অনলাইন ডেস্ক : বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের আশায় এবার ৩৭ মণ্ডপে সরস্বতী পূজার আয়োজন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলিতে সরস্বতীর আরাধনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। এ পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর, শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলা, বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কলা ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে নিজ নিজ বিভাগের মণ্ডপ সাজিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসব মণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন, সাজসজ্জাসহ নানা রকমের আলপনা আঁকা হচ্ছে।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের সমন্বয়ে একটি পূজাসহ মোট ৩৭টি মণ্ডপে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হবে।
পূজা উপলক্ষ্যে নানা আলপনা ও বর্ণিল আলোকসজ্জায় রঙিন আমেজ ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ ঘোষ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমরা অধিকাংশ বিভাগের সাজসজ্জার দায়িত্ব পেয়েছি। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে আমরা স্টেজ সাজানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। আমাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের বৈঠকে জানানো হয় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে এবারের সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়ে এদিন রাত ৯টায় প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ বছর আমরা সাবধানতার সঙ্গে পূজা আয়োজন করছি। প্রত্যেক বিভাগকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি শৃঙ্খলার নিশ্চয়তা আমাদের দিয়েছেন। আমরা আশা করছি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সুশৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপন করতে পারব।
পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, পূজা উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে নিজস্ব শিক্ষার্থী ছাড়াও দর্শনার্থীরাও আসবেন। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে আমরা যথেষ্ট সচেতন। পূজার দিন ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটা পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা সচল থাকবে এবং আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হবে। এছাড়াও সরাসরি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ প্রশাসন নিয়োজিত থাকবে।
|