স্কুলগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
তারিখ
:
10-12-2024
মঈন মাহমুদ :সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে বিআইসিসির মিডিয়াবাজার মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অ্যাডভাইজার মুহাম্মদ মুসা, টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। উপদেষ্টা বলেন, স্কুলগুলোর ডিজাইন লোকেশন ও স্পেস অনুযায়ী ভিন্ন ধরনের। একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায়ও এ ধরনের দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছি। সেসব প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চার শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। এখানে চারুকলার শিক্ষকের পদ তৈরির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিং বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিশুদের মিড ডে মিল দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে। প্রকল্পটি একনেকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল চালু করা হবে। এর আগে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ফল উপস্থাপন করেন টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (টি.ডি.আই) পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাবের ফলে প্রাথমিক স্তরের ৫৫.২ শতাংশ শিশু ভীতি বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের জরিপে ওঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতামত অনুযায়ী, শিশুদের মধ্যে ৩৬.৫ শতাংশ পড়ালেখায় অমনোযোগী, ৩৬.৯ শতাংশ স্কুলে না যাওয়ার প্রবণতা, ২৮.৬ শতাংশ শিশুদের মানসিক ক্ষতি সাধন, ৭.৯ শতাংশ শিশুদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যমান মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের আট বিভাগের সর্বমোট ২০৩টি সংগঠনের সহায়তার একটি সাধারণ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করা, ১২টি ফোকাসগ্রুপ আলোচনা, ৩০ জন তথ্যাভিজ্ঞ ব্যক্তির মতামত সংগ্রহ এবং দুইটি বিভাগীয় ও দুইটি জাতীয় পর্যায়ের সভার মাধ্যমে এই গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাবের ফলে প্রাথমিক স্তরের ৫৫.২ শতাংশ শিশু ভীতি বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের জরিপে ওঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতামত অনুযায়ী, শিশুদের মধ্যে ৩৬.৫ শতাংশ পড়ালেখায় অমনোযোগী, ৩৬.৯ শতাংশ স্কুলে না যাওয়ার প্রবণতা, ২৮.৬ শতাংশ শিশুদের মানসিক ক্ষতি সাধন, ৭.৯ শতাংশ শিশুদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যমান মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ফল উপস্থাপন করেন টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (টি.ডি.আই) পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ। দেশের আট বিভাগের সর্বমোট ২০৩টি সংগঠনের সহায়তার একটি সাধারণ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করা, ১২টি ফোকাসগ্রুপ আলোচনা, ৩০ জন তথ্যাভিজ্ঞ ব্যক্তির মতামত সংগ্রহ এবং দুইটি বিভাগীয় ও দুইটি জাতীয় পর্যায়ের সভার মাধ্যমে এই গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]