লেবাননের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লেবাননের বেসামরিক নাগরিকরা নিজেদের আশ্রয়ে ফিরছেন। এ চুক্তিকে নিজেদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে হিজবুল্লাহ। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তাদের সেনারা সব সময় প্রস্তুত আছে।
এদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। লিতানি নদীর আশপাশে লোকজনকে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত সেখানে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ চুক্তিকে সমর্থন করেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর লেবাননের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল ফের হামলা চালাবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের খবরকে স্বাগত জানায় তেহরান।
|