কলকাতা থেকে মিয়া আবদুল হান্নান : ঘুরে ফিরে দেখলাম মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতিক ভারতে`র কলকাতা`র নাখোদা মসজিদ সাথে রয়েছেন, ভ্রমণ পিপাসুদের একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী বন্ধু সূলভ ভদ্রলোক ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া ইউনিয়নের বেলনা খাসকান্দীর সাদা মনের মানুষ মুহাম্মদ শাহাবুল খান, ১০ দিন আগে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে কলকাতায় অপেক্ষা করতে ছিলো দক্ষিণ ধর্মশুর গ্রামের কৃতিমান সন্তান বন্ধু মোঃ ইকবাল হোসেন (কাকা) ও আমি মিয়া আবদুল হান্নান, মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল কলকাতায় ।
নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। এটি মধ্য কলকাতার পোস্তা, বড়বাজার এলাকার জাকারিয়া স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলে অবস্থিত নাখোদা মসজিদ মিহরাব কচ্ছের একটি ছোট্ট সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায় কুচ্চি মেমন জামাত আগ্রার সিকান্দ্রায় অবস্থিত মুঘল সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধের অনুকরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। কুচ্চি মেমন জামাত সম্প্রদায়ের নেতা আবদুর রহিম ওসমান এই মসজিদের স্থাপক। তিনি নিজে ছিলেন বিশিষ্ট নাবিক। নাখোদা শব্দেরও অর্থ নাবিক। ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই মসজিদটি স্থাপিত হয়। সেই সময় মসজিদটি তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছিল ১৫,০০,০০০ টাকা। এই শহরের `বড়ি মসজিদ`, ফিরে দেখা নাখোদার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস মঙ্গলবার ভারতে পালিত হতে চলেছে ঈদ। এদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। পাক্কা দুবছর সেভাবে পালিত বতে পারেনি ঈদ। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলেছে। ২ বছর পর, রেড রোডে ঈদের নামাজ পরার অনুমতি মিলেছে। আর এই বিশেষ দিনের জন্য সেজে উঠছিলো বলে জানা গেছে নাখোদা মসজিদও। কলকাতা চিৎপুর অঞ্চলে অবস্থিত নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে রবীন্দ্র সরণি ধরে দক্ষিণমুখী ৫ মিনিটের পথে জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই নাখোদা মসজিদ। কলকাতার নাখোদা মসজিদ ভারতের বাংলাভাষী মুসলমানদের সর্ববৃহৎ উপাসনালয়। মোগল সম্রাট আকবরের সমাধির আদলে লাল বেলে পাথর আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি এই মসজিদই অবিভক্ত বাংলার সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল। ১০০ ফুট উচ্চতার ২৫টি ছোট মিনার, ১৫০ ফুট উচ্চতার দু’টি বড় মিনারসহ দুর্লভ গ্রানাইট পাথর দিয়ে নির্মিত সুবিশাল দ্বিতল চাতালে সজ্জিত হয়েছে এই মসজিদ। মূল ভবনে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারেন। ঈদের দিনে চাতালগুলোর ভরপুর সমাগমে লাখের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। গ্রানাইট পাথর এনে ইন্দো-সেরাসেনিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করে এই সুবিশাল নির্মাণযজ্ঞ। শ্বেতপাথরে গড়া মসজিদের ভেতরের অংশ তাজমহলের কথা মনে করিয়ে দেয়। মসজিদের প্রধান ফটক বানানো হয়েছে মোগল সম্রাট আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত ফতেপুর সিক্রির বুলন্দ দরওয়াজার আদলে। নাখোদা মসজিদ স্থাপত্যের দিক থেকে এক বিস্ময়। সূক্ষ্ম অলংকরণ, শৈল্পিক কল্পনার এক অনন্য নিদর্শন। সাদা মার্বেলের দেয়াল, বেলজিয়াম কাচ, বিশাল নামাজের জায়গা, দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো কাঠের ঘড়ি। দেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইতিহাসের গন্ধ। ভারত সরকার ২০০৮ সালে মসজিদটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং বা ঐতিহ্যবাহী ভবনের মর্যাদা দিয়েছে। বর্তমানে এটি শুধু মুসলমানদের উপাসনালয়ই নয়, পর্যটকদের কাছেও এটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নাখোদা একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হল জাহাজের ক্যাপ্টেন বা জাহাজ যোগে আমাদানি রফতানি ব্যবসা করে থাকেন এমন মানুষ । বিভিন্ন পুস্তক বা ইতিহাস ঘেঁটে নাখোদা সম্বন্ধে যা ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা যায় তা হল গুজরাটের কচ্ছ নামে একটা জায়গাতে কিছু সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা বসবাস করতেন।