মিয়া আবদুল হান্নান : দ্বীনি কথা শোনানো ও হেদায়েতের উদ্দেশ্যে হিন্দু, খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া জায়েজ। তারা দ্বীন সম্পর্কে জানতে মসজিদে ঢোকার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের মসজিদে ঢুকতে দেওয়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
হাদিসে এসেছে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু সাকিফ গোত্রের কাফের প্রতিনিধি দলকে মসজিদে রেখেছেন (যেন দ্বীনি কথা শুনে) তাদের অন্তর নরম হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ১৭৯১৩)
অমুসলিম পর্যটকরাও যদি ইসলাম সম্পর্কে জানতে মসজিদে ঢোকার বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তাদেরকে মসজিদে ঢুকতে দেওয়া যাবে। মসজিদে ঢোকার সময় তারা যেন শালীন পোশাক পরিধান করে, মসজিদের আদব ও সম্মান রক্ষা করে, মসজিদের পবিত্রতা বিনষ্টকারী কোনো কাজ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মসজিদ আল্লাহর সম্মানিত ঘর, তার ইবাদতের স্থান। তাই মসজিদে যেন কোনোভাবেই নিছক পর্যটনস্থল বা বিনোদনকেন্দ্র না হয়ে ওঠে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)
কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা মসজিদকে মর্যাদায় সমুন্নত করার ও মসজিদে তার নাম স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মসজিদে ইবাদতকারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেন,
যেসব গৃহকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং তাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এমন ব্যক্তিরা যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয় বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখেনা, তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সুরা নুর: ৩৬, ৩৭)
|