নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। যাত্রী নিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে একে একে ভেড়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লঞ্চগুলো। এবার স্বস্তি নিয়েই লঞ্চে ঢাকা ফিরতে পেরেছেন বলে জানান যাত্রীরা। ভাড়া নিয়েও কোনো অভিযোগও করেননি যাত্রীরা।
শুক্রবার (৬ মে) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, একে একে ভিড়ছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা লঞ্চগুলো। প্রতিটি লঞ্চই যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে তারা ফিরছেন কর্মমুখর রাজধানী ঢাকায়।
বরিশাল থেকে আসা এক নারী বলেন, সাড়ে ৬টায় লঞ্চে উঠেছি। ৮টায় লঞ্চ ছেড়েছে। নদীতে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হইনি। এবারের যাত্রা বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল।
বরিশাল থেকে আসা আরও একাধিক যাত্রী জানান, কোনো প্রকার ঝড়-তুফানের কবলে পড়তে হয়নি। নিরাপদেই ঢাকায় পৌঁছেছি।
শরিয়তপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন তামিম। তিনি বলেন, ফিরতি পথে নির্ধারিত ভাড়াই রেখেছে। কোনো বেশি রাখা হয়নি।
তবে কেবিনে ভাড়া বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন মুলাদি থেকে আসা এক যাত্রী। তিনি বলেন, আগের ভাড়ার চাইতে কেবিনে ৫০০ টাকা বেশি রেখেছে। তিনি ছাড়া অন্যরা এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেননি। একাধিক যাত্রীর কাছে ভাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিক ভাড়া রাখা হয়েছে বলে জানান তারা।
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গত মঙ্গলবার (৩ মে) সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের দ্বিতীয় দিন বুধবারও ছিল সরকারি ছুটির দিন। ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হয় গত ২৯ এপ্রিল।
এবছর ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ছিল যথাক্রমে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। পরদিন রোববার ছিল মে দিবসের সরকারি ছুটি। ২, ৩ ও ৪ মে যথাক্রমে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ছিল ঈদের ছুটি।
তবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই ৫ মে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। যারা ৫ মে ছুটি নিয়েছেন তারা ৬ ও ৭ মে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন। ফলে সব মিলিয়ে তাদের ছুটি কাটাবেন টানা ৯ দিন।
এরই মধ্যে ব্যাংক-বীমা ও শেয়ারবাজারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যারা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকায় ফিরেছেন।
|