নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশলী( এলজিইডি) রবিউল হোছাইন বলেছেন, সরকারি রাস্তা ও অবকাঠামো রক্ষায় জনগণের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।
২ ফেব্রুয়ারী ( রবিবার) টেকনাফ উপজেলার লম্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় নির্মিত স্থাপনা ব্যবহারে যত্নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) এর উদ্যোগে, এলজিইডির আওতায় বাস্তবায়িত জরুরি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর মাধ্যমে সরকারি সেবা সুবিধা ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া এবং এসব সুবিধা রক্ষায় স্থানীয়দের সচেতন করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোছাইন আরো বলেন, “সরকার বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান সহায়তায় স্থানীয় মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের জন্য এলজিইডি’র মাধ্যমে বিভিন্ন রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান করছে। এ অবকাঠামোগুলো আপনাদেরই সম্পদ। এই অবকাঠামোগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের দায়িত্বশীল হতে হবে, যেন এগুলো টেকসই হয় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাত্রিকালীন নিরাপদে চলাচলের জন্য রাস্তার পাশে এলজিইডি`র মাধ্যমে সৌর সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এরকম সড়ক বাতি কিছু কিছু জায়গায় চুরি হয়ে যাচ্ছে। এটা ভালো লক্ষণ না। এগুলো আপনাদের সম্পদ। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। রবিউল হোছাইন বলেন, “এলজিইডির উদ্যোগে তৈরি হওয়া রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামোগুলো যদি ঠিকমতো রক্ষা না করা হয়, তাহলে তা দ্রুত ভেঙে পড়বে। তাই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।” এ সময় সভায় উপস্থিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও এ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে নিজেদের দায়িত্বশীল ভুমিকা আরও সক্রিয়ভাবে পালন করার প্রতিশ্রুতি দেন। বিসিসিপি’র ইএমসিআরপির যোগাযোগ ও সচেতনতা কার্যক্রমের ডেপুটি টিম লিডার রিদুয়ানুর রহমান সভায় ইএমসিআরপি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের আওতায় জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিসিসিপি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে আমরা জনগণকে সচেতন করতে চাই। সরকারি সেবা সুবিধা ব্যবহার করার সময় আমাদের দায়িত্বশীলতা এবং যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন।” সভাটি পরিচালনা করেন বিসিসিপি`র সোশ্যাল এওয়ারনেস স্পেশালিস্ট অপরাজিতা মিছেং। সভায় সভাপতিত্ব করেন লম্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুন্নাহার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “সেবা সুবিধা আমার, যত্নে করি ব্যবহার!" এ স্লোগানকে ধারণ করতে হবে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। সভায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লম্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক এসএসসি কমিটির সভাপতি আহমেদ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি সম্পদ টেকসই রাখার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয়দেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করে এ অবকাঠামো রক্ষা করবো। উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি)’ এর আওতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
|