নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় সরকারে চারটি মন্ত্রণালয় পেতে যাচ্ছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি। নির্বাচনে তারা জিতেছে ১৬ আসনে। আর ১২ আসনে জেতা নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) পাচ্ছে দুটি মন্ত্রণালয়। শনিবার (৮ জুন) সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়েছে, টিডিপি থেকে মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলা সম্ভাব্য চার নেতার মধ্যে তিনজন হলেন- রাম মোহন নাইডু, হরিশ বালযোগী এবং দগ্গুমালা প্রসাদ।
আর নীতিশ কুমারের দল থেকে সম্ভাব্য মন্ত্রী হিসেবে দুজন জ্যেষ্ঠ নেতার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা হলেন- লালন সিং ও রাম নাথ ঠাকুর।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) বৈঠকে নতুন মন্ত্রিসভার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, অন্ধ্র প্রদেশে ১৬টি লোকসভা আসনে জয়ী হওয়ার পর টিডিপি চারটি মন্ত্রণালয় এবং সংসদীয় স্পিকারের পদ দাবি করেছিল। আর ১২ আসনে জেতা জেডিইউ চেয়েছিল দুটি মন্ত্রী পদ।
গত ৪ জুন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপি সর্বাধিক আসনে জয় পেলেও প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ ফল করেছে তারা। মোদীর নেতৃত্বে আগের দুই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবার ২৭২ আসনের ম্যাজিক ফিগার পেরোতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। তারা জিতেছে ২৪০ আসনে, অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এখনো ৩২ আসন দরকার বিজেপির।
যদিও জোটগতভাবে ২৯৩ আসনে জয় পেয়েছে এনডিএ। এর মধ্যে বিজেপির পরে উল্লেখযোগ্য আসন রয়েছে কেবল টিডিপি এবং জেডিইউ’র। ফলে তথাকথিত ‘কিংমেকার’ হয়ে উঠেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার। গুরুত্ব পাচ্ছেন নামমাত্র আসন পাওয়া অন্য শরিকরাও।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি ভূমিধস জয় পাওয়ায় দরকষাকষির সুযোগ ছিল না জোট শরিকদের। নরেন্দ্র মোদী যা দিয়েছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু এবার সুযোগ বুঝে নিজেদের দাবি-দাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন শরিকরা।
|