স্টাফ রিপোর্টার : ৬ দফা দাবী নিয়ে রাজপথে যাওয়া সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন, সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুল হক মিজান, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের সরকার, মোঃ আবুল হোসেন, মহাসচিব মোঃ লোকমান হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মিয়া আবদুল হান্নান, সহ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক ডলার , সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লাবীব উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আমজাদুল ইসলাম, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ আতাউল হক খোকন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সফিকুল রহমান,দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ফজল মিয়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন তালুকদার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুল হাই ভুঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোঃ খোরশেদ আলম, শ্রী বানু বাবু, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ আব্দুল করিম, নুরুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, মোঃ শাহ জামান, বেলায়েত হোসেন, মোঃ আব্দুল কদ্দুস মোল্লাহ ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি নেতৃবৃন্দের ও সদস্যগন আনন্দ উদ্দীপনা মাধ্যমে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে তার মুল্যমান ভোট প্রদান করে নির্বাচিত করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুয়েত প্রত্যাগত মোঃ আব্দুল হক, সহকারী নির্বাচন কমিশনার কুয়েত প্রত্যাগত মোঃ নুর জামাল, কুয়েত প্রত্যাগত মোঃ নাছির উদ্দীন নেচার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ আব্দুল হক বলেন, ২৬০ ভোটের মধ্যে ২৪১ ভোট কাষ্ট হয়েছে, স্বতঃস্ফূর্ত শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে পেরে সহকারী নির্বাচন কমিশনা মোঃ নুর জামাল, মোঃ নাসির উদ্দীন নেচার, ৭২ হাজার প্রত্যাগত বাংলাদেশীদের নবনির্বাচিত সকলকে সকল কার্যকরী নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।১৮ জানয়ারী ২০২৩ বুধবার ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশি কল্যাণ সমিতি’র গ-৯৮/১ আদর্শ নগর মধ্যবাড্ডা গুলশান ঢাকাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজিত মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন, ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতি নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম।, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির মহাসচিব মোঃ লোকমান হোসেন , মতামত ব্যক্ত করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুল হক মিজান চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের সরকার, সহ সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, মহা সচিব মোঃ লোকমান হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মিয়া আবদুল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লাবীব উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে এ অভিযোগ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় ৭২ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক শরণার্থী হিসেবে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে আসেন। জাতিসংঘ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পাঠালেও ফর্ম জটিলতায় ৫ থেকে ৭ হাজার শ্রমিক আবেদন এখনও করতে পারেননি।
আর ৫ থেকে ৭ হাজার শ্রমিক নামমাত্র ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। জাতিসংঘ যে ক্ষতিপূরণ পাঠিয়েছে তা দেশের ১১টি ব্যাংকে জমা হয়। সেই টাকার মুনাফা দিয়ে রাজধানীর ভাটারায় সমিতির নামে ১৫১.৫৪ কাঠা জমি কেনা হয় বলেও জানান কাজী নজরুল ইসলাম । কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও বিএমইটি’র অসাধু কিছু কর্মকর্তা বেশিরভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন। ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতির নামে জমি কিনলেও অত্যন্ত গোপনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ব্যুরোর তৎকালীন মহাপরিচালকের নামে সু-কৌশলে রেজিস্ট্রি করা হয় বলেও অভিযোগ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জমিতে সমিতির নামে একটি অত্যাধুনিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, একটি আইটি সেন্টার ও প্রত্যাগতদের আবাসনের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। ২০০১ সালে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলে তৎকালিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় এসে ব্যাবসায়ী নূর আলীর যোগসাজশে বিএনপির মেজর (অবঃ) কামরুল ইসলাম হাউজিং প্রকল্প করার উদ্যোগ নেন। পরে সেখানে ১৫ তলার ৫টি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সমিতির সদস্যদের আন্দোলনের মুখে ৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হয়।এরপর থেকে ওই ভবন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা সেখানে দখল নিতে পারছি না। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের উচ্চ মহলে বহুবার জানানো হয়েছে- যোগ করেন কাজী নজরুল ইসলাম ।তিনি জানান, ৭২ হাজার শ্রমিক আজ ৩০ বছর ধরে অবহেলিত। সরকার সদিচ্ছা হলেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি আমাদের নামে করে জমি ফেরত দিতে পারেন। প্রত্যাগত শ্রমিকরা রাস্তায় নামার আগে জমি ফেরত, শ্রমিকদের সন্তানদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানো ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা সুদে এসব আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের ঋণ সুবিধার দাবি,সি ক্যাটাগরীর লেইট ক্লেইম বরাদ্দ কৃত দ্রুত বিলি বন্টনের ব্যাবস্থসা করা, ৪৪৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত যুদ্ধ বন্ধিদের ক্ষতি পূরণ কমিশন কর্তৃক অনুমোদন করা ক্ষতিপূরণের অর্থ ইরাক-কুয়েত উপসাগরীয় যুদ্ধে কারণে ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলো তাদের ক্ষতি পূরণ দেয়ার ও দাবী জানান সংগঠনের নবনির্বাচিত ওই সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম।
|