আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্নীতির অভিযোগ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় হাঙ্গেরির ৭৫০ কোটি ইউরো অর্থসহায়তা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বুদাপেস্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই সুপারিশ করেছে ইসি।
ইইউর বাজেট কমিশনার ইউহানেস হান জানান, ৭৫০ কোটি ইউরো সহায়তা তহবিল বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান সরকারের বিরুদ্ধে আইনের শাসনের লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, আজকের সিদ্ধান্ত ইইউর বাজেটের সুরক্ষা ও এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কমিশনের চেষ্টার একটি অংশ।
ইইউর অধিকাংশ সদস্য তহবিল বাতিলের প্রস্তাবে রাজি হলে তা হাঙ্গেরির অর্থনীতি ও দেশটির অবকাঠামোকে ইউরোপীয় মানের করে গড়ে তোলার যে চেষ্টা, তা ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে গণতন্ত্র ও দুর্নীতির বিষয়ে ইইউর যে উদ্বেগ, সেটি দূর করতে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পাচ্ছে দেশটি।
কেন তহবিল বাতিলের প্রস্তাব ভিক্টর অরবানের দলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ রয়েছে ইইউর। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে হাঙ্গেরি সরকারের কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার দিকে ঝুঁকে পড়ার নিন্দা জানিয়ে ভোট দেয় সদস্য দেশগুলো।
এর আগে গত জুলাই মাসে ইসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঙ্গেরিতে এমন এক পরিবেশ বিরাজ করছে, যেখানে বিশেষ কিছু গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া ও প্রশাসনে স্বজনপ্রীতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার দেশটির সহায়তা তহবিল বাতিলের প্রস্তাব করে ইউরোপীয় কমিশন।
ইউরোপের কোনো দেশ গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড নিশ্চিত করতে না পারলে দেশটির অর্থসহায়তা বাতিল করা হবে, বছর দুয়েক আগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি।
তবে বুদাপেস্টের দাবি, অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে তারা। শনিবার হাঙ্গেরি সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ব্রাসেলসের সঙ্গে চলমান অচলবস্থা কাটানোর চেষ্টা চলছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
|