যাদের এক কথায় “কাচ্ছি মেমন জামাত” বলা হয়ে থাকে। সেই সময় তাদের নেতা আব্দুর রহিম ওসমান ছিলেন পেশায় সমুদ্র বণিক। তিনি ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে চিৎপুরে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আব্দুর রহিম ওসমান তাঁর উপার্জিত টাকা দিয়ে এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন।তৎকালীন সময়ে ১৫ লাখ টাকা নিনাখোদা একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হল জাহাজের ক্যাপ্টেন বা জাহাজ যোগে আমাদানি রফতানি ব্যবসা করে থাকেন এমন মানুষ । বিভিন্ন পুস্তক বা ইতিহাস ঘেঁটে নাখোদা সম্বন্ধে যা ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা যায় তা হল গুজরাটের কচ্ছ নামে একটা জায়গাতে কিছু সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা বসবাস করতেন।যাদের এক কথায় “কাচ্ছি মেমন জামাত” বলা হয়ে থাকে। সেই সময় তাদের নেতা আব্দুর রহিম ওসমান ছিলেন পেশায় সমুদ্র বণিক। তিনি ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে চিৎপুরে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আব্দুর রহিম ওসমান তাঁর উপার্জিত টাকা দিয়ে এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন।তৎকালীন সময়ে ১৫ লাখ টাকা নির্মাণ খরচ বহন করেছিলেন যার বর্তমান মূল্য অনেক, প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা ,যেহেতু তিনি পেশায় একজন বণিক,বা ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর নামানুসারে এই মসজিদটির নামকরণ হয়।নির্মাণ খরচ বহন করেছিলেন যার বর্তমান মূল্য অনেক, প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা ,যেহেতু তিনি পেশায় একজন বণিক,বা ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর নামানুসারে এই মসজিদটির নামকরণ হয়।
অনেকেই বলেন, নাখোদা মসজিদ লাগোয়া চিৎপুর রোডের প্রতিটা কোণে কোণে পাওয়া যায় বাদশাহি মেজাজ৷ সুতোর কাজ করা জামাকাপড় থেকে শুরু করে সুরামা, আতর, অম্বুরি তামাক, মোগলাই খানা– যেন সময় থমকে আছে৷ কলকাতার নাখোদা মসজিদটি পরিদর্শন করতে আপনি সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে যেতে পারেন। এর জন্য কোনও প্রবেশমূল্যের বা টাকার (রুপি`র)প্রয়োজন হয় না সম্পূর্ণ ফ্রী। না-খোদা মসজিদ এখানে এক সঙ্গে প্রায় ১১ হাজার মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন।
কেনাকাটার নিরাপদ মার্কেট : উত্তর কলকাতা নাখোদা মসজিদের মার্কেট। এই মসজিদ মার্কেটে গোটা কলকাতায় এখানেই মেলে হরিণের কস্তুরীর থেকে তৈরি আতর। মিষ্টি জর্দার বড় বাজার এখানে থেকেই শুরু। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক থেকে আসা নকশী করা নামাজি টুপির বড় মার্কেটও এখানেই। দেশি-বিদেশি পাঞ্জাবী, সেরওয়ানি, বোরখা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন রুহিতপুরী লুঙ্গির পাইকারি ও খুচরা বাজারও তবে না চিনে এসব কিনলে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকে। শুধু পোশাক-আশাক নয়, কলকাতার সবচেয়ে বড় বাদ্যযন্ত্রর মার্কেটও এখানেই। সেই হিসেবে বলাই যায়, মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন নিজের অজান্তেই প্রদক্ষিণ করে চলেছে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে পর্যটকের দল। আর যাকে কেন্দ্র করে এতো আয়োজন, সে সাজবে না তাই হয়! ইতিহাসের পাতার আর এক অধ্যায়, ঈদের আগে নতুনভাবে সেজে ওঠে প্রতিবার। যার নাম নাখোদা মসজিদ। বিস্তারিত দ্নিতীয় পর্বে।
|