অনলাইন ডেস্ক : সড়কের উন্নয়নের নামে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে গাছ কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় হয় এ সমাবেশ। এসময় গাছ রক্ষায় সমাবেশ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো গাছকাটা বন্ধ করে দ্রুত কাটা গাছের স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা, সড়ক বিভাজকের গাছ রেখেই সড়কদ্বীপের উন্নয়ন করতে হবে, উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।
গ্রীন ভয়েসের উদ্যোগে হওয়া সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোনোভাবেই ধানমন্ডি সড়কে গাছকাটা থামছে না। ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কের বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং আরও গাছ মৃত্যুদণ্ডের আতংক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক নিয়োগ করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাতমসজিদ সড়কের গাছ কেটে সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজক উন্নয়নের কাজ করছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যে সিটি করপোরেশন গাছের মর্ম বোঝে না, গাছের মূল্য বোঝে না, সেই সিটি করপোরেশন আমাদের না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির। সঞ্চালনায় ছিলেন গ্রীন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন।
আলমগীর কবির বলেন, ৭ মে প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে বৃক্ষ রক্ষায় সচেতন করা। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা জানানো। বৃক্ষ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর মে মাসের ৭ তারিখ পালন করা হচ্ছে প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রাশিদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও লেখক রুস্তম আলী খোকন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নারী পক্ষের শিরিন আক্তার, সাতমসজিদ রোড গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি বিশ্লেষক জাকির হোসেন, বাপার নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাহবুব হাপসেন ও ইবনুল সাঈদ রানা, পরিবেশ বীক্ষণ এর মাহমুদা দীপা, ছাত্র ইউনিয়নের তামজীদ হায়দার চঞ্চল, উন্নয়ন কর্মী ফজিলা খানম, রাজনৈতিক কর্মী মনীষা মজুমদার।
|