জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হিমশীতল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জেলায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সেকারণেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে কারণে দিনের শেষে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে কয়েকদিন ধরে ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্য। ঘড়ির কাটায় সময় বাড়তে থাকলে রোদ ঝলমলে হয়ে উঠে দিন। বেড়েছে তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবিদের কাজে যেতে দেখা গেছে। এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে হিমশীতল ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলার পাথর শ্রমিক তাহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, শুভ হোসেন জানান, খুব সকালে বরফগলা ঠান্ডা পানিতে নেমে কাজ করা কঠিন। তবে ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। এতে করে সংসার চালাতে অনেকটা হিমসিম খেতে হচ্ছে।
আবদুল খালকে নামের এক চা চাষি বলেন, কালকের থেকে আজ কিছুটা কুয়াশা কমলেও হিমশীতল ঠান্ডায় শরীর কাঁপতেছে। সকালে চা বাগানে কাজ করতে কষ্ট হয়। সব মিলে আমরা অনেক কষ্টে আছি।
জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার সকলা ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যে শৈত্যপ্রবাহ ছিল তা কেটেছে। সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের মুখ। হিম শীতল বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে।
|