবে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান শেষে শখের শাড়িটি তুলেই রাখতে হয়। আর এখানেই ঘটে যতো বিপত্তি। অনেকেই জানেন না বেনারসি শাড়ি কীভাবে যত্ন করতে হয়। এত সুন্দর কাজ করা শাড়ি যত্ন করে তুলে রাখার তো বিশেষ পদ্ধতি আছে! অন্য শাড়ির মতো তো রাখলে হবে না।
যেভাবে ধোবেন বেনারসি: পানি-ডিটারজেন্টে ডুবিয়ে কখনো বেনারসি ধোবেন না। ড্রাই ওয়াশ করাটাই সবচেয়ে ভালো। এজন্য লন্ড্রিতে পরিষ্কার করাই নিরাপদ।
দাগ তুলবেন যেভাবে: বেনারসি শাড়িতে দাগ লেগে গেলে ওই স্থানে পানি দিয়ে কখনো ঘষবেন না। এতে কিন্তু হীতে বিপরীত হতে পারে। এজন্য প্রথমে ওই স্থানে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি দিতে হবে। এরপর নেইলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। এরপর একটি টিস্যু পেপার দিয়ে জায়গাটা মুছে নিন।
এ ছাড়াও আপনি চাইলে বেকিং সোডা দাগের স্থানে ছিটিয়ে ব্রাশ দিয়ে অল্প করে ঘষে তারপর অল্প পানি দিলেই দাগ উঠে যাবে। তবে মনে রাখবেন, শাড়ি শুকাবেন ফ্যানের বাতাসে। রোদে দিলেই কিন্তু বেনারসি তার রং হারাবে।
ইস্ত্রি করবেন যেভাবে: ইস্ত্রি করার প্রয়োজন হলে লন্ড্রিতে দিতে পারেন, আবার নিজেও করতে পারেন। প্রথমেই ইস্ত্রির হিট কমানো রয়েছে কি না দেখে নিন। আর শাড়ি ইস্ত্রি করার সময় অবশ্যই উপরে অন্য একটি পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে নেবেন।
আলমারিতে সংরক্ষণের নিয়ম: বেনারসি আলমারিতে রাখা ততটা সহজ নয়। এজন্য খবরের কাগজ বা পাতলা সুতির কাপড় কিছু না কিছুর মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। সুতি কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো।
লক্ষ্য রাখবেন, বেনারসি যাতে অন্য শাড়ির সঙ্গে না রাখা হয়। এতে ঘষা লেগে সুতা উঠে আসতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয়, হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না এ শাড়ি। বেনারসি ভারি হওয়ায় এটি ঝুলিয়ে রাখলে কুঁচকে যেতে পারে। তাই আলমারির তাকে রাখুন, একটু ফাঁকা ফাঁকা করে।
|
|
|
|
শারমিন কোচি : শীতের সময়ে বাড়ে খুশকির সমস্যা। আর চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন খুশকি সমস্যার কারণ হয়ে থাকে।
শীতকাল ও মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি দেখা দেয়। তাই ঠাণ্ডার সময়ে চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন।
খুশকি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে-
১. বড় আকারের খুশকি ২. ছোট আকারের খুশকি ৩. রক্তদানার মতো খুশকি
কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে খুশকি সমস্যায় দূর করা যায়। খুশকি তাড়াতে আছে কিছু ঘরোয়া উপায়।
আসুন জেনে নিই চুলের খুশকি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়-
১. নারিকেল তেল খুশকির প্রকোপ। চুলের গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশন কমায়। সপ্তাহে দুবার চুলের গোড়ায় নারিকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
২. চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। দুটো পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানি মিশিয়ে নিয়ে মাথায় এই রস ভালো করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুবার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকি দূর হবে।
৩. খুশকির সমস্যায় টকদই ব্যবহার করতে পারেন। টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪. দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন।
৫. মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভালো করে বেটে নিন। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টাখানেক রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
লেখক: বিউটি কনসালট্যান্ট, স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া বিউটি পার্লার।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ত্বকের যত্নে জলপাইয়ের তেল খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, সি সমৃদ্ধ জলপাইয়ের তেল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বকের যত্নে জলপাইয়ের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
