ট্রাফিক দুর্বলতার সুযোগে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অদক্ষ চালকের এলোমেলো চলাচল, আইন না মানার প্রবণতা, উল্টোপথে চলা, হুটহাট রিকশা ঘোরানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে ঢাকার সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য অটোরিকশাকে দায়ী করছেন অন্য যানবাহন চালকরা। ব্যাটারি রিকশা চালকদের অভিযোগ- লাইসেন্স না দেয়াতেই এই অব্যবস্থাপনা।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর নড়বড়ে হয়ে গেছে রাজধানীর ট্রাফিকব্যবস্থা। বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী অভিযোগে পুলিশ জনরোষের শিকার হয়। এর আঁচ পড়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপরও।
৫ আগস্টের পর বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিল ট্রাফিক পুলিশ। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে কাজে যোগ দিলেও সড়কে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে পারছে না ট্রাফিক বিভাগ। সেই সুযোগে রাজধানী জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা।
আগে অলিগলিতে বেশি চললেও, এখন প্রধান প্রধান সড়কেও ব্যাটারিচালিত রিকশার উৎপাত বেড়ে গেছে। এর ফলে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। সম্প্রতি রাজধানীতে যানজট বেড়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই দায়ী করছেন ব্যাটারি রিকশাকে।
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। ইজিবাইক দুই লাখ। এই সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই।
ইঞ্জিনচালিত রিকশা চালকদের অভিযোগ, প্রায় ৬০ শতাংশ রিকশার মালিক পুলিশ। আগে এসব বাহন চালাতে পুলিশসহ প্রভাবশালীদের টাকা দিতে হতো। এখন তা আর তা লাগেনা।
ডিপিডিসির তথ্য অনুযায়ী, ৮ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশার চার্জে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তা দিয়ে প্রায় ১৫ লাখ আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হতে পারে।
|