সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর অধিকাংশ এলাকা দখল করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক দল সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)। খবর বিবিসির।
পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, রাশিয়া ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত আলেপ্পোর বিভিন্ন অংশে বিমান হামলা চালিয়েছে। শনিবার সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, বিদ্রোহীরা শহরের বড় অংশে প্রবেশ করেছে। এই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ডজনের বেশি সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাল্টা হামলার প্রস্তুতির জন্য সৈন্যদের সাময়িকভাবে আলেপ্পো থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলেপ্পোর বিমানবন্দর এবং শহরে প্রবেশের সব রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে সামরিক সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে। এসওএইচআর জানায়, বিদ্রোহীরা শহরের অধিকাংশ এলাকা কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়েই দখল করতে সক্ষম হয়েছে। শনিবার ভোরে একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পিছু হটলে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। শহরের কাউন্সিল, পুলিশ স্টেশন ও গোয়েন্দা অফিসগুলো খালি। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এর আগে শুক্রবার সরকারি বাহিনী আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন শহরে নিজেদের অবস্থান পুনর্দখল করেছে বলে জানায়। এসব এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তাদের মিত্র গোষ্ঠীগুলো বুধবার আক্রমণ অংশ করে। এএফপি জানিয়েছে, তাদের এক সাংবাদিক শুক্রবার শহরের বিখ্যাত সিটাডেলের সামনে সরকারবিরোধী যোদ্ধাদের দেখেছেন। এদিকে শুক্রবার ইদলিবের কাছে ২৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক দলটি বলেছে, রাশিয়ার বিমান হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও ১৯ জন আহত হয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা উগ্রপন্থী বাহিনীদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ হয়েছে। সরকারকে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য মস্কোর সমর্থনের কথা জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]