কক্সবাজারের রামু মনিরঝিল-সোনাইছড়ি সংযোগ সড়কের ওপর নির্মিত সেতু ধসে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় হাজারও মানুষ। অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন অসুস্থ রোগী ও স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা।
জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে রামু উপজেলার রাজারকুল-কাউয়ারখোপসহ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের হাজারও মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সংযোগ সেতু ধসে পড়ায় দুপাড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো নির্মিত হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকম চলাচল করছেন অসুস্থ গর্ভবতী মহিলা, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া স্থানীয় কৃষকেরা কৃষি পণ্য ও মালামাল পার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ডিঙ্গাকাটা সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকার লোকজন। গেল কিছুদিন আগে দুই শিশু বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। প্রায় সময় ঘটছে এমন ঘটনা। বৃদ্ধ অসুস্থ ও ডেলিভারি রোগী পারাপার করতে চরম ঝুঁকি রয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকেরা কৃষি পণ্য নিয়ে রামু বাজারে বিক্রি করতে যেতে পারছে না। এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ করার দাবি তাদের।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা বিমন বড়ুয়া বলেন, পাহাড়ি ঢলে ডিঙ্গাকাটা সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্যে এটি বড় বাধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারজানা চৌধুরী বলেন, নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি ভেঙে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এখানে যেহেতু পাহাড়ি ঢল নামে, সেক্ষেত্রে সেতু নির্মাণের আগে চিন্তা ভাবনা করে টেকসই সেতু নির্মাণ করতে হবে। দায়সারা কাজ করলে দুমাসও সেতু স্থায়ী হবে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করার দাবি সবার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল জানান, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানি স্রোতে সেতুটির একাংশ পুরোপুরি ধসে পড়ে। এতে ওই এলাকার লোকজন হাঁটাচলা করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি পুনরায় নির্মাণের জন্যে মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুমোদন মিলবে।
এলজিইডি রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কবীর জানান, সেতু মেরামতের জন্যে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজেট পেলে কাজ শুরু করা হবে।
|