ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিশ্ব ইউনানী দিবস উপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ বাংলাদেশের উদ্যোগে রোববার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সভাপতিত্ব করেন হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা.প্রাণ গোপাল দত্ত; জাতীয় অধ্যাপক ও হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ওয়াক্ধসঢ়;ফ প্রশাসক আবু সালেহ মহিউদ্দিন খাঁ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন রাসেল। কী নোট উপস্থাপন করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একাডেমিক ইউনানী চেয়ার অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমী। হামদর্দের ইউনানী বিষয়ক তৎপরতা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিপণন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক। এ সময় প্রধান অতিথি ধর্মমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন।
তাঁর উৎসাহে বাংলাদেশের শহর বন্দর নগর, এমনকি প্রত্যন্ত জনপদেও বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এর মধ্যে হামদর্দ বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করার মতো। হামদর্দ সারা বাংলাদেশে ৩০০টি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসাপত্র দিচ্ছে। পাশাপাশি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মানব সেবা করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা হামদর্দের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে ইউনানী আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা বিস্তারে বিপ্লব করেছে হামদর্দ। এ সময় হামদর্দের মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. হাকীম মো.ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ছড়িয়ে দিতে হামদর্দের মাধ্যমে আমরা নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইউনানী আয়ুর্বেদিক খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এ সময় ইউনানী আয়ুর্বেদিক সেক্টরের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
|