মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের জোট শনিবার গুরুত্বপূর্ণ মালাক্কা রাজ্যের নির্বাচনে জয় পেয়েছে। এটাকে দেশের ভগ্ন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ দলগুলো আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) নেতৃত্বে বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) জোট শনিবার মালাক্কা রাজ্যের ২৮ আসনের মধ্যে ২১টি জিতেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, রাজ্য বিধানসভায় এটিকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের মালাক্কা বিধানসভার বেশ কয়েকজন সদস্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার ৫ অক্টোবর রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
মালয়েশিয়ার মালাক্কা রাজ্যে ক্ষমতায় বারিসান ন্যাশনাল। ২০ নভেম্বর রাজ্যে নির্বাচনে বারিসান ন্যাশনাল বড় জয়লাভ করার পর ২১ নভেম্বর রোববার গভর্নরের অফিসের দেওয়ান সেরি উতামাতে মালাক্কা ইয়াং দিপারতুয়া নেগেরি তুন মোহাম্মদ আলী রুস্তমের সামনে ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুলাইমান মো. আলী (৫৫)।
গত বছরের মার্চে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আদলি জাহারি রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন হারানোর পর সুলাইমানকে মালাক্কার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ সালে, কাম্পুং দুরিয়ান দাউন, মসজিদ তানাহ, আলোর গাজাতে জন্মগ্রহণ করেন, সুলাইমান মালয়েশিয়ান মেরিটাইম একাডেমিতে ক্যাডেট প্রশিক্ষণে যোগদানের আগে সেকোলাহ কেবাংসান দুরিয়ান দাউনে প্রাথমিক শিক্ষা এবং সেকোলাহ মেনেঙ্গাহ মসজিদ তানাহতে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট কিউএসি (ইউকে)। সুলাইমান দাতিন সেরি মুনিরা এম. ইউসপকে (৫৪) বিয়ে করেছেন এবং এই দম্পতির দুটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে।
তিনি ২০১৩ সালে ১৩তম সাধারণ নির্বাচনে (জিই ১৩) লেন্দু বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, পাসের প্রার্থী আসরি শাইক আব্দুল আজিজকে ২,৫০৩-ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পরাজিত করেন এবং ২০১৮ সালে জিই ১৪-এ আসনটি ধরে রাখেন।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, সুলাইমান রাজ্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, বিনিয়োগ এবং শিল্প কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেছেন। ২০ নভেম্বর রাজ্য নির্বাচনে তিনি পেরিকটান ন্যাশনালের আবদুল্লাহ মাহাদি এবং পাকাতান হারাপানের মুহাম্মদ আসরি ইব্রাহিমের বিপরীতে ৩,১০৪ ভোটের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও আসনটি ধরে রেখেছেন।
৪ অক্টোবর, চার রাজ্য বিধানসভা সদস্য ইদ্রিস হারন (সুঙ্গাই উদং), নর আজমান হাসান (পান্তাই কুন্দর), নরহিজাম হাসান বাকতি (পেংকালান বাতু) এবং নুর এফান্দি আহমেদ (তেলোক মাস) সুলাইমানের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করার ফলে রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দিয়ে রাজ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে রাজ্যে নির্বাচনে জয়ের পর ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বারিসানের নেতারা। তাদের অভিনন্দন বার্তায়, জানান দিচ্ছেন, সময় এসেছে সকল বিজয়ী প্রার্থীদের জনসাধারণের সেবা করার দিকে মনোনিবেশ করার।
|