বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * তীব্র গরমে বেড়েছে শরবত ও ডাবের চাহিদা   * শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের শোক   * ইটনায় ২০ কেজি গাঁজাসহ কারবারি গ্রেপ্তার   * মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন   * সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি   * সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা   * যারা নুন-ভাতের চিন্তা করতে পারত না তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : প্রধানমন্ত্রী   * ইরানে বড় শহরগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ, সিরিয়া-ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ   * মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য   * ‘শুল্ক ফাঁকি’ দেওয়া ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি পাবনায় জব্দ  

   ইসলাম
  রমজানের রোজা রাখবেন কারা?
 

মিয়া আবদুল হান্নান : সুস্থ, প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ। কিন্তু মুসলিম হলেই কি রমজানের রোজা রাখা বাধ্যতামূলক? নাকি এরমধ্যেও বিধি নিষেধ আছে? ইসলামি শরিয়তে রমজানের রোজা রাখার ব্যাপারে দিকনির্দেশনাই বা কী?

রমজানের রোজা ফরজ ইবাদত ও আল্লাহর নির্দেশ। ঈমানদারদের জন্য রোজা রাখা যে ফরজ তা জানিয়ে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দেন-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের আগের লোকদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

 

রোজা রাখা যাদের জন্য বাধ্যতামূলক

হ্যাঁ, সবার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়, বরং রোজা পালনের জন্যও রয়েছে শর্ত। যেসব শর্ত সাপেক্ষে রোজা ফরজ তাহলো-

১. রোজা রাখার জন্য প্রথমত মুসলমান হতে হবে। অমুসলিমদের জন্য ইসলামে রোজা রাখার কোনো হুকুম নেই।


২. রোজাদারকে বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। মুসলিম ছেলে-মেয়ের বয়স ৭ বছর হলেই রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া। যদি তারা রোজা পালনে সক্ষম হয়। তবে আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ নামাজের সঙ্গে তুলনা করে ১০ বছর বয়সে রোজা না রাখলে দৈহিক শাস্তির কথা বলেছেন।

তবে ৭ বছর বয়স থেকে ছেলে-মেয়ে রোজা রাখলে তারা সাওয়াব পাবে। আর ভালো কাজে উৎসাহিত করার কারণে উৎসাহ দাতা বা বাবা-মাও সাওয়াব পাবেন। হাদিসে এসেছে-

‘যখন আশুরার রোজা ফরজ ছিল তখন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে রোজা রাখাতাম। আর খাবারের জন্য কান্না করলে তাদেরকে তুলা দিয়ে তৈরি আকর্ষণীয় খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আমরা এটা করতাম ইফতারের সময় পর্যন্ত।’ (বুখারি)

৩. রোজা রাখার জন্য মুকিম বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি সফরে বের না হয়, তবে তার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। যদি কেউ দীর্ঘ সফরে বের হয় তবে তার জন্য রোজা রাখার বিধানকে সহজ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন-


‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে তবে সে অন্য সময় গণনা পূরণ (পালন) করবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৪)


৪. যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও রোজা রাখতে সক্ষম হতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয় কিংবা রোজা রাখলে জীবননাশের আশংকা থাকে তবে এ পরিস্থিতিতে রোজার বিধান সহজ। আল্লাহ বলেন-

‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে তবে সে অন্য সময় গণনা পূরণ (পালন) করবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৪)

৫. রোজা রাখার জন্য নারীদের হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) ও নেফাস (সন্তান জন্মের পর রক্তস্রাব) থেকে মুক্ত থাকতে হবে। ইসলামে নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবকে কে হায়েজ বলা হয়। হায়েজ অবস্থায় নারীরা অপবিত্র থাকে। এ সময় তাদের জন্য রোজা রাখার হুকুম নেই। আর সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর নারীদের প্রথম ৪০ দিন হলো নেফাসের সময়। এ দুই সময়ে নারীদের রোজা বিধান থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে তাদের জন্য এ সময়ের নামাজের বিধান মাফ করা হলেও পরবর্তীতে তাদের রমজানের ভাংতি রোজাগুলো পূর্ণ করতে হবে।

৬. রমজানের মাসের দিনের বেলায় যদি কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয় তবে সে সময় থেকে তাকে রোজা রাখতে হবে। কেননা মুসলমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর রোজার বিধানও ফরজ হয়ে যায়।

৭. রমজান মাসের দিনের বেলায় যদি কোনো ছেলে-মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় তবে তাদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ।

