মিয়া আবদুল হান্নান : দুনিয়াতে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা দুনিয়া নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যারা পরকালের চিন্তা-ভাবনায় মশগুল থাকেন। তাদের উভয়ের পরিণতি ও প্রাপ্তি কী? এ সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে তাদের পরিণতি ও প্রাপ্তির কথা ওঠে এসেছে। তাদের পরিণতি ও প্রাপ্তি কী?
দুনিয়া পরকালের ফসল ফলানোর জায়গা। এখানে যারা নেক আমল করবে, তারা পরকালে সফল হবে। আর দুনিয়ার উপকারিতা ও নেয়ামত ভোগ হবে বোনাস। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস তুলে ধরেছেন এভাবে-
হজরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে- ‘পরকাল’; আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন এবং তার যাবতীয় বিচ্ছিন্ন কাজ একত্রিত করে সুসংযত করে দেবেন। আর তখন তার কাছে দুনিয়াটা নগণ্য হয়ে দেখা দিবে।
‘আর যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে- ‘দুনিয়া’; আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির গরীবি ও অভাব-অনটন দুচোখের সামনে লাগিয়ে রাখবেন এবং তার কাজগুলো এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন করে দেবেন। তার জন্য যা নির্দিষ্ট রয়েছে, দুনিয়াতে সে এর চাইতে বেশি পাবে না।’ (তিরমিজি ২৪৬৫)
হাদিসের পরিভাষা থেকে বোঝা যায়, মানুষের চিন্তার খোরাক হবে পরকাল। আর এতে সে দুনিয়া ও পরকাল উভয় জগতের কামিয়াবি হাসিল করতে পারবে। পক্ষান্তরে যে শুধু দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, তার পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে। দুনিয়াতে তার জন্য যা নির্ধারিত আছে এর বেশি কোনো কিছুই সে পাবে না। (নাউজুবিল্লাহ)
দুনিয়ার চিন্তা-পেরেশানি নয়, বরং পরকালের চিন্তা-পেরেশানিই হবে সফলতার উপায়। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দুনিয়ার সামান্য সময়ের চিন্তা-পেরেশানি না করে পরকালের বিশাল জিন্দেগির চিন্তা-ফিকিরে নিজেদের নিয়োজিত করা। যার বিনিময়ে মুমিন মুসলমান পাবে দুনিয়া ও পরকালের কামিয়াবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের সফলতা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
|