আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়াতে হাতে খুব বেশি সময় নেই। কিন্তু স্বাগতিক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে ভারতের অস্বীকৃতি জানানোয় ঘঠে যত বিপত্তি। ট্রফি ট্যুর শুরু হলেও এখনো আয়োজক দেশ নিয়ে জটিলতা কাটেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর আসছে টুর্নামেন্ট হবে হাইব্রিড মডেলে, আবার পাকিস্তানি মিডিয়া সেই তথ্য অস্বীকার করছে। নতুন খবরও শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তান রাজি না হলে, টুর্নামেন্ট নাকি অন্য কোন দেশে সরিয়ে নেবে আইসিসি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি চূড়ান্ত করতে আইসিসির বৈঠক। সেখানে পাকিস্তানকে বড় অংকের অর্থ দিয়ে সমাধানের ভাবনা আইসিসির। শোনা যাচ্ছে, হাইব্রিড মডেলে রাজি করাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ৫৯১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীভাবে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানের দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আবার হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজনে নারাজ। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তায় আইসিসি কর্তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। কোনো বহুদলীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যও পাকিস্তানে যায় না ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত বছর এশিয়া কাপের সময়ও রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। ভারতের ম্যাচগুলোসহ বেশ কিছু খেলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।
বিসিসিআই চায় গত এশিয়া কাপের মতো আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হোক হাইব্রিড মডেলে। পছন্দ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলেছেন বিসিসিআই কর্তারা। ভারতের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ পিসিবি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আইসিসির কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু করে পিসিবি। ২০২১ সালে পাকিস্তানকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছিল আইসিসি।
এই প্রতিযোগিতায় ভারত দল না পাঠালে, ভবিষ্যতে ভারতেও কোনো প্রতিযোগিতায় দল না পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিসিবি। সব মিলিয়ে জটিল সমস্যার আইসিসি কর্তাদেরই সমাধান করতে হবে।
|