মোছা: আয়েশা সিদ্দিকা (শিক্ষার্থী)
আত্মশুদ্ধির অর্থ আসলে আত্মার শুদ্ধি। নানা উপায় আত্মাকে শুদ্ধ রাখতে হয়। তা না হলে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা হয় না। গবেষকরা বলে থাকেন, মানুষের শরীর অসুস্থ হলে যেমন চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে হয়, তেমনি আত্মা অসুস্থ হলে তাকেও পরিশুদ্ধ করে তুলতে হয়। কারণ আত্মা শুদ্ধ ব্যক্তিই পারে তার কর্মকাণ্ড দিয়ে চারপাশের পরিবেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে। আত্মা অশুদ্ধ থাকলে ব্যক্তির বাহিক আচার-আচরণ সহ তার কাজকর্মে অশুদ্ধতা ও অকল্যাণ নেমে আসে। মানব জীবনে তাই আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমরা আমাদের চারপাশে তাকালে দেখতে পাই, নানা অনাচারে ভরে উঠেছে সমাজ। কি ব্যক্তি জীবন? কি পারিবারিক জীবন? কি কর্ম জীবন? সর্বত্রই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অনাচারে ছড়াছড়ি। কারণ কি? কারণ আমাদের মধ্যে আত্মশুদ্ধির অভাব।
পবিত্র ধর্ম গ্রন্থেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, `সে-ই সফলকাম হয়েছে, যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে আত্মাকে শুদ্ধ করা যায়? বিষয়টি দুইভাগে ব্যাখ্যা করতে পারি।
( ক) বর্জনীয়; যাবতীয় পাপ, অন্যায় ও অপবিত্র কাজ থেকে মুক্ত হওয়া অর্থাৎ যাবতীয় অসৎ গুণাবলী বর্জন করা। (খ) করণীয়; উত্তম গুনাবলী দ্বারা আত্মার উন্নতি সাধন করা অর্থাৎ প্রশংসনীয় গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে পরিত্যক্তিত অসৎ গুণাবলী শূন্যস্থান পূরণ করা।
বর্জনীয় ও করণীয়- এর চর্চার কাজটা শুরু করতে হবে নিজের ভেতর থেকে। তারপর পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে। কেননা অশুদ্ধ ও পচনশীল আত্মার বিষয়ে আমরা অভিমত- ` না উড়ে না পড়ে বোধ মহাকাল নেয় পঁচনশীল আত্মার শোধ না ওড়ে না পোড়ে বোদ, মহাকাল নেবে অশুদ্ধ আত্মার শোধ` (সম্ভবত ইহলোকেই এইসব দৃশ্যমান হয় কিংবা হবেই) তাই প্রত্যাশা- আত্মশুদ্ধির উদ্বোধন হোক আমার, আপনার, আমাদের মাঝে।
|