১. জলপাইয়ের তেল `এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড` সমৃদ্ধ। যা ত্বক কোমল ও মসৃণ করে আর্দ্রতা রক্ষা করে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালনই বাড়ায় না পাশাপাশি ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতেও সহায়তা করে।
২. এই তেল ত্বক পরিষ্কার করে। ত্বকে জলপাইয়ের তেল মালিশ করলে তা লোমকূপে প্রবেশ করে ময়লা পরিষ্কার হয়। তাই মুখ পরিষ্কারের আগে জলপাইয়ের তেল মালিশ করে নিতে পারেন।
৩. মেকআপ তুলতে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল ত্বক কোমল রাখে ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
|
|
|
|
ডা. তাসনীম খান : শীতে ত্বককে দুটি জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। সেটি হল- তাপমাত্রা ও আদ্রতা। দুটোই কমে যায়। যার কারণে স্বাভাবিক ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক এবং শুষ্ক ত্বক হয়ে ওঠে সংবেদনশীল। তাই নিতে হবে বিশেষ যত্ন।
ক্লিনজার: ঠাণ্ডার ভয়ে অনেকেই গোসল করতে চান না। প্রতিদিন না করলেও অন্তত একদিন অন্তর গোসল করতে হবে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। তবে মনে রাখবেন, খুব ঠাণ্ডা বা বেশি গরম পানি দুটোই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বেশি গরম পানি ত্বক থেকে অয়েল বা ময়েশ্চারকে ধুয়ে ফেলে। ত্বকের প্রোটিন ও ফ্যাটের জন্যও গরম পানি ক্ষতিকর। ফলে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে ওঠে। দশ মিনিট বা তার কম সময় ধরে গোসল করুন। গোসলে সুগন্ধিবিহীন সাবান অথবা কোনো ক্লিনজার ব্যবহার করলে ভালো হয়।
ময়েশ্চারাইজার: গোসলের পর যত দ্রুত সম্ভব ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেটি হতে পারে লোশন, ক্রিম বা কোনো অয়েল। কিন্তু এ জিনিসগুলো হতে হবে কোনো ধরনের সুগন্ধিবিহীন ও রঙবিহীন। অন্তত দিনে একবার ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার ব্যবহার করতে হবে।
সানব্লক: শীতে স্বভাবতই সবাই রোদে বসতে পছন্দ করেন। তাই ত্বকে রোদে পোড়া একটা ভাব কিন্তু অনেকেরই আসে। তাই সঠিক নিয়মে সানব্লক ব্যবহার খুবই প্রয়োজন। বাসা থেকে বের হওয়ার দশ মিনিট আগে এক চা চামচ আন্দাজ করে মুখে লাগাতে হবে। সানব্লক ব্যবহার করুন, যেটি SPF 50+ অথবা ন্যূনতম SPF 30+ হতে পারে।SPF containing moisturizer ব্যবহার করতে পারেন। একবার লাগালে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাজ করে। পরবর্তীতে যদি রোদে থাকা হয় পুনরায় লাগাতে পারলে ভালো হয়। ক্রিম, লোশনসহ বিভিন্ন রকমের সানব্লক পাওয়া যায়। তাই যাদের স্কিন শুষ্ক এবং শীতে আরও শুষ্ক হয়ে যায়, তারা ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন।
মেকআপ ক্লিনজার: মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে খুব সচেতন হতে হবে। কোনো ধরনের অ্যালকোহলযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করা যাবে না। সেটি স্কিনকে অনেক বেশি শুষ্ক করে তুলে। এজন্য নারিকেলের তেল ব্যবহার করুন।
শুষ্ক ঠোঁট: ঠোঁট শুষ্ক হবে বলে বারবার জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবে না। তাতে ঠোঁট আরও শুষ্ক হবে। রাতে মোটা করে ভ্যাসলিন লাগান। সকালে মুখ ধোয়ার সময় আলতো করে ঘষে শুকনো চামড়া তুলে ফেললেই ঠোঁট থাকবে সুন্দর। পাশাপাশি লিপ বাম অথবা ভ্যাসলিন লাগান; যা হবে কোনো রঙ ও সুগন্ধিবিহীন।
শুষ্ক হাত: একদিকে শীত অন্যদিকে করোনা। এ মহামারী পরিস্থিতিতে হাতে বারবার লাগাতে হয় স্যানিটাইজার বা হ্যাক্সিসল কিংবা হাত ধুতে হয়। সুতরাং যতবার এগুলো ব্যবহার করবেন ততবার ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগান।
শুষ্ক পা: শক্ত কোনো কিছু দিয়ে পা ঘষা যাবে না। খুব হালকাভাবে ঘষতে হবে। মরা কোষগুলোকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন এবং নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগান। অন্তত দিনে ও রাতে দুইবার ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। যাদের খুব বেশি পা ফাটে তারা রাতে ভ্যাসলিন লাগিয়ে মোজা ব্যবহার করুন।
লেখক: ডা. তাসনীম খান, অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিস্ট ও লেজার স্পেশালিস্ট
