অনলাইন ডেস্ক : ভারতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত সোমবার থেকে বাস চালুর অনুমোতি দেয়া হলেও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস চলাচল।
ভাড়া বৃদ্ধি-সহ বেশ কিছু দাবি-দাওয়ার সুরাহা না হওয়ায় অধিকাংশ বেসরকারি বাস এত দিন রাস্তায় নামেনি। অবশেষে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আপাতত পুরনো ভাড়াতেই বাস নামাতে রাজি হয়েছে সব মালিক সংগঠন। যত আসন, তত যাত্রী—এই নিয়মেই বাস চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, তারা বৃহস্পতিবার থেকে ধাপে ধাপে বাস চালু করছে।
জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বৃদ্ধির কমিটি গঠন, বাস-মালিকদের কর ছাড়, চালকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমাসহ বেশ কিছু দাবি আছে আমাদের। মন্ত্রী বিবেচনার আশ্বাস দেয়ায় আমরা এখন পুরনো ভাড়াতেই বাস চালাতে রাজি হয়েছি।
তবে বাস-মালিকেরা জানাচ্ছেন, বহু চালক ও কর্মী নিজ জেলায় আটকা পড়েছেন। ট্রেন না চলায় তারা কী ভাবে আসবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাস চালানোর ক্ষেত্রে ভীতিও কাজ করছে অনেকের মধ্যে।
বুধবার কলকাতার সব রুটে সরকারি এসি বাসও চালু হয়েছে বলে জানান পরিবহনমন্ত্রী। লোকাল ট্রেনের অভাব মেটাতে এসবিএসটিসি ধর্মতলা থেকে চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, বালি, ডানলপ, মানকুণ্ডু বৈদ্যবাটী-সহ শহরতলির বেশ কিছু রুটে বাস চালাতে শুরু করেছে।
পরিবহনমন্ত্রী জানান, সোমবারের তুলনায় হয়রানি অনেক কমেছে। এখন বাসের জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে অনেক কম। মন্ত্রী বলেন, এ দিন বৃহত্তর কলকাতায় সরকারি বাস ছিল ৭৫০টি। চলেছে ৪৫০টি বেসরকারি বাসও।
৮ জুনের মধ্যে ১২০০টি সরকারি বাস নামাব। সব বেসরকারি সংগঠন বৃহস্পতিবার বাস নামালে সমস্যা আরও কমে যাবে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের টিটো সাহা জানান, তারা এ পর্যন্ত ২০টি রুটে বাস চালিয়েছেন। আগামী সোমবারের মধ্যে বাস চালানো হবে ৫০টি রুটে।
|