বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন। দেশে ফিরে জোবাইদা রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় উঠবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসা মাহবুব ভবনের ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক করা হয়েছে। বাসার চারপাশে দেয়ালের ওপরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্য ছাড়াও এসময় বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, নিরাপত্তার নামে এমন কিছু না করতে, যেন প্রতিবেশীদের কোনো অসুবিধা হয়; যাতে মানুষজনকে ডিস্টার্ব না করা হয়। জোবাইদা রহমানের জন্য আলাদা গাড়ি ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘মাহবুব ভবন’ এ এখন থাকেন জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ডা. জোবাইদার নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন। তার সঙ্গে দেশে আসবেন ডা. জোবাইদা রহমান এবং ধানমন্ডিস্থ তার পিতার বাসায় অবস্থান করবেন।
‘জিয়া পরিবারের সদস্য এবং তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসাবে তার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সে কারনে তার ঢাকাস্থ বাসায় অবস্থানকালীন এবং যাতায়তের সময় নিম্নরূপভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
চিঠিতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারটি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. একজন সশস্ত্র গানম্যান নিয়োগ। ২. গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন। ৩. বাসায় পুলিশ পাহারা। ৪. বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান। বর্তমানে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। ১৯৯৪ সালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জোবাইদা।
|