মিয়া আবদুল হান্নান : লাখ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ। আসন্ন হজ মৌসুম নিয়ে নিজেদের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে হজের পরিকল্পনা সাজিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
হাজীরা যেন নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য এবার রেকর্ড সংখ্যক ১৪ হাজার কর্মী মোতায়েন করবে সৌদি আরব সরকার । এসব কর্মীর সঙ্গে থাকবেন আরও ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে আগামী সোমবার ২৬ জুন ২০২৩, হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ৭ জিলহজ রাত অথবা ৮ জিলহজ সকালে হাজীদের মিনায় রওয়ানা হওয়ার মধ্য দিয়ে, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ ১৪৪৪ হিজরি তারিখে। মিনায় যাওয়ার পূর্বে হাজীরা হজের নিয়তে ফরজ ইহরাম পরিধান করবেন।
এবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মক্কার হারাম শরীফ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে বিনামূল্যে ৩ লাখ পবিত্র কোরআন বিতরণ করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজিদের সুবিধার্থে ৫১টি ভাষায় অনুবাদক এবং গাইডের ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া মক্কা শরীফ ও মদিনা শরীফে ৩০ হাজার বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত ২ মিলিয়ন লিটার, আর সব মিলিয়ে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
হাজীদের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপস, রোবটসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সুবিধা থাকবে। সবকিছুই করা হবে দুই পবিত্র মসজিদ সম্পর্কিত জেনারেল প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে। নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট ডাক্তার আব্দুর রহমান আল-সুদাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাজ নেতৃত্বের বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের সমন্বিত প্রস্তুতকৃত সেবা অনুযায়ী মহামারী মরণঘাতী করোনা প্রাদুর্ভাব শেষে এবং কয়েক লাখ হাজী ফেরানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এবারই হজ মৌসুমের সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায়, এ বছর হজের ক্ষেত্রে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ধারণা করা হচ্ছে এবার বিশ্বের ২৬ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ।
|