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাথাব্যথা আসলে কোনো রোগ নয় বরং একটি উপসর্গ মাত্র। `মাথা থাকলে মাথাব্যথা থাকবেই`- এটি জনসমাজে একটি বহুল প্রচলিত কথা। ছোট-বড় প্রায় সব বয়সী মানুষের মধ্যেই বিভিন্ন সময়ে এর প্রকোপ পরিলক্ষিত হয়। ঘনঘন মাথাব্যথা প্রাত্যহিক পারিবারিক ও কর্মজীবনকে বিষাদময় করে তুলতে পারে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে যেসব কারণে মানুষের কার্যক্ষমতা এবং কর্মসময় নষ্ট হয়, তার একটি প্রধান কারণ এই মাথাব্যথা।
জীবনে কখনোই মাথাব্যথা হয়নি- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। বিশ্বব্যাপী ১৮-৬০ বছর বয়সী মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ ব্যক্তিই প্রতিবছর মাথাব্যথায় একবার না একবার আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যক্তিই টেনশন টাইপ মাথাব্যথা বা মাংসপেশীর সংকোচনজনিত মাথাব্যথা, ১১ শতাংশ ব্যক্তি মাইগ্রেন এবং ৩ শতাংশ ব্যক্তি ক্রোনিক ডেইলি হেডেক বা দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রায় ২০ শতাংশ শিশু-কিশোর নতুন করে বিভিন্ন ধরণের মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।
বিভিন্ন কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার খুব সাধারণ কিছু কারণ হলো- ক্লান্তি, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, হতাশা, বিষণ্নতা, অতিরিক্ত পরিশ্রম, দৃষ্টিক্ষীণতাসহ চোখের বিভিন্ন রোগ, নাইট্রোগ্লিসারিনসহ বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, জ্বর, সর্দি, সাইনোসাইটিস, মাথায় আঘাত, দাঁতের রোগ, খুবই ঠান্ডা কোনো পানীয় কিংবা কোনো খাবার খুব দ্রুত খেয়ে ফেলা, এমনকি দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকা, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোনজনিত সমস্যা, গর্ভাবস্থা প্রভৃতি। কোমলপানীয়, অ্যালকোহল, কৃত্রিম শর্করা, কিয়র্ট মিট বা লবণ দিয়ে শুকানো মাংস, সয়াসস, পনির, চুইংগাম প্রভৃতি খাদ্যগ্রহণেও অনেকের মাথাব্যথা হতে দেখা যায়।
রোগের ইতিহাস, তীব্রতা, গতি-প্রকৃতি ও ধরনের ওপর ভিত্তি করে মাথাব্যথাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই মাথাব্যথার কারণ প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থাৎ প্রাইমারি মাথাব্যথা। যে ধরনের মাথাব্যথায় চোখ বা মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে দৃশ্যত কোনো প্যাথোলজি থাকে না, তখন এ ধরনের মাথাব্যথাকে প্রাথমিক ব্যথা বলে চিহ্নিত করা হয়। মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক, অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া ইত্যাদি হলো প্রাথমিক পর্যায়ের মাথাব্যথা। প্রাথমিক ধরনের এ মাথাব্যথা আবার এপিসোডিক এবং ক্রোনিক- দুই ধরনের হতে পারে। এপিসোডিক ধরনের প্রাথমিক মাথাব্যথা সাধারণত আধা ঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
অন্যদিকে ক্রোনিক ধরনের প্রাথমিক পর্যায়ের মাথাব্যথা মাসের অধিকাংশ দিনই উপস্থিত থাকে এবং একবার শুরু হলে একাধারে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আর সাইনোসাইটিস, সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, ম্যাস্টয়ডাইটিস, গ্লুকোমা, স্ট্রোক, মাথায় আঘাতজনিত কারণে বা মস্তিস্কের টিউমারের জন্য মাথায় ব্যথা হওয়া, পোস্ট কনকাশন সিন্ড্রোম, মস্তিষ্ক আবরণীতে রক্তক্ষরণ প্রভৃতি হলো মাথাব্যথার বিভিন্ন ধরনের সেকেন্ডারি কারণ। অর্থাৎ চোখ, মুখমণ্ডল, গ্রীবাদেশীয় মেরুদণ্ড বা মস্তিষ্কের কোনো রোগ কিংবা এসব অঙ্গে কোনো ধরনের আঘাতের জন্য সেকেন্ডারি পর্যায়ে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। মাথাব্যথার এ বিভিন্ন রকমভেদের ওপর ব্যথার স্থায়িত্ব, তীব্রতা এবং প্রকৃতি অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে।
অনেক সময়ই মাথাব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে মাথাব্যথার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তি বমিবমি ভাব কিংবা বমি, নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে পানি পড়া, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, অবসন্নতা ইত্যাদি বিভিন্ন উপসর্গে ভুগতে পারেন। তবে মাথাব্যথার পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির যদি ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, ত্বকে র্যাশ দেখা যায়, কথা জড়িয়ে যায়, শরীরের তাপমাত্রা ১০০.৪° ফারেনহাইটের বেশি হয়ে যায়, খিঁচুনি কিংবা তীব্র বমি হয়, আক্রান্ত ব্যক্তি যদি প্রলাপ বকেন বা অচেতন হয়ে পড়েন, শরীরের কোন অঙ্গ যদি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়- তাহলে অবহেলা ও সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এগুলোকে মাথাব্যথার `রেড ফ্ল্যাগ সাইন` হিসাবে অভিহিত করা হয়।
মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল, এসপিরিন, টলফেনামিক এসিড প্রভৃতি বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। মাথাব্যথা উপশমে আদার জুড়ি নেই। কারণ আদায় প্রাকৃতিকভাবেই রয়েছে `প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস ইনহিবিটর` যা বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহার করা হয়। তাই মাথাব্যথা শুরু হলে সামান্য আদা ছিলে নিয়ে চিবানো শুরু করতে পারেন। এতে মাথাব্যথার দ্রুত উপশম হবে। এর পাশাপাশি এক কাপ পানি ফুটিয়ে এতে আদা সামান্য ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে ও সামান্য মধু সহযোগেও পান করতে পারেন আদা চা।
আদা কিংবা আদা চা ছাড়াও মাথাব্যথা উপশমে ঘরেই আইসব্যাগ থেরাপি প্রয়োগ করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন আকারের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। এরকম একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে রাখুন। তবে যাদের হুটহাট ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুসরণ না করাই শ্রেয়।
এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথাব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়ার বিচি ভাজি করে খেলেও মাথার যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হয়। তরমুজ, দই, পালংশাক ইত্যাদি খাবারও মাথাব্যথা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে থাকে। দেখা যায়, অনেক সময়ই আবহাওয়া বা ধুলোবালির কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। আবার অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। এসব ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য এক বা দুই মুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। কাঠবাদামে রয়েছে `স্যালিসিন` যা ম্যথাব্যথা উপশমে কাজ করে এবং দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে।
মন ভালো করার পাশাপাশি মাথাব্যথা উপশমে অন্যতম কার্যকর উপায় হচ্ছে গান শোনা। `জার্নাল অব পেইন`র গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়, গান শোনা প্রায় ১৭% মাথাব্যথা কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। কারণ মনোযোগ দিয়ে গান শোনার সময় আমাদের লক্ষ্য মাথাব্যথা থেকে সরে যায়, যা আমাদের মাথাব্যথার কথা অনেক সময় ভুলিয়ে দেয়। অনেক সময় রিলাক্সেশন থেরাপির অংশ হিসাবেও এটি কাজ করে থাকে। বায়ো ফিডব্যাক, পেশীর ক্রমপ্রগতিশীল শিথিলতা আনয়ন, আকুপ্রেশার থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমেও ঘরোয়াভাবে মাথাব্যথার তীব্রতা বেশ খানিকটা কমিয়ে আনা যায়।
যেহেতু মাথাব্যথা জীবনধারা এবং অভ্যাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত, তাই মাথাব্যথা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো জীবনধারায় ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসা। নিয়মিত ঘুম, আহার ও শরীরচর্চা, মাথাব্যথা শুরু করতে পারে এমন সব কিছু এড়িয়ে চলার প্রচেষ্টা করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, অহেতুক দুশ্চিন্তা ত্যাগ করা ইত্যাদিই হতে পারে মাথাব্যথার বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই চুলের নানা রকম সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া অন্যতম। নারী বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। শীতকালে তো চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নতুন চুল গজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সবাই।
নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার আর চুল পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায়ে নতুন চুল গজাবে-
হেয়ার ম্যাসাজ: ম্যাসাজ করলে নতুন চুল গজাবে খুব শিগগিরই। এজন্য তেল বা হেয়ার মাস্ক মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও নতুন চুল গজাবে। নিয়মিত চুল চিরুনি করতে ভুলবেন না যেন!
