বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর। মায়ানগরীতে তাকে বলা হয় চিরতরুণ। প্রতি জন্মদিনে সকলের বয়স বাড়ে, তার বয়স যেন আটকে রয়েছে একই জায়গায়।
সুপুরুষ বলে তকমা দেওয়া হয় এই অভিনেতাকে। আবার একইভাবে অনিলের শরীরের রোমশ শরীর নিয়ে কম ঠাট্টা তামাশা হয়নি নেটপাড়ায়।
এক্ষেত্রে নাকি মেয়ে সোনম কাপুর একেবারে বাবার মতো। বলিপাড়ায় ছিপছিপে সুন্দরী অভিনেত্রী বলে নামডাক রয়েছে তার। তবে একটা সময় ছিল যখন নিজেকে আয়নায় দেখে ভেঙে পড়তেন সোনম।
লোকে ঠাট্টা করে বলত, ‘এই দেখো অনিল কাপুরের মেয়ে’। আর তা শুনেই নাকি মুষড়ে পড়তেন সোনম। কারণ তার রোমশ চেহারা। বাবার মতোই শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতেন অভিনেত্রী।
বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অল্প অল্প পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মুখে রোমে ভরে যায় সোনমের। যে বয়সে নিজকে সুন্দরী ভাবার কথা, সেই বয়স থেকে মুখে রোম, গাল ভর্তি ব্রণ— অনেকেই কটাক্ষ করতেন, ‘এই দেখ, অনিল কাপুরের মেয়ে’ এমনটা বলে। যা শুনে আরও ভেঙে পড়তেন সোনম।
অভিনেত্রী জানান, অল্প বয়সে ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ বা পিসিওডি ধরা পড়ে তার শরীরে। সে কারণেই এমন পরিবর্তন।
তবে অভিনেত্রী ভরসা পান কাজলকে দেখে। সোনম জানান, তার মা-ই মেয়ের হীনম্মন্যতা দূর করতে কাজলের ছবি দেখান। সেই সময় জোড়া ভ্রু ছিল কাজলের। মুখে রোম ছিল। তবু, নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হতে পেরেছিলেন কাজল। সেটা দেখেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান অনিল-কন্যা।
|