মিয়া আবদুল হান্নান : মহররম মাস হিজরি গণনার মাস দিয়ে বছর শুরু, আজ মহররম মাসের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার যদিও আরবি মাসে দিনক্ষণ শুরু হয় মাগরিব ওয়াক্তের নামাজের সময় । পবিত্র কোরআনে ৪টি মাসকে সম্মানিত মাস বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো মহররম মাস। এ মাসেরই ১০ তারিখকে আশুরার দিন বলা হয়।রমজানের পর হিজরি সনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস এটি। এই মাসকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লুল্লাহ আলাইহিসসালাম ‘আল্লাহর মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লুল্লাহ আলাইহিসসালাম।
‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ)।’ (মুসলিম ২৬২৬) এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, সব মাসই তো আল্লাহর। মহররমকে বিশেষভাবে আল্লাহর মাস বলার কারণ কী? এর জবাবে বলা হয়, এই মাসের বিশেষ ফজিলত বোঝাতেই মূলত একে আল্লাহর মাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত হাদিসে বলা হয়েছে, মহররম মাসের রোজা রমজানের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহর মাস বলার এটিও একটি কারণ। মহররম মাসের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরও বেশি আবও তাৎপর্যপূর্ণ । আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল করিম সাল্লুল্লাহ আলাইহিসসালাম-কে রমজান ও আশুরার দিন যেমন গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখেছি, অন্য সময়ে তা দেখিনি।’ (বুখারি) অন্য এক হাদিসে এই মাসে তওবা কবুল হওয়ার কথাও এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লুল্লাহ আলাইহিসসালাম বলেছেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখো। কারণ এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্য জাতিগুলোর তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি)
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]