ইউরোপা লিগের ম্যাচে গতকাল রাতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে মুখোমুখি হয়েছিল ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিব ও আয়াক্স। ম্যাচটিতে ৫-০ গোলে ইসরায়েলি ক্লাবকে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স।
কিন্তু ম্যাচের আগে ইসরায়েলি সমর্থকরা তাণ্ডব চালায় আমস্টারডামে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের উপর হামলা চালায় তারা। ঘটনার সূত্রপাত ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনার বাইরে শুরু হও। গতকাল রাতে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে র্যালি ও মিছিল নিয়ে আমস্টারডামে প্রবেশ করে ইসরায়েলি ক্লাবটির সমর্থকরা। স্টেডিয়ামের বাইরেই শুরু করে তারা তাণ্ডব। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করার পাশাপাশি তারা নামিয়ে ফেলে ফিলিস্তিনের পতাকা। পরবর্তীতে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের ওপরেও।
এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে আমস্টারডাম সিটি কাউন্সিলের এক সদস্য জানান, ‘আমস্টারডামে তারা (ইসরায়েলি সমর্থক) শুরুটা করে মানুষের ঘরে আক্রমণ করা ও ফিলিস্তিনি পতাকা নামিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। সেখান থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ।কাউন্সিল সদস্যা জাজি ভেলদুয়েন আরও জানান, ‘প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমস্টারডামের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ শুরু করে এবং পরবর্তীতে নিজেদের রক্ষায় ইসরায়েলি সন্ত্রাসদের ওপর প্রতি আক্রমণ করে বসে। ’
এদিকে ভিন্ন কথা বলছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনজামিন নেতানিয়াহু। তার অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয় এটা ছিল, ‘ইসরায়েলি জনগণের উপর করা হামলা’। বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর হামলা’ উল্লেখ করে নেতানিয়াহু জানায় এই ঘটনার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘হামলাকারীদের গ্রেফতার’ করতে হবে।
এই ঘটনার পরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের নিষিদ্ধ করে আমস্টারডামের মেয়র ফেমকে হালসেমা। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রায় ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবরও জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে ৬২ জনকে।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতামীরা ম্যাচ দেখতে আসলেও ইসরায়েলি সমর্থকদের বাধার মুখে পড়ে। পরে অবশ্য তারা স্টেয়িামে পৌঁছায়। ডাচ পুলিশের একজন সদস্য জানায়, নিরাপদে স্টেডিয়াম ছেড়েছে তারা। কিন্তু শহরের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয় রাতভর।
এদিকে এই সংঘর্ষের পর ইসরায়েলি সমর্থকদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বিমান পাঠানো হয়। ইসরায়েল থেকে আসা এই বিমানে ছিল চিকিৎসার ব্যবস্থা ও উদ্ধারকারীরা। হোটেল থেকে নিজেদের জনগণকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য নেদারল্যান্ডসের সাহায্য চেয়েছে দেশটি।
|