ফিরোজ মাহবুব কামাল: সূরা মায়েদার ৪৪,৪৫ ও ৪৭ নম্বর আয়াত অনুসারে যাদের অবস্থান শরীয়ত আইনের বিরুদ্ধে তারা কাফের, জালেম ও ফাসেক। শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির বন্টন বিষয়ক আইন। এ বিষয়ে আইন রচনা দায়িত্ব মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার হাতে দেননি ্আজ অবধি কোন মুসলিম শাসক এই আইনে হাত দেয়নি।
অথচ নারী অধিকার সংস্কার কমিটি শরীয়তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা এই আইনের সংস্কার চায়। তারা নিজেদেরকে সর্ব প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহ তা`আলার চেয়েও অধিক বিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান হিসেবে জাহির করেছে। যেন মানুষের কল্যাণ তারা মহান স্রষ্টা মহান আল্লাহর চেয়ে বেশি বুঝেন। নাউজুবিল্লাহ। তাদের দাবি ছেলে ও মেয়ে উভয়েই সম্পত্তির সমান ভাগ পাবে। এ দাবি শরীয়ত বিরোধী। বিদ্রোহ এখানে মহান আল্লাহর বিরুদ্ধে।
পতিতাবৃত্তির ন্যায় ব্যভিচার হলো জিনা। এটি শাস্তিযোগ্য গুরুতর অপরাধ, বিবাহিত ব্যাভিচারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অবিবাহিত ব্যভিচারের সাথে ১০০ পেত্রাঘাত। এরূপ গুরুতর অপরাধ কখনোই বৈধ পেশা হতে পারেনা। অথচ ইউনুস সরকারের নারী সংস্কার কমিটি ব্যভিচারীদের আইনসম্মত শ্রমিকের মর্যাদা দিতে বলেছে। অর্থাৎ তাদের বৈধ মজুরি ও পেনশন থাকতে হবে। বিদ্রোহ ও বেইমানী এখানে মহান আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে।
যারা এরকম প্রস্তাব রাখে তারা বেইমান। সকল সংস্কারের আগে যারা এই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিটির সদস্য তাদের চেতনার সংস্কার দরকার। তাদের আচরণ তো কাফের, ডালিম ও ফাসিকের মত। এরা ইসলামের শত্রু।
অতিশয় বিস্ময়ের বিষয় হলো, ইসলামের এই চিহ্নিত শত্রুদের হাতে সংস্কারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঈমানদারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ইসলামের এই ঘৃণিত শত্রুদের কার্যকলাপের উপর। এরূপ চিহ্নিত বিদ্রোহী ও বেইমানদের উপর সংস্কারের দায়িত্ব দেয়ার গুরুতর অপরাধ ইউনুস সরকারকেও অপরাধী করবে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]