নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভারুয়াখালী- খুরুশকুল সংযোগ সেতু নির্মাণে কাজ ধীরগতি হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ভারুয়াখালী-খুরুশকূল সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন দাবী কমিটির নেতৃবৃন্দ। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি সমাধানের আবেদন করেন।
কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী জেলা শহরের একটি নিকটবর্তী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে চল্লিশ হাজারেরও অধিক মানুষের বসবাস। খুরুশকুল ইউনিয়নের উপর দিয়ে অত্র ইউনিয়নের মানুষ মাত্র ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করার সুযোগ থাকলেও নির্মাণাধীন ভারুয়াখালী-খুরুশকূল সংযোগ সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেই আদিকাল থেকে ভিন্ন উপজেলা রামুর উপর দিয়ে ৩৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভারুয়াখালীর মানুষকে কক্সবাজার জেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে বর্তমান আধুনিক সময় কালেও সেখানকার মানুষ যাতায়াতে অধিক অর্থ ও সময় ব্যয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তুলনামূলক বেশি দাম দিয়ে ক্রয়, ইউনিয়নে উৎপাদিত লবণ, চিংড়ি, শাকসবজির ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত, পথে ডাকাতি ও মুমূর্ষুরোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে প্রেরণ করতে না পারা, অপরাধীদের আশ্রয়স্থলসহ নিত্য ঘটনা সেখানে লেগেই আছে।
তারা আরো বলেন, সেখানকার মানুষ ২০০০ সাল থেকে উক্ত সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও আন্দোলন করে আসছিল। অবশেষে ২০১৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হলে মানুষ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিল। কাজ শুরুর দীর্ঘ ছয় বছর সময় অতিবাহিত হলেও এখনও ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ চরম হতাশায় ভূগছেন। বিশেষ করে নদীর অংশে এখনো কাজে হাত না দেওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই চিন্তায় দিন পার করছেন।
কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, কাজ শুরু পর থেকে ১০ জনের বেশি শ্রমিককে কাজে না লাগানো, মাঝেমধ্যে কাজ বন্ধ রাখা, কাজ শুরুর ছয় বছর অতিক্রম হলেও ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন না হওয়া, সেতুটির অভাবে সংশ্লিষ্ট মানুষের মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী নির্দিষ্ট সময়ে সেতু কাজ শেষ না হওয়ায় দু:খ প্রকাশ করেন।
তিনি সেতু দাবী কমিটির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, আজ থেকে আমি এ সেতুর অভিভাবক এবং দ্রুত সময়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা তিনি করবেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সিংহভাগ কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সেতু দাবী কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাষ্টার মুহাম্মদ শেফা উদ্দিন, ইউনিচার কর্মকর্তা আবছার কামাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংক কক্সবাজার শাখার সহ ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ, এডভোকেট আবুহেনা, ইঞ্জিনিয়ার রমিজুর রহমান, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা মো:ইউনুস, ব্যবসায়ী আরাফাত, ছাত্র শাহিন উদ্দিন, ছাত্র মো: সায়েম, ছাত্র ওয়াসেম আকরাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মোর্শেদ প্রমূখ।
|