মিয়া আবদুল হান্নান : রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর ইউনিয়নের ১০ নং ধর্মশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম বিএ, সহ-সভাপতি রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জজমিয়া, সদস্য সচিব ধর্মশুর সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদাধিকার বলে সদস্য সচিব, শনিবার ৮ জুন সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন বিষয়ক সভা শেষে উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য, দাতা সদস্য, অভিভাবক সদস্যসহ সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট মোঃ আতিকুল ইসলামকে পুনরায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এরই মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হলো। ধর্মশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আতিকুল ইসলাম সদস্য সচিব নরেন্দ্র কুমার সরকার, দাতা সদস্য হাজী আবুল হোসেন, রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি সালমা খানম, ধর্মশুর সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি রুমানা খানম,কার্যকরী সদস্য শেখ ত্রিবদ্দীন রোমান, এরশাদ আলম খোকন, তানিয়া আক্তার, ইশরাত জাহান লতা ও লিপি বেগম।
প্রাথমিকের পর এবার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তিকে ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে।
কমিটি গঠনকল্পে অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক মিয়া আবদুল হান্নান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ২নং মেম্বার মোঃ জজমিয়া, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মোঃ জসিমউদদীন, শেখ মোঃ ত্রিবদ্দীন রোমান, প্রধান শিক্ষক নরেন্দ্র কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ নাজির হোসেন, ১০ নং ধর্মশুর সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আক্তার, রুমানা খানম,রুনু আক্তার, ফাহমিদা হোসেন দোলন ও অভিভাবক ও এলাকা গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক প্রভাব আছে এমন লোকজন সভাপতির আসনে বসেন। শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা না থাকায় নানা বিষয়ে তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। অনেক সময় তারা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেন। তাই শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিলে এই প্রভাব কমবে। আর শিক্ষিত লোকজন নেতৃত্বে এলে শিক্ষার মানও বাড়বে। জিমিয়ে পড়া ধর্মশুর সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ শিক্ষারমান উন্নয়নে অভিভাবকদের নিয়ে ঢেলে সাজাবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করার সংকল্পবদ্ধ হন।
|