অমর একুশে বইমেলায় ২য় দিনে নতুন বই এসেছে ৩১টি। এর মধ্যে রচনাবলী এসেছে ১টি, প্রবন্ধ এসেছে ৩টি, ইতিহাস সম্পর্কিত বই এসেছে ১টি, জীবনী গ্রন্থ এসেছে ২টি, উপন্যাস এসেছে ১০টি, শিশুতোষ গল্প এসেছে ১টি, কবিতার বই এসেছে ৮টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই এসেছে ১টি, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই এসেছে ১টি, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক ১টি, মহাকাশ বিষয়ক বই এসেছে ১টি এবং গল্পের বই এসেছে ১টি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার ৩য় দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।
এরপর বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিশতজন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : মাইকেল মধুসূদন দত্ত শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুহম্মদ নূরুল হুদা।
শুক্রবার মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। যা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলা আজ ছিল শিশুপ্রহর। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : মহাকবি আলাওল শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মিস্টন বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. আবুল কাসেম।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাঙালি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অবাঙালি গবেষকদের বিচারে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতকের কবি আলাওল মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আখ্যান কবি হিসেবে স্বীকৃত। আলাওল রচিত পদ্মাবতী, সিকান্দরনামা, তোহফা, রাগতালনামা ও পদাবলী এবং কাজী দৌলতের সতী-ময়না লোর-চন্দ্রাণী’র শেষাংশ হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপির সাহায্যে সম্পাদিত গ্রন্থাকারে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন নতুন তথ্যের আলোকে মহাকবি আলাওলকে যে তত্ত্বীয় পরিসরে গবেষকগণ উপস্থাপন করছেন তাতে তাঁর সাহিত্যের গভীরতা, দূরদৃষ্টি-সম্পন্নতা এবং মহাকাল স্পর্শের ক্ষমতা স্পষ্ট হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আবুল কাসেম বলেন, মধ্যযুগে প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে বাংলা ভাষা মুসলমানের ভাষা নয়, হিন্দুর ভাষা। তথাপি মধ্যযুগের মুসলমান কবিগণ বাংলা ভাষায় প্রচুর সাহিতকর্ম রচনা করেছেন। মহাকবি আলাওলও এর ব্যতিক্রম নন। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মের একাধিক পাঠ থেকে লেখকের অভিপ্রেত পাঠটি পুনরুদ্ধার করাই পাণ্ডুলিপি বা পুথি সম্পাদনার মূল উদ্দেশ্য।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রুবী রহমান, আসাদ মান্নান এবং মাহবুব সাদিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী লায়লা আফরোজ, মুস্তাফা ওয়ালিদ এবং মজুমদার বিপ্লব। এছাড়া ছিল ড. আবুল কালাম আজাদ-এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন `বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদ’ এবং ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন-এর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’-এর পরিবেশনা।
|