নারকেল তেল: চুলের জন্য নারকেল তেল সবচেয়ে কার্যকরী। এ তেল ব্যবহারে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পায়। নারকেল তেলে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এজন্য দ্রুত চুল লম্বা হয়, সেইসঙ্গে নতুন চুল গজায়। এ ছাড়াও চুল হয় ঝলমলে ও কোমল।
খাবারে ওমেগা রাখুন: চুলের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এক উপাদান হলো ওমেগা। চুল পড়ার সমস্যা রোধে ও নতুন চুল গজাতে উপাদানটি কাজ করে। তবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ওমেগা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের প্রভাব চুলের উপরও পড়ে থাকে। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়। ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। এ কারণেই ধূমপায়ীদের চুল দ্রুত পেকে যায় ও টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রোটিন গ্রহণ: প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। যখন আপনার শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাবে না; তখনই চুল পড়া শুরু হয়। দিনে অন্তত ৫০-১০০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। তবে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখেই তা গ্রহণ করতে হবে।
খাবারে ভিটামিন: পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। শরীর যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন না পায়, তবে চুলেও পুষ্টি পৌঁছায় না। এজন্য সুষম খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এতে নতুন চুল গজাবে দ্রুত আর চুল পড়াও বন্ধ হবে।
তবে চুলের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো- ভিটামিন-এ, বায়োটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, আয়রন এবং জিঙ্ক।
|
|
|
|
রূপচাঁদা প্রায় সবার কাছেই পছন্দের একটি মাছ। সামুদ্রিক এই মাছটি বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এই মাছ দিয়ে তৈরি করা যায় নানারকম সুস্বাদু পদ। তেমনই একটি পদ হলো ক্রিসপি রূপচাঁদা ফ্রাই। চলুন রেসিপি জেনে নেয়া যাক-
উপকরণ: রূপচাঁদা মাছ- ৩টি হলুদ গুঁড়া- হাফ চামচ গোল মরিচ- ১ চামচ ঘন দই- ২ চামচ ধনে পাতা- ২ চামচ মরিচের গুঁড়া- ২ চামচ মাখন- ২ চামচ লবণ- স্বাদমতো।
প্রণালি: মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর ছুরি দিয়ে মাছের গাটা হলকা করে চিরে দিন। এবার একটা বাটিতে হলুদ, লবণ, লেবুর রস, গোল মরিচ এবং মরিচের গুঁড়া নিয়ে মাছের গায়ে ভালো করে লাগিয়ে দিন। ১৫ মিনিট এইভাবে মাছটাকে রেখে দিন।
মাছটা যতক্ষণ ম্যারিনেট হচ্ছে ততক্ষণ একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। পেস্টাটা বানাতে একটা বাটিতে দই, মরিচের গুঁড়া এবং ধনে পাতা পাতা নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। পেস্টটা বানানো হয়ে গেলে মাছের গায়ে ভালো করে লাগিয়ে দিন।
১ ঘণ্টা মাছটা এইভাবে রেখে দিন। সময় হয় গেলে একটা ননস্টিক তাওয়া গরম করে তাতে পরিমাণ মতো মাখন দিয়ে দিন।
যখন দেখবেন মাখনটা গলে গেছে তখন তাতে একে একে তিনটি মাছ দিয়ে দিন। ৮-১০ মিনিট হালকা আঁচে ফ্রাই করার পর মাছগুলো উল্টে দিন। যাতে আরেক দিকও ভালো করে ফ্রাই হয়।
যখন দেখবেন দুই দিকই ভালো করে ভাজা হয়ে গেছে তখন আঁচটা বন্ধ করে মাছগুলো একটি প্লেটে তুলে নিন। এবার ফ্রাই ক্রিসপি রূপচাঁদা পরিবেশনের জন্য তৈরি।
|
|
|
|
|
|
|