পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভ’ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রীসহ দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসলামাবাদ পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় শাহবাজ বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা পাকিস্তানকে বাঁচাব নাকি বসে যেতে দেব। বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে মামলার পদক্ষেপ নেয় ইসলামাবাদ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, শাহজাদ টাউন, সিহালা, খান্না, শামস কলোনি, নুন, নিলোর, তরনল, বানিগালাসহ বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি ও পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম রয়েছে। যার মধ্যে আলি আমিন গন্ডাপুর, সালমান আকরাম রাজা ও শেখ ওয়াকাস আকরামও রয়েছেন।
মামলায় দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়াও হাজার হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে। মামলাগুলোয় মধ্যে সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর হামলা, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন, অপহরণ এবং সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক ক্ষমতাসীন দল পিটিআইয়ের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ইসলামাবাদে ইমরানের সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় সম্প্রতি। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় এগোতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোররাতে বুশরা বিবি সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হঠাৎ করে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় পিটিআই।
বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে পিটিআই জানায়, সরকারের নৃশংস পদক্ষেপের কারণে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হলো। ইমরান খানের পরবর্তী দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ভবিষৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পিটিআইয়ের দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
|