পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন ৩৯ জেলে।
এর মধ্যে ১৪ জেলে ফিরে এসেছেন। রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে পাথরঘাটায় ফিরে আসেন তারা।
এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে অনেক মাছ ধরা ট্রলার। এর মধ্যে ইউসুফের মালিকানা এফবি মায়ের দোয়া, রফিকের মালিকানা এফবি এলাহি ভরসা ও আনোয়ারের মালিকানা এফবি তামান্না।
এফবি মায়ের দোয়া নামে ট্রলারে ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উদ্ধার হলেও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ডুবে যাওয়া আনোয়ার হোসেনের মালিকানা এফবি তামান্না ট্রলারের ১৪ জেলে ভাসতে ভাসতে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সুন্দরবনের দুবলার চরে ওঠেন। পরে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় দুবলার চর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এফবি তামান্না ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে ওই ট্রলারের ১৪ জন জেলে ভাসতে ভাসতে সুন্দরবনের দুবলার চরে ওঠে। পরে আমরা খবর পেয়ে ট্রলার পাঠিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয়।
ফিরে ওই ট্রলারের মাঝি হাবিব বলেন, ঝড়ের সময় প্রথমে ট্রলারের তলা ফেটে যায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ডুবে যায়, তবে ট্রলারে থাকা জেলেরা পানিতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
এদিকে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের ১৪ জেলের মধ্যে ৪ জেলে পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাট থেকে পাথরঘাটায় পৌঁছান। তারা হলেন- নুর জামান মুন্সি, মাসুম মিয়া, আজগর মিয়া ও রাজিব। নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আবুল কালাম, মো. জাফর মিয়া, মজিবুর রহমান, ট্রলার মালিক ইউসুফ মিয়া, ছত্তার হাওলাদার, নাদিম, বেল্লাল ও ইয়াছিন মিয়া। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়।
অপরদিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনো ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
|