৮. রমজানের রোজা শুরু হওয়ার আগে পাগল ছিল কিন্তু রমজান শুরু হওয়ার পর পাগল ভালো হয়ে যায় তবে তার ওপর রোজা রাখা ফরজ। পাগল ভালো হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোজা হুকুমের আওতায় এসে যাবে। রোজা চলাকালীন অবস্থায় ভালো হলে সেক্ষেত্রে তাদের ইফতারের সময় পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ইসলাম গ্রহণকারী, বালেগ হওয়া ছেলে-মেয়ে কিংবা ভালো হওয়া পাগল ব্যক্তির আগের রোজা আদায় তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কেননা আগের রোজাগুলো অবস্থার প্রেক্ষিতে তাদের ওপর আবশ্যক ছিল না।

৯. যারা মাঝে মাঝে পাগল হয়ে যায় আবার মাঝে মাঝে ভালো হয়ে যায় তবে তাদের ভালো থাকার সময় রোজা রাখা আবশ্যক। রোজা অবস্থায় যদি কেউ পাগল হয়ে যায় কিংবা অজ্ঞান হয়ে যায় তবে তাদের জন্য রোজা হুকুম বাতিল হবে না।

১০. রমজান মাসে কোনো মানুষ মারা গেলে অবশিষ্ট রোজা রাখায় তাদের জন্য কোনো হুকুম নেই। আত্মীয়দের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির রোজা রাখায়ও বাধ্যবাধকতা নেই।

১১. যদি কেউ রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে অজ্ঞতায় থেকে রোজা না রাখে, তবে কোনো কোনো আলেমের মতে সে ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। রোজা ফরজ হওয়ার বিষয়টি জানার পরপর তার ওপর রোজা রাখা বধ্যতামূলক।

১২. আবার কেউ যদি রমজান মাসের দিনের বেলায় না জানার কারণে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসে মিলিত হয় তবে অধিকাংশ আলেমের মতে সে দোষী সাব্যস্ত হবে না। তবে মুসলিম এলাকায় বসবাস করে রোজা ফরজ কিনা কিংবা সহবাস হারাম কিনা এ বিষয়ে জানা নেই বললে এ ওজর গ্রহণযোগ্য হবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের ফরজ রোজা পালনে এসব হুকুম-আহকাম জেনে নেওয়ার তাওফিক দান করুন। রমজানের ফরজ রোজা যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।



সংবাদটি পড়া হয়েছে মোট : 210        
   শেয়ার করুন
Share Button
   আপনার মতামত দিন
     ইসলাম
দুনিয়ার বিপদ আল্লাহর পরীক্ষা
.............................................................................................
বিদায়ের প্রাক্কালে রোজাদারের কাছে রমজানের বারতা
.............................................................................................
তারাবির নামাজ ৩০ রোজা আমরা কিভাবে রমজানকে বিদায় জানাবো?
.............................................................................................
২৯ রমজানের রোজার ফজিলত “এক হাজার কবুল হজ্জের সাওয়াব প্রদান করা হয়
.............................................................................................
২৮ রমজানের রোজার ফজিলত জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুন করা হয়
.............................................................................................
পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার
.............................................................................................
রমজানের ২৬ রোজার ফজিলত ৪০ বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়
.............................................................................................
২৫ রমজান জুমআতুলবিদা কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়
.............................................................................................
রোজাদারের যে কোন ২৪টি দোয়া কবুল করা হয়
.............................................................................................
রমজানের ২৩ তারিখের রোজার ফজিলত “জান্নাতে রোজাদারের জন্য একটি শহর নির্মান করা হয়
.............................................................................................
রমজানের ২২ তম রোজার ফজিলত : রোজ হাশরের ময়দানের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত করা হয়
.............................................................................................
ইতেকাফে বসার নিয়ম প্রস্তুতি ও মাগফিরাতের বিদায় নাজাতের ১০ দিন শুরু
.............................................................................................
১৯ তম রোজার ফজিলত : পৃথিবীর সকল পাথর-কংকর টিলা- টংকর রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে
.............................................................................................
১৮ তম রোজার ফজিলত : রোজাদার এবং তার মা-বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ দেওয়া হয়
.............................................................................................
১৭ তম রোজার ফজিলত : রমজানে একদিনের জন্য নবীগনের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে
.............................................................................................
১৬ তম রোজার ফজিলত : আল্লাহ রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন
.............................................................................................
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হয়
.............................................................................................
১৫ তম রোজার ফজিলত : রমজানের ১৫ রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় সমস্ত ফিরিস্তারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে
.............................................................................................
১৪ তম রোজার ফজিলত : রমজানের ১৪ তারিখের রোজাদারদের হাশরের ময়দানে হিসাব- নিকাশ সহজ করা হবে
.............................................................................................
রমজানের ১৩ নম্বর রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় হাশরের ময়দানের সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে
.............................................................................................
Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale
Digital Load Cell
Digital Indicator
Digital Score Board
Junction Box | Chequer Plate | Girder
Digital Scale | Digital Floor Scale
Dynamic Solution IT
POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software
Accounts,HR & Payroll Software
Hospital | Clinic Management Software

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD