২৪ বছর পর এই প্রথম নিজেদের মাঠে ধবলধোলাই হলো ভারত। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল ভারতীয়রা। তবে ৩-০ ব্যবধানে এবারই প্রথম ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হলো ম্যান ইন ব্লুজরা।
মুম্বাই টেস্টে ভারতকে মাত্র ১৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ম্যাচটি জিততে পারল না ভারত। আরও একবার ব্যর্থ হলো ভারতীয় ব্যাটাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ২৫ রানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো স্বাগতিকরা।
১৪৭ রানের লক্ষ্য টপকে রবিবার (৩ নভেম্বর) যদি ভারত জিততে পারত, তাহলে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ইতিহাসে এটি হতো রান তাড়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। জেতা তো হলোই না। শেষ পর্যন্ত হেরে ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় ডুবল ভারত।
ভারত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শুরুতেই। দলীয় ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এরপর ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে রিষভ পান্ত (৫৭ বলে ৬৪) ফিফটি হাঁকালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি ভারতের। উইকেটরক্ষক ব্যাটারের লড়াইয়ের পরও শেষমেশ রোহিত শর্মার দল গুটিয়ে যায় ১২১ রানে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ১৩ রানে আউট হন ওপেনার রোহিত শর্মা (১১ বলে ১১)। এরপর ১৬ রান যোগ করতেই আরও ৪ টপঅর্ডারকে হারায় ভারত।
রোহিতের পেছনে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন শুভমান গিল (৪ বলে ১), বিরাট কোহলি (৭ বলে ১) যশ্বস্বি জয়সওয়াল (১৬ বলে ৫) ও সরফরাজ খান (২ বলে ১)।
ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন পান্ত। এ দুইজনের ব্যাটে কিছুটা আশা দেখছিল ভারতীয় সমর্থকরা। ২২ বলে ৬ রান করে জাদেজা আউট হয়ে গেলে ফের চাপে পড়ে ভারত।
এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লড়াই করেন পান্ত। সপ্তম উইকেটের জুটিতে ৩৫ রান তোলেন তারা। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে পান্ত ক্যাচ হলে জুটি ভাঙে।
শেষদিকে ৪ বলে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকাশ দীপকে আউট করেন গ্লেন ফিলিপস। পরের ওভারের প্রথম বলে প্যাটেলের বলে ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হলে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
ভারতকে মূলত ধসিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। একাই ৬ উইকেট নেন এ বাঁহাতি। এ ছাড়া ৩ উইকেট শিকার করেন গ্লেন ফিলিপস ও ১ